2025-07-10@09:34:00 GMT
إجمالي نتائج البحث: 7
«ফলগ ল»:
দেশের প্রকৃতি ও পরিবেশের সবচেয়ে বড় নিদর্শন সুন্দরবন। প্রাকৃতিক দুর্যোগে জনবসতি রক্ষার ঢাল বলা হয় এ বনকে। কিন্তু বন ঘেঁষে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাবে প্রাকৃতিকভাবে বনের বিস্তার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিষয়টি সত্যিই উদ্বেগজনক। সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে বয়ে যাওয়া নদীর তীরে গরান, গেওয়া, খলিশা, সুন্দরী, পশুর, বাইনসহ নানা গাছের বাহারি ফল এসে জমা হয়। এই ফলগুলো আসলে নতুন চারা হয়ে বনভূমিকে আবার বাঁচিয়ে তোলার স্বপ্ন বয়ে আনে; কিন্তু সে স্বপ্ন তীরে এসেই ভেঙে যায়। কারণ, নদীর পাড়ে অপেক্ষায় থাকা গ্রামের অভাবী মানুষ দল বেঁধে ভেসে আসা ফলগুলো কুড়িয়ে নিয়ে যান চুলার জ্বালানি বানাতে। কয়রার শাকবাড়িয়া নদীর পারে এ দৃশ্য দেখা যায়।শুধু শাকবাড়িয়া নদীর তীর নয়, কয়রার দক্ষিণ বেদকাশী থেকে মহেশ্বরীপুর পর্যন্ত কপোতাক্ষ ও কয়রা নদীতীরবর্তী গ্রামগুলোতেও একই চিত্র। জোয়ারের সময় নারী-পুরুষ...
সকালের দিকে সুন্দরবনের পাশ ঘেঁষে বয়ে চলা নদীর তীরে দাঁড়ালে দূর থেকে মনে হবে, নদী যেন বন থেকে ভেসে আসা ফলের অস্থায়ী হাট বসিয়েছে। গরান, গেওয়া, খলিশা, সুন্দরী, পশুর, বাইন গাছের নামের তালিকা লম্বা হলেও কে আর গুনে রাখে। নদীর ঢেউয়ে ভেসে আসা এসব গাছের ফল নতুন চারা হয়ে বনভূমিকে বাঁচিয়ে তোলার স্বপ্ন বয়ে আনে; কিন্তু সেই স্বপ্ন তীরেই ভেঙে যায়। কারণ, নদীর পাড়ে অপেক্ষায় থাকে গ্রামের মানুষ, যাঁরা দল বেঁধে সেই ভাসমান ফল কুড়িয়ে নিয়ে যান চুলার জ্বালানি বানাতে।মঙ্গলবার সকালে কয়রার শাকবাড়িয়া নদীর পাড়ে দেখা গেল সেই দৃশ্যেরই এক খণ্ডচিত্র। ভোরের বৃষ্টি থেমেছে, ভেজা রাস্তার ধারে লালচে বাদামি ফলগুলো ছড়িয়ে রোদে শুকানোর চেষ্টা চলছে। আকাশ এখনো ভেজা, কোথাও মেঘের ফাঁকে হঠাৎ উঁকি দিচ্ছে হালকা রোদ। কাটকাটা গ্রামের আরতি মণ্ডলসহ...
রাজধানীর খামারবাড়ি যেন হয়ে উঠেছে দেশি ফলের রাজ্য। লিচু, আম, জাম, কাঁঠাল, আনারস, পেয়ারা, কামরাঙা থেকে শুরু করে বিলুপ্তপ্রায় বেত ফল, ডেউয়া, আতাফল—সবই মিলছে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) প্রাঙ্গণে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলায়। ফলের রঙে, গন্ধে, স্বাদে এবং বৈচিত্র্যে রীতিমতো মাতোয়ারা দর্শনার্থীরা। ‘দেশি ফল বেশি খাই, আসুন ফলের গাছ লাগাই’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কেআইবি প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে ফল মেলা। কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ মেলা উদ্বোধন করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখেন। উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমরা চালের ক্ষেত্রে যেমন আত্মনির্ভরতা অর্জন করেছি, এবার ফলের ক্ষেত্রেও তা অর্জনের লক্ষ্য রাখছি। পুষ্টির চাহিদা পূরণে ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বর্তমানে যেখানে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন কমপক্ষে ২০০ গ্রাম...
গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভাদার্ত্তী দক্ষিণপাড়া (পুরাতন সাব রেজিস্ট্রি অফিস) এলাকায় অবস্থিত লিটন মিয়া নিজের চা-পান দোকানের পাশেই বসিয়েছেন মৌসুমি ফলের রঙিন পসরা। এই মৌসুমি ফল বিক্রির মাধ্যমে তিনি জীবিকার পাশাপাশি অতিরিক্ত আয়েরও ব্যবস্থা করতে পেরেছেন। সরেজমিনে দেখা গেল, প্রতি পিস আনারস ৬০ টাকায়, জোড়া ১০০ ও হালি হিসেবে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এসব রসালো আনারস। লিটন মিয়া শুধু একা নন, স্থানীয়দের অনেকেই মৌসুমী ফল বিক্রির মাধ্যমে বাড়তি আয়ের চেষ্টা করছেন। চল্লিশোর্ধ্ব লিটন মিয়া বলেন, “আমাদের দেশে এই সময় নানা রকম মৌসুমি ফল পাওয়া যায়। আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস, তাল, জামরুল প্রভৃতি ফল যখন পরিপক্ব হয়, তখন আমি সেগুলো বিক্রি করি। এটি আমার অতিরিক্ত আয়ের একটি অন্যতম উৎস।” তিনি বলেন, “এভাবে মৌসুমি ফল...
গ্রীষ্ম এলে ফলের বাজার এক চক্কর ঘুরে দেখতেও বেশ লাগে। পাকা আম, রসাল লিচু, টসটসে জাম...আহা! এই ফলগুলো যেমন সুস্বাদু, তেমনই স্বাস্থ্যকর। তবে অতিরিক্ত খেয়ে ফেললে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। প্রতিদিন কয় টুকরা আম, লিচু বা জাম খেতে পারবেন, তা বয়স, রোগব্যাধি ও শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে। একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন মাঝারি আকারের ১ থেকে ২টি আম, ৮ থেকে ১০টি লিচু অথবা ছোট এক বাটি (১০০-১৫০ গ্রাম) জাম খেতে পারেন।ডায়াবেটিসডায়াবেটিসের রোগীদের মিষ্টি ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। আম, লিচু ও জামে প্রাকৃতিক চিনি থাকে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীরা খুব অল্প পরিমাণে এই ফলগুলো খেতে পারেন। এ ক্ষেত্রে একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী পরিমাণ নির্ধারণ করা উচিত। সতর্কতা অবলম্বনের জন্য ডায়াবেটিসের রোগীরা ফল খাওয়ার আগে রক্তে শর্করার...
মৌলভীবাজারের রাজনগরে দুই হালি ডালিম ও এক হালি মাল্টা দাম ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের জামেয়া ইসলামিয়া মরিছা মাদরাসায় আয়োজিত বার্ষিক মাহফিলে দান করা ডালিম ও মাল্টা নিলামে বিক্রি হয়। স্থানীয়রা জানান, জামেয়া ইসলামিয়া মরিছা মাদরাসার বার্ষিক মাহফিলে দান করা দুই হালি ডালিম ও এক হালি মাল্টা বক্তা মুফতি মুশাহিদ ক্বাসেমী নিলামে তোলেন। নিলামে সর্বোচ্চ দাম হাঁকিয়ে ৫০ হাজার টাকা তা কিনে নেন সংযুক্ত আরব আমিরাতপ্রবাসী মাওলানা শরিফ আক্তার হুসাইন। জামেয়া ইসলামিয়া মরিছা মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা ফখরুল ইসলাম শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাদরাসার বার্ষিক মাহফিলে শুভাকাঙ্ক্ষীরা এ ফলগুলো দান করেন। পরে ফলগুলো নিলামে তোলা হলে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। মূলত ফল কিনে মাদরাসার সহযোগিতা করা হয়েছে।