ভারতের সঙ্গে ড্র করার পর থেকেই সিঙ্গাপুর ম্যাচ নিয়ে আলোচনা। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের সেই ম্যাচেে আগামীকাল ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর। ঘরের মাঠের ম্যাচটা নিয়ে বাংলাদেশ কিছুটা নির্ভারই বলা চলে। তবে সিঙ্গাপুর ম্যাচ ঘিরে যে উত্তাপ-উন্মাদনা, সেটা বিপদ ডেকে আনে কি না, কে জানে! বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া অবশ্য চাপ অনুভব করলেও মাথায় নিচ্ছেন না।

আজ রাজধানীর একটি হোটেলে ম্যাচ–পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে জামাল বলেন, ‘দশজন মানুষ থাকলে যে চাপ, ২০ হাজার মানুষ থাকলেও একই চাপ থাকবে। আমাদের কাজ পারফর্ম করা।’

কতজন মানুষ ম্যাচটা দেখবে, সেটা কোনো বিবেচ্য বিষয় নয়। দিন শেষে দেশের জন্য জয়টাই লাগবে আমাদের। হ্যাঁ, এটা ঠিক, চাপ এবং এই উত্তেজনাটা আমরা অনুভব করি। কিন্তু খেলার সময় আমাদের চিন্তা থাকবে কীভাবে ম্যাচটা জেতা যায়।জামাল ভূঁইয়া, বাংলাদেশ অধিনায়কসিঙ্গাপুরের ডিফেন্ডার আমিরুল আদলির সঙ্গে বাংলাদেশের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

ভিকারুননিসার ছাত্রী মেয়েকে সাঁতার শেখাচ্ছিলেন বাবা, ডুবে প্রাণ গেল দুজনেরই

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী হালিমা মোহাম্মদ (১৮)। এবার তার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। ঈদুল আজহায় বাড়িতে বেড়াতে এসে বাবা বাবুল আহমেদ বাবুর (৬০) সঙ্গে পুকুরে নেমেছিল সাঁতার শিখতে। কিন্তু হালিমার সাতার শেখা আর হয়নি। বাবার হাত ফসকে ডুবে মারা যায়। মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে তার বাবাও প্রাণ হারান।

সোমবার বিকেলে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের হামিদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যদের সূত্রে জানা গেছে, বাবুল আহমদের স্ত্রী তিন মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় থাকেন। তাদের চার সন্তান সেখানে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে। বাড়ির কাছে মানিকসিংহ এলাকায় বাবুলের একটি ইটভাটা রয়েছে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে চার-পাঁচ দিন আগে তার স্ত্রী-সন্তানেরা বাড়িতে বেড়াতে আসে। তার সন্তানেরা সাঁতার জানে না। আজ সোমবার বিকেল চারটার দিকে মেয়ে হালিমাকে নিয়ে পুকুরে নেমে প্লাস্টিকের টিউবের সাহায্যে সাঁতার শেখাচ্ছিলেন বাবুল। একপর্যায়ে টিউব থেকে হাত ফসকে হালিমা পানিতে ডুবে যায়। এ সময় বাবুল মেয়েকে রক্ষার চেষ্টা করেন। কিন্তু দুজনই পানি থেকে উঠছিলেন না। আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে পুকুরে নেমে প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। পরে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে দুজন মারা যান।

বাবুলদের আত্মীয় ও জায়ফরনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আজাদ মিয়া জানান, আজ রাত ১০টায় বাবুল ও তার মেয়ের জানাজা হবে। এরপর পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হবে।

জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোরশেদুল আলম ভুঁইয়া বলেন, ‘পানিতে ডুবে একসঙ্গে বাবা ও মেয়ের মৃত্যুর খবর শুনেছি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ