নাগরিক সমস্যা নিয়ে নাসিক প্রশাসককে আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর স্মারকলিপি
Published: 23rd, June 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ শহরের যানজট ও বিভিন্ন নাগরিক সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোশনের প্রশাসক এএইচএম কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব এর নিকট ১১ দফা দাবী বাস্তবায়নে স্মারকলিপি পেশ করেছে আমরা নারায়ণগঞ্জকাসী।
সোমবার (২৩ জুন) আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী সংগঠনের পক্ষ থেকে সংগঠনের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুর উদ্দিন আহম্মেদ এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এ স্মারকলিপি পেশ করেন।
এ সময় নাসিক প্রশাসক গভীর মনোযোগের সাথে দাবিসমূহ শ্রবন করেন এবং দাবিগুলি যৌক্তিক বলে মত প্রকাশ করে স্মারকলিপি গ্রহনপূর্বক উহা দ্রুত সমাধানে সচেষ্ট হবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
১১ দফা দাবিগুলো হলো-
১। বন্দরবাসীর দূর্ভোগ লাঘবে কদম রসুল সেতুর প্রয়োজনীয় র্যাম্প পরিবর্তন করে দ্রুত নির্মান কাজ শুরু করা।
২। জন দূর্ভোগ নিরসনে বঙ্গবন্ধু সড়কের ড্রেন ও ফুটপাত সংস্কার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা।
৩। রাসেল পার্ক, জল্লারপাড় লেক ও বাবুরাইল খালের পানিতে ভাসমান কচুরীপানা ও ময়লা আবর্জনা দ্রুত পরিষ্কার করে তা প্রতি মাসে অন্তত: দুই বার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার দাবী জানাচ্ছি।
৪। বঙ্গবন্ধু রোড সহ শহরের সকল সড়ক বাতি এবং রাসেল পার্ক, জল্লারপাড় লেক ও বাবুরাইল লেকের চতুর্পাশে স্থাপিত সড়ক বাতিগুলি ধারাবাহিক ভাবে সচল রাখা।
৫। মীরজুমলা রোড সম্পূর্ণ হকার মুক্ত করে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন রাখা।
৬। ক) ২নং গেইট এর মোড় দিয়ে উল্টো পথে পশ্চিমে আলী আহাম্মদ চুনকা সড়কে অবৈধ ভাবে যান চলাচল প্রবেশ বন্ধ করা।
খ) বঙ্গবন্ধু সড়কের গলাচিপা মোড় থেকে উল্টোপথে ডানদিকে তথা দক্ষিনে যান চলাচল বন্ধ করা।
গ) ২নং গেইট দিয়ে দক্ষিণে বঙ্গবন্ধু সড়কের বিভাজকের দুই পার্শ্বেই গাড়ি চলাচলা নিশ্চিত করা।
ঘ) ২নং রেল গেইট থেকে বাস ষ্টোপেজ অপসারণ এবং এসএস রোড (চেম্বার রোড) থেকে বাম দিকে কোনাকুনি (মুক্তিযোদ্ধা স্তম্ভ সংলগ্ন) বঙ্গবন্ধু সড়কে যাওয়ার ফুটপাতও রাস্তাটি হকার মুক্ত করে পথচারী ও যান চলাচলে উন্মুক্ত করা।
ঙ) ২নং গেইট হয়ে বঙ্গবন্ধু সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন দেওভোগ অঞ্চলে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পথ তৈরি করা।
৭। ২নং গেইট তথা আলমাস পয়েন্ট থেকে উত্তরে ২নং রেল গেইট পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সড়কের পশ্চিম পার্শ্বের রাস্তাটি ১০/১৫ ফুট প্রশস্ত করা।
৮। চাষাড়া মোড়ের সোনালী ব্যাংকের সম্মুখে বঙ্গবন্ধু সড়কের পূর্ব পার্শ্বটি যান চলাচলে উন্মুক্ত রাখতে অবৈধ মিশুক ও সিএনজি ষ্টেশন অপসারন করা।
৯। শায়েস্তা খান সড়কে সুয়ারেজ পাইপ লাইন স্থাপন দ্রুত সম্পন্ন করা।
১০। ২নং রেল গেইট থেকে রেল লাইনের পাশ দিয়ে চাষাড়া পর্যন্ত অস্থায়ী রাস্তাটি সংস্কার ও চালু করতে হবে।
১১। রাসেল পার্কে চারুকলা ভবনের নিচতলায় তরুন ছাত্রদের কুংফু কারাতে প্রশিক্ষন ব্যবস্থাটি পুনরায় চালু করা অথবা বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহন করা।
স্মারকলিপি দাখিলের সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক মো.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স ম রকল প সড়ক র আহম ম
এছাড়াও পড়ুন:
না’গঞ্জকে আরও সুপরিচিত করতে সাইনবোর্ডে স্থাপন করবো গেইট অফ ড্যান্ডি : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আমরা ট্রাক বাস মালিক সমিতির সাথে বসবো দ্রুত সময়ে। বর্তমানে অনেকগুলো দুর্ঘটনা ঘটেছে। যেখানে অনেক হেলপার বাস চলাতে গিয়ে, আমাদের জীবনের চেয়ে মূল্যায়ন কিছু হতে পারে না।
এগুলো কিভাবে রোধ করা যায় এমন কিছু জানতে হবে। বাস ট্রাক ড্রাইভার হেলপারদের রেষ্টের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তারা কোথায় কিভাবে রেস্ট নিতে সেগুলো নিয়ে বসতে হবে।
আপনারা বাস ট্রাক দিয়ে ব্যবসা করবেন, কিন্তু মানুষের জীবন নিয়ে খেলামেলা করা যাবে না। আমরা শুধু চারা বা বৃক্ষ রোপন করিনি। আমরা প্রায় ১২০ ট্রাক ব্যানার ফেস্টুন অপসারণ করেছি। প্রাচ্যের ড্যান্ডি খ্যাত নারায়ণগঞ্জকে আরও সুপরিচিত করার জন্য সাইনবোর্ডে "গেইট অফ ড্যান্ডি" স্থাপন করবো। আমরা দ্রুতই কাজ শুরু করতে যাচ্ছি।
রবিবার (২২ জুন) বিকালে জিমখানা লেক পার্কে গ্রিন এন্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে নিতাইগঞ্জ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির বৃক্ষরোপন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
সমিতির থেকে প্রায় শতাধিক গাছ রোপনে উপস্থিত ছিলেন, সভাপতি শংকর সাহা, আটা ময়দা মালিক সমিতির সভাপতি ওয়াজেদ আলী বাবুল, চাউল আরতদার মালিক সভাপতি লিটন, ডাল ব্যবসায়ী মালিক সমিতর সভাপতি শরফউদ্দিন, ট্রাক মালিক সভাপতি হারণুর রশিদ বাবুল, শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সুজন, সাধারণ সম্পাদক শামীম ও লোড আনলোডের সভাপতি রহমান প্রমুখ।
তিনি বলেন, শীতলক্ষ্যা নদী ছিল নারায়ণগঞ্জের প্রাণ। সেই নদীটি আজকে হারিয়ে গেছে। শীতলক্ষ্যায় সেই নদীতে এখন আর জীববৈচিত্র্য পাওয়া যায়না, সেই নদীতে এখন আর মাছ পাওয়া যায়না। এই শহরটিকে যদি আমরা বাঁচিয়ে রাখতে চাই, তাহলে সবুজের বিকল্প নাই।
নারায়ণগঞ্জকে সবুজে ঢেকে দেয়ার লক্ষ্যে গত ১০ মে বিভাগীয় কমিশনারের হাত ধরে আমরা এক লক্ষ গাছের চারা রোপনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করি। এরই মধ্যে আমরা ৩০ হাজার চারা রোপন সম্পন্ন হয়েছে। আমরা এই মাসের মধ্যে এক লক্ষ চারা রোপনের পরিকল্পনা নিয়েছি। কারণ আমাদের সামনে আরও কর্মসূচি রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ যে প্রাচ্যের গৌরব তা আবার সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরবো। 'গ্রীণ এন্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ' কর্মসূচিতে নারায়ণগঞ্জবাসী যেভাবে পাশে ছিলো ঠিক সেভাবেই 'গেইট অফ ড্যান্ডি' করার সময়ও পাশে পাবো আশা করি।