এক টানা বসে পায়ে ব্যথা? স্বস্তি পাবেন যেভাবে
Published: 10th, July 2025 GMT
যারা অফিসে কাজ করেন দিনের অনেকটা সময় তাদেরকে দীর্ঘক্ষণ একজায়গায় বসে থাকতে হয়। এর ফলে যে সমস্যাটি সবচেয়ে বেশি হয়, তা হল পায়ে ব্যথা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এক ভাবে বসে কাজ করার কারণে অনেক সময় পা ফুলে যায়, হাঁটতে সমস্যা হয়। কারও আবার অনেকক্ষণ বসে থাকলে পায়ে টান ধরে যায়। বিভিন্ন কারণে এমন হতে পারে। এমন হলে রক্ত সঞ্চালন কমে যায়, পেশিতে পানি জমে, কোমর-কাঁধেও ব্যথা হয়।
পায়ের ব্যথা কমাতে অনেকেই পায়ে মালিক করেন, ব্যথা দূর করার ওষুধ খান। এতে সাময়িক ভাবে স্বস্তি পাওয়া গেলেও, সমস্যা পুরোপুরি যায় না। সে ক্ষেত্রে আরও কিছু ব্যাপারে দৃষ্টি দেয়া জরুরি। যেমন-
সঠিক চেয়ারে বসুন
অনেক সময় চেয়ারের কারণে এমনটা হতে পারে। চেয়ার যদি খুব উঁচু হয়, পা ঝুলিয়ে বসতে হয় তা হলে চেয়ার পাল্টানো জরুরি। তা ছাড়া শক্ত চেয়ার হলেও বদলানো প্রয়োজন। চেয়ারে বসলে পায়ের উপর যদি চাপ পড়ে তাহলে সেই চেয়ারও বদলানো প্রয়োজন।
সঠিক ভঙ্গিতে বসুন
সঠিক ভঙ্গিতে না বসার কারণে অনেক সময় পায়ে ব্যথা হয়। বসার সময় মেরুদণ্ড যেন সোজা থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন। আবার অনেক সময় সোজা হয়ে না বসার কারণেও পায়ে ব্যথা হতে পারে।
বিরতি নিন
কাজের চাপ থাকবেই। তারপরও কাজের ফাঁকে অন্তত ১৫-২০ মিনিটের বিরতি নিতে চেষ্টা করতে হবে। একটানা কাজ না করে অন্তত মাঝেমাঝে কিছুক্ষণের জন্য নিজেকে বিশ্রাম দিন। বাইরে অফিসের বাইরে খোলা হাওয়ায় হাঁটুন। না হলে অফিসেই হাঁটাহাঁটি করুন। এতে কাজের একঘেয়েমিও কাটবে। আবার পেশিগুলিও সচল হবে। সেই সঙ্গে চোখও বিশ্রাম পাবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অন ক সময়
এছাড়াও পড়ুন:
কুড়িগ্রামের ৩ বিদ্যালয়ে কেউ পাস করেনি
এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় কুড়িগ্রামের তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পূর্ব কুমরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হয়েছে। নাগেশ্বরী উপজেলার পয়রাডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১১ জন শিক্ষার্থীর সবাই অকৃতকার্য হয়েছে এবং ফুলবাড়ী উপজেলার নজর মাহমুদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ জন শিক্ষার্থীর সবাই অকৃতকার্য হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নে পূর্ব কুমরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়টি ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০১৪ সালে একাডেমিক স্বীকৃতি পেলেও এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ৯ জন শিক্ষক রয়েছে।
আরো পড়ুন:
জবিতে দুই শিক্ষক ও বাগছাসের নেতাদের ওপর ছাত্রদলের হামলা
এসএসসির ফল নিয়ে বগুড়া জিলা স্কুলে হট্টগোল
প্রধান শিক্ষক রিয়াজুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
নাগেশ্বরী উপজেলার পয়রাডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় সম্পর্কে কোনো তথ্য জানা যায়নি।
ফুলবাড়ি উপজেলার নজর মাহমুদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তালেব বলেন, বিদ্যালয়টি ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০২৩ সালে নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পাঠদানের অনুমতি পেয়েছে। এ বছর ৯ জন শিক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। তারা সবাই অকৃতকার্য হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয়ের আশপাশের গরিব মানুষের বসবাস। পরীক্ষার্থীরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিকের কাজের পাশাপাশি পড়ালেখা করছিল। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে চার জন শিক্ষক ও ১৮৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে বলেও তিনি জানান।
কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, শতভাগ ফেল করা বিদ্যালয়ের অবস্থা কেমন তার জানা নেই। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে বিদ্যালয় থেকে কেন কেউ পাস করেনি, সেটির কারণ প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাওয়া হবে।
২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট ও সমমান পরীক্ষায় দিনাজপুর শিক্ষা দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৬৭ শতাংশ। এর মধ্যে কুড়িগ্রাম জেলায় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ১৫৮ জন।
ঢাকা/বাদশাহ/বকুল