পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে পুশইন ২১ জনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর
Published: 25th, May 2025 GMT
পঞ্চগড়ের বড়বাড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশইন হওয়া নারী-শিশুসহ ২১ জনকে তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে। শনিবার বিকেলে উপজেলা সদরের হাড়িভাসা ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া ডোলোপুকুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে পুলিশ ও ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতি পরিবারের সদস্যদের কাছে তাদের তুলে দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২২ মে) ভোরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাদের পুশইন করে।
পুশইন হওয়া ২১ জনের বাড়ি খুলনা জেলার দিঘলিয়া ও নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলায়। তারা দীর্ঘদিন ধরেই অবৈধভাবে ভারতের গুজরাটে বসবাস করছিলেন। তারা সেখানে বাসা বাড়ি ও ওয়ার্কসপসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকের কাজ করতেন।
ভারত থেকে আসা ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমি একটি কোম্পানিতে কাজ করতাম। হঠাৎ করে আমাদের সবাইকে বাড়ি থেকে তুলে নেয় ভারতীয় পুলিশ। পরে আমাকে আলাদা স্থানে ছেড়ে দেয়। আমার স্ত্রী ও সন্তান সেখানেই ছিল। তাদের কোনো খবর না নিতে পারিনি। পরে দেশের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে তাদের ছবি দেখি। এরপর পঞ্চগড়ে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিবারকে ফেরত পেয়েছি।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই আলম ছিদ্দিক বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ভোরে শিশুসহ ২১ জন আটকের পর ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশনায় তাদের আশ্রয়ণ প্রকল্পে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। এখানে তাদের থাকার ও খাবার ব্যবস্থা করা হয়। তিনদিনের মাথায় প্রশাসনের মাধ্যমে সবাইকে তাদের পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে।’
সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহিল জামান বলেন, এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে সবাইকে তাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে পঞ্চগড় উপজেলা সদরের বড়বাড়ি সীমান্তের মেইন পিলার ৭৫৭ এর ১০নং নম্বর সাব পিলার এলাকা দিয়ে ভারত থেকে নারী, শিশুসহ ২১ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে নীলফামারী ৫৬ বিজিবির জয়ধরভাঙ্গা ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প শইন পর ব র র উপজ ল প শইন
এছাড়াও পড়ুন:
নান্দাইলের ইউএনও’র দুর্নীতি তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সদ্য সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তারের বিরুদ্ধে ওঠা ৩ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইল নতুন বাজার এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন তারা।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে ৫ কোল পরিবারকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন
বিএলআরআই নিয়োগবিধিতে বৈষম্যের অভিযোগে গবিতে মানববন্ধন
উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মাসহুদ পারভেজসহ অন্যান্য ইউপি সদস্যরা গত ২৮ মার্চ ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কাছে সারমিনা সাত্তারের বিরুদ্ধে ৩ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ করেন।
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা থাকাকালীনও সারমিনা সাত্তারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। যা নিয়ে তখন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে সারমিনা সাত্তার যোগ দেন। এরপর থেকে সীমাহীন দুর্নীতি করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ইজারা, পাথর কেলেঙ্কারি, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগ, নামজারিতে অতিরিক্ত টাকা আদায়, ভুয়া প্রকল্প থেকে টাকা উত্তোলনসহ নানা দুর্নীতি করেছেন।
বক্তব্যে ইউপি সদস্য মাসহুদ পারভেজ বলেন, ‘‘সারমিনা সাত্তার শুধু অনিয়ম-দুর্নীতিতে সীমাবদ্ধ ছিলেন না, ইউপি সদস্যদের সঙ্গে অসদাচরণসহ মিথ্যা মামলার হুমকিও দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছি।’’
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন খারুয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুস কদ্দুস মুন্সি, বাচ্চু মিয়া, শেরপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শাহজাহান প্রমুখ।
এ বিষয়ে জানতে সারমিনা সাত্তারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ঢাকা/মিলন/বকুল