প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু ওয়ানডে সিরিজ থেকে দলের সঙ্গেই আছেন। তিনি মাঠে বসেই ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স দেখছেন। গতকাল ক্যান্ডির পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সদ্য সমাপ্ত ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে কঠিন সব প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। প্রথম ম্যাচে কেন লিটন কুমার দাসকে চার নম্বরে খেলানো হয়েছে তার জবাবটাই দিতে পারলেন না লিপু। 

মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের জাতীয় দলে জায়গা নেই বলে মন্তব্য করে ভীষণ সমালোচিত হয়েছিলেন প্রধান নির্বাচক। সেই ইস্যু শ্রীলঙ্কায়ও তাঁর পিছু ছাড়েনি। যদিও গতকাল জানালেন, মোসাদ্দেকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ভুল মন্তব্য করার কারণে।

বর্তমান নির্বাচক প্যানেলের দল নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরে। বিসিবির ভেতরেই লিপুর দল নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে সমালোচনা হয়। ওয়ানডে এবং টি২০ দল থেকে সৌম্য সরকারকে বাদ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে ভালো খেলতে না পারা নাঈম শেখের ব্যাটিং ইনটেন্টের প্রশংসা করে নিজের সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন তিনি। জাতীয় দলে বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের নিবেদনের ঘাটতি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে লিপু বলেন, ‘সে খুবই ভালো একজন বোলার। এই সিরিজটা একটু খারাপ গেলেও শিগগিরই ভালো করবে।’

লিটন টপঅর্ডার ব্যাটার হিসেবেই ওয়ানডে ক্রিকেটে খেলেন। লিপু চাওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। টপঅর্ডারে খেলা একজন ব্যাটারকে হঠাৎ চার নম্বর পজিশনে ব্যাট করতে নামলে খেই হারিয়ে ফেলা খুবই সম্ভব। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ম্যাচে সেটিই ঘটেছে। অথচ লিটনকে দ্বিতীয় সুযোগ না দিয়ে একাদশ থেকে বাদ দেওয়া হয়। এতে করে নিজেকে ছন্দে ফেরানোর সুযোগ দেওয়া হলো না অভিজ্ঞ এ ব্যাটারকে। যদিও লিপু জানান, এই জায়গায় লিটনকে পরখ করে দেখতে চেয়েছিলেন। মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ায় মিডলঅর্ডারে শূন্যতা তৈরি হয়েছে। এই শূন্যতা লিটন ও মিরাজকে দিয়ে পূরণ করার পরিকল্পনা টিম ম্যানেজমেন্টের। এই পরিকল্পনা যে ভুল ছিল, সেটা বোঝা গেছে প্রথম ম্যাচেই। সেখানে দ্বিতীয় ভুল হয়েছে তাঁকে পরের দুই ম্যাচে না খেলিয়ে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম স দ দ ক হ স ন স কত গ জ আশর ফ হ স ন ল প

এছাড়াও পড়ুন:

ওয়াসার এমডি ও স্থানীয় সরকার পরিচালক পদে নতুন কর্মকর্তা

ছয় দপ্তর প্রধানের দায়িত্ব থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. হুসাইন শওকতকে। সমকালে সংবাদ প্রকাশের পর খুলনা বিভাগের স্থানীয় সরকার পরিচালক ও খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে উপ-সচিব আবু সায়েদ মো. মনজুর আলম অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বুধবার থেকে তিনি কাজ শুরু করেছেন। 

গত ১০ মাস ধরে খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসক, নৌপরিবহন মালিক গ্রুপের প্রশাসক, খুলনার স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক এবং জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রশাসক ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন হুসাইন শওকত। একই সঙ্গে ছয় দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে তিনি কোথাও পর্যাপ্ত সময় দিতে পারছিলেন না। এক দপ্তরের ফাইল নিয়ে ছুটতে হচ্ছিল অন্য দপ্তরে। নিয়মিত সব অফিসে যেতে না পারায় দপ্তরগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কাজে ফাঁকি, ধীরগতিসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।

বিষয়গুলো তুলে ধরে গত ৪ জুলাই ‘ছয় দপ্তরের দায়িত্বভার একজনের কাঁধে’ শিরোনামে সমকালে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপরই বিষয়টি সমাধানে কাজ শুরু করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার।

বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) আবু সায়েদ মো. মনজুর আলমকে স্থানীয় সরকার পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পদাধিকার বলে তিনি খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। বুধবার দুটি দায়িত্বই তিনি বুঝে নিয়েছেন। 

খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার বলেন, ছয় দপ্তরের দায়িত্ব একজনের পক্ষে পালন করা কষ্টকর। তার দায়িত্ব কিছু কমানো হয়েছে। স্থানীয় সরকার পরিচালক পদে স্থায়ী কর্মকর্তা পদায়নের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। নতুন কাউকে পদায়ন করার আগ পর্যন্ত অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) দুটি পদে দায়িত্ব পালন করবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিনেটে ট্রাম্পের পছন্দের ব্যক্তিকে নাকানি-চুবানি
  • ‘ভোট দিলাম সন্দ্বীপে, এমপি পেলাম মালদ্বীপে’ বনাম ‘যার যত ভোট, তার তত আসন’
  • বরিশাল বোর্ডের ১৬ বিদ্যালয়ে শতভাগ ফেল
  • সেপটিক ট্যাংকে মুঠোফোন তুলতে গিয়ে আটকে পড়েন একজন, অন্যরা যান উদ্ধার করতে
  • ট্রলের মুখে প্রসেনজিতের দুঃখ প্রকাশ
  • ফিরছে সুপারম্যান: ভিন্ন এক রূপে
  • এক কলেজে ৩ অধ্যক্ষ
  • এক কলেজে তিন অধ্যক্ষ
  • ওয়াসার এমডি ও স্থানীয় সরকার পরিচালক পদে নতুন কর্মকর্তা