শেষ নৃত্যের অপেক্ষায় থাকা নেইমার ২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে যা জানালেন
Published: 1st, July 2025 GMT
ইনজুরি যেন ছায়ার মতো পেছন ছাড়ছে না ব্রাজিলিয়ান ফুটবল জাদুকর নেইমারের। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যতবারই মাঠে ফিরেছেন, ততবারই ছন্দপতনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চোট। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের পর থেকে মাঠে তার উপস্থিতি গোনা যেন কঠিন হয়ে পড়েছে ব্রাজিল সমর্থকদের জন্য। তাই প্রশ্ন উঠছে এই ছন্দভাঙা পথ পেরিয়ে তিনি কি ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলবেন?
এই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সম্প্রতি এক ঘরোয়া সাক্ষাৎকারে খোলামেলা কথা বলেন নেইমার। জানান, যতদিন নিজের পারফরম্যান্সে নিজে সন্তুষ্ট থাকবেন, ততদিন খেলবেন। নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নেই তার বিদায়ের। শৈশবের ক্লাব সান্তোসের সঙ্গে ২০২৫ সাল পর্যন্ত নতুন চুক্তি করেছেন নেইমার, যেখানে ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলার সুযোগও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সাক্ষাৎকারে স্ত্রী ব্রুনা বিয়ানকার্ডির প্রশ্নের উত্তরে নেইমার বলেন, “ফুটবলের প্রতি ভালোবাসাই আমাকে প্রতিদিন নতুন করে অনুপ্রাণিত করে। আমি যতদিন নিজের খেলায় আত্মবিশ্বাস পাই, ততদিন খেলে যাব। এই ভালোবাসা কোনোদিন ফুরাবে না। তবে যেদিন মনে হবে নিজের সেরা ফর্মে নেই, সেদিনই থেমে যাব।”
আরো পড়ুন:
রূপান্তরের আভাস দিয়ে আনচেলোত্তির ব্রাজিল দল ঘোষণা
চিকিৎসক প্রেসিডেন্ট ও কোচিং কিংবদন্তিতে নতুন অধ্যায় ব্রাজিলে
কেবল ফুটবলে নয়, নেইমার প্রায়ই আলোচনায় থাকেন তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও। জীবনযাপন নিয়ে নানা সমালোচনার মুখে পড়লেও নিজের অবস্থানে অনড় তিনি, “যারা আমাদের চেনে না, তারা যা খুশি তাই বলে। এসবের প্রভাব ফেলার সুযোগ আমি দিই না। অনলাইনে কী লেখা হলো তাতে আমি নাড়া খাই না।’’
নিজের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কিছুটা আক্ষেপের সুরও শোনা যায় তার কণ্ঠে, “আমি চাই মানুষ মাঠে আমার খেলা দেখে বিচার করুক। সোশ্যাল মিডিয়া এখন খেলোয়াড়দের মনোযোগ কেড়ে নিচ্ছে। আমাকে এমনভাবে মূল্যায়ন করা হয়, যেন আমি শুধুই ক্যামেরার জন্য বেঁচে থাকি। অথচ, পরিবার আর নিজের ভবিষ্যতের জন্য আমি কতটা নিবেদিত, তা কজনই বা জানে?”
নেইমার জানিয়ে দেন, ফুটবল থেকে একদিন বিদায় নেবেন ঠিকই, কিন্তু তার চিহ্ন থেকে যাবে ইতিহাসের পাতায়, “আমার ক্যারিয়ার শেষ হবে একদিন। নতুন প্রজন্ম আসবে, কেউ হয়তো আমাকেও ছাপিয়ে যাবে। কিন্তু যাদের ভালোবাসা আমি পেয়েছি, যারা আমাকে সত্যিকারে চেনেন, তাদের হৃদয়ে আমার নাম থাকবে।”
বার্সেলোনা, পিএসজি ও আল-হিলালের মতো জায়ান্ট ক্লাবে খেলা এই ফরোয়ার্ড দেশের জার্সিতে ১২৮ ম্যাচে করেছেন ৭৯ গোল। যা ব্রাজিলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। তবে বারবার ইনজুরিই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তার সম্ভাবনার পথে। ২০২৩ সালের বড় ইনজুরি এসিএল ও মেনিসকাস ছিঁড়ে যাওয়া তাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ছিটকে দেয়।
তবে সবকিছুর পরও নেইমার ফিরেছেন নিজের শিকড়ে, সান্তোস ক্লাবে। এখানেই তিনি খুঁজে পেয়েছেন নতুন করে বাঁচার আশ্রয়, “সান্তোস আমার ঘর, আমার শিকড়। এখানেই আমি স্বপ্ন দেখা শিখেছি। এবার সেই সব অসমাপ্ত স্বপ্ন পূরণ করতে চাই এখানেই।’’
আর ২০২৬ বিশ্বকাপ? নেইমারের চোখে সেটিই হতে যাচ্ছে তার ‘শেষ নৃত্য’, “আমি নিজেকে পুরোপুরি উজাড় করে দেব। যদি এটিই হয় আমার শেষ বিশ্বকাপ, তাহলে আমি চাই বিদায়টা হোক গর্বের, ভালোবাসার এবং ফুটবলের প্রতি আমার দায়বদ্ধতার প্রতিচ্ছবি।”
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল র জন য ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
পবিত্র ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানাল আরব আমিরাত
২০২৬ সালে রোজা শেষে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপনের সম্ভাব্য তারিখের কথা জানিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
আমিরাতের জ্যোতির্বিজ্ঞান সমিতির চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল জারওয়ান জানিয়েছেন, আগামী ২০ মার্চ (শুক্রবার) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হতে পারে।
আল জারওয়ান বলেন, ১৪৪৭ হিজরি সনের পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) দেখা যেতে পারে। তবে সেদিন সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা কঠিন হতে পারে। হিসাব অনুযায়ী, রোজা পালন আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) শুরু হতে পারে এবং চলতে পারে ৩০ দিন।
যদি রোজা ৩০ দিন পূর্ণ হয়, যেমনটা ধারণা করা হচ্ছে; তবে আরব আমিরাতের সরকারি ছুটির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ঈদের ছুটিতে পবিত্র রমজানের ৩০তম দিনটি যুক্ত হবে। ফলে দেশটির বাসিন্দারা চার দিনের ছুটি পেতে পারেন—১৯ মার্চ (বৃহস্পতিবার) থেকে ২২ মার্চ (রোববার) পর্যন্ত। এরপর ২৩ মার্চ (সোমবার) আবার অফিস শুরু হবে।
আল জারওয়ান বলেন, ১৪৪৭ হিজরি সনের পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) দেখা যেতে পারে। তবে সেদিন সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা কঠিন হতে পারে। হিসাব অনুযায়ী, রোজা পালন আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) শুরু হতে পারে এবং চলতে পারে ৩০ দিন।পবিত্র ঈদুল ফিতর ইসলামিক বর্ষপঞ্জির অন্যতম বড় উৎসব। ঈদের নামাজ দিয়ে এদিনের সূচনা হয়। এরপর দেশে–বিদেশে পরিবার–পরিজন নিয়ে সময় কাটানো, দান–খয়রাত করা ও নানা সামাজিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।
যদি পর্যবেক্ষণ জ্যোতির্বিদদের হিসাবের সঙ্গে মিলে যায়, তবে প্রথম শাওয়াল, অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের দিন শুক্রবার, ২০ মার্চ ২০২৬ হবে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে আমিরাতের চাঁদ দেখা কমিটি, নির্ধারিত সময়ের কাছাকাছি গিয়ে।