সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, তেজগাঁও জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তিন ক্যাটাগরির পদে লোক নেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

১. পদের নাম: অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: এইচএসসি (ব্যবসায় শিক্ষা)/সমমান পাস। এইচএসসি (ব্যবসায় শিক্ষা)/ সমমানসহ ৬ মাস মেয়াদি কম্পিউটার ডিপ্লোমাধারী অগ্রাধিকার পাবেন।
বয়স: ২৭ জুলাই তারিখে অনূর্ধ্ব ৩৫ বছর (সমপদের ইনডেক্সধারীদের জন্য বয়স সীমা শিথিলযোগ্য)।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড ১৬)

২.

পদের নাম: নিরাপত্তাকর্মী
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: জেএসসি/জেডিসি/সমমান পাস
বয়স: ২৭ জুলাই তারিখে অনূর্ধ্ব ৩৫ বছর (সমপদের ইনডেক্সধারীদের জন্য বয়স সীমা শিথিলযোগ্য)।
বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড ২০)

৩. পদের নাম: আয়া
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: জেএসসি/জেডিসি/সমমান পাস
বয়স: ২৭ জুলাই তারিখে অনূর্ধ্ব ৩৫ বছর (সমপদের ইনডেক্সধারীদের জন্য বয়স সীমা শিথিলযোগ্য)।
বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড ২০)

অন্যান্য সুবিধা
প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব বিধি মোতাবেক বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, নগর ভাতা, উৎসব ভাতা, বিশেষ ভাতা এবং চাকরি স্থায়ীকরণ সাপেক্ষে পিএফ, গ্র্যাচুইটি ও অন্যান্য সুবিধা প্রদান করা হবে।

যেভাবে আবেদন
প্রার্থীকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদন ফরম প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া যাবে। আবেদনের সময় প্রার্থীর প্রয়োজনীয় তথ্যসহ রঙিন ছবি ও স্বাক্ষরের স্ক্যানকপি নির্ধারিত স্থানে আপলোড করতে হবে। অনলাইনে আবেদনের পর আবেদনপত্রের অনলাইন কপিসহ সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, অভিজ্ঞতার সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), জাতীয় পরিচয়পত্র ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি এবং দুই কপি রঙিন ছবি আগামী ৩ আগস্টের মধ্যে সরাসরি/ডাকযোগে অত্র প্রতিষ্ঠানে পৌঁছাতে হবে।

আবেদন ফি
আবেদন ফি অনলাইন চার্জবাদে ১ নম্বর পদের জন্য ৩০০ টাকা এবং ২ ও ৩ নম্বর পদের জন্য ১০০ টাকা বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে হবে।

আবেদনের সময়সীমা
২৭ জুলাই পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করা যাবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য ব ২৭ জ ল ই দ র জন য য গ যত সমম ন

এছাড়াও পড়ুন:

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুনজর কখন পড়বে

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নে দ্বিতল ভবনবিশিষ্ট একটি মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্রে ওষুধ নেই, চিকিৎসক নেই, বিদ্যুৎ–সংযোগ নেই। ফলে তেমন একটা রোগীও নেই। এই ‘নাই নাই’ হাসপাতালটির নাম মাস্টারদা সূর্য সেন মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্র। এভাবে কি একটা হাসপাতাল চলতে পারে? প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে যাওয়ার এমন নমুনা আমাদের হতাশ করে। দেশজুড়ে এ রকম আরও চিত্র আমরা দেখতে পাই, যা আমাদের স্বাস্থ্য খাত নিয়ে ইতিবাচক কোনো বার্তা দেয় না।

প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং ২০০৩ সালে চালু হওয়া এই ১০ শয্যার হাসপাতালটির মূল সমস্যা জনবলসংকট। ১৬টি পদের ১টিতেও স্থায়ী জনবল পদায়ন করা হয়নি। অন্য হাসপাতাল থেকে প্রেষণে এসে মাত্র তিনজন কর্মচারী (একজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, একজন মিডওয়াইফ ও একজন আয়া) সপ্তাহে কয়েক দিন করে দায়িত্ব পালন করেন। এটি একটি জরুরি প্রসূতিসেবাকেন্দ্র, যা ২৪ ঘণ্টা চালু থাকার কথা। কিন্তু বিদ্যুৎ নেই, ডাক্তার নেই এবং প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে এর কার্যক্রম এখন প্রায় স্থবির।

হাসপাতালের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় প্রায় তিন মাস ধরে বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন। ফলে পানীয় জলের ব্যবস্থাও নেই। বিনা মূল্যের ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে প্রায় ছয় মাস ধরে। এ পরিস্থিতিতে একজন রোগী কীভাবে এখানে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসবেন? যেখানে হাসপাতালের বাইরের সাইনবোর্ডে জরুরি প্রসূতিসেবার জন্য ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকার কথা লেখা, সেখানে মূল ফটকে তালা ঝোলানো। এটি জনগণের সঙ্গে একধরনের প্রতারণা। হাসপাতালটি চালু না থাকায় মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতাল বা চট্টগ্রাম শহরে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। এতে সময় ও অর্থ—দুটোরই অপচয় তো বটেই, চরম ভোগান্তিরও শিকার হতে হয় মানুষকে।

যে মিডওয়াইফরা এখানে কাজ করছেন, তাঁরা জানান, এখন মাসে মাত্র চার-পাঁচজন প্রসূতি সেবা নিতে আসেন, যেখানে আগে শতাধিক প্রসূতি সেবা পেতেন। নিরাপত্তা প্রহরীরা দুই বছর ধরে বেতন পাচ্ছেন না। তবু নিয়মিত বেতন পাওয়ার আশায় তাঁরা এখনো কাজ করে যাচ্ছেন। এ অসহনীয় দুর্ভোগের কারণ হলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতা। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানান, তাঁরা বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জনবলসংকটের কথা জানিয়েছেন, কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি।

একটি মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্রের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু রাখতে কেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার ধরনা দিতে হবে? জনবল নিয়োগ, কর্মচারীদের বকেয়া বেতন পরিশোধ, বিদ্যুতের ব্যবস্থা কার্যকর করা—সব ধরনের সংকট দূর করতে হাসপাতালটির দিকে আন্তরিক মনোযোগ দেওয়া হবে, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হাতে ভোট গণনাসহ ছাত্রদলের ৬ দাবি, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত
  • ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুনজর কখন পড়বে
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আবেদন আজ বিকেলে, ক্লাস ১৩ নভেম্বর
  • যে হাসপাতালে চিকিৎসক, ওষুধ, বিদ্যুৎ–সংযোগ কিছুই নেই