আড়াইহাজারে 'তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ' শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে  উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের হল রুমে এই  কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

কর্মশালায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাজ্জাত হোসেনর সভাপতিত্বে ও আরো উপস্থিত ছিলেন, কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ  সাইফুল ইসলাম,  উপজেলা শিক্ষা অফিসার মমতাজ বেগম, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মেডিকেল অফিসার  ডাঃ রীতা ফারিহা,  একাডেমিক সুপারভাইজার মো: শাহজাহান,  অতিরিক্ত কৃষি অফিসার শারমিন  আরা খন্দকার, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান প্রমুখ।  কর্মশালায় বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। 

কর্মশালায় ইউএনও সাজ্জাত হোসেন বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে আগামীর তারুণ্যের ভাবনায় বাংলাদেশ' শীর্ষক কর্মশালাটি একটি ব্যাতিক্রম উদ্যোগ। আজকের তরুণরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আন্দোলন সংগ্রামের পাশাপাশি তাদের শ্রেণিকক্ষে ফিরে যেতে হবে। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।

আমরা আশা রাখি এই কর্মশালা নতুন প্রজন্মকে নতুনভাবে দেশ গড়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

দাদাগিরি আর বরদাশত করা হবে না: জামায়াত আমির

দেশে কোনো ধরনের রাজনৈতিক দাদাগিরি আর বরদাশত করা হবে না উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, “জনগণ আগামী নির্বাচনে একটি দলকে লাল কার্ড দেখাবে। এই লাল কার্ড থেকে বাঁচতে গিয়ে যদি কেউ নির্বাচন ভন্ডুেলর চেষ্টা করে, জনগণই তাদের সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেবে।”

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেটের আলিয়া মাদরাসা মাঠে ইসলামী ও সমমনা আট দলের বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুর রহমান বলেন, “প্রশাসনিক ক্যু করে নির্বাচন হাইজ্যাক করার যে সূর্য আঁতুরঘরে মারা গেছে, তা আর বাংলাদেশে উঠবে না। এখন নতুন সূর্য উদিত হবে, সেই সূর্য কোরআন বুকে নিয়ে উঠবে। বাংলাদেশ থেকে অপশাসন দূর হবে, মাঝিমাল্লা, শ্রমিক, ছাত্রসহ সাধারণ মানুষের বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।”

তিনি দাবি করেন, লুটেরাদের হাত থেকে দেশ উদ্ধার করে দেশপ্রেমিক মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হবে। আট দলের আন্দোলনের সঙ্গে দেশের যুব সমাজের আকাঙ্ক্ষা মিলে গেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। 

“যারা এই স্বপ্নের পথে বাধা দেবে, জনগণ তাদের ক্ষমা করবে না,” বলেন তিনি।

বিদেশি চাপ বা হুমকির প্রিত ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “অনেকে বিদেশি দেশের ভয় দেখায়। কিন্তু ইসলামিক ও দেশপ্রেমিক দলের নেতারা হাসিমুখে মৃত্যুকে বরণ করতে পারেন। তাদের ভয় দেখানো অর্থহীন।”

তিনি আরও বলেন, “দাদাগিরি আর বরদাশত করা হবে না। বাংলাদেশ চলবে আল্লাহর নির্দেশে এবং জনগণের পছন্দে। যারা বিদেশের পেটে আশ্রয় নিয়েছেন, তারা এখন অখাদ্য গিলতেও পারছে না, ফেলতেও পারছে না। তাদের প্রশ্ন—যাবে কোথায়?”

খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম (পীর সাহেব চরমোনাই), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির মাওলানা সারওয়ার কামাল আজিজি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) কেন্দ্রীয় সহসভাপতি রাশেদ প্রধান ও বাংলাদেশ ডেভোলাপমেন্ট পার্টির (বিডিপি) সভাপতি অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল হক চাঁন প্রমুখ। 

ঢাকা/রাহাত//

সম্পর্কিত নিবন্ধ