সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্যদের বিরুদ্ধে করা নাইকো দুর্নীতি মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন উপপরিচালক সাহেদুর রহমান সাক্ষ্য দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল-মামুন তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। তবে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ না হওয়ায় আগামী ২৯ জানুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে। 

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া, আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া ও আমিনুল ইসলাম। এর আগে এ মামলার বাদী, কানাডার পুলিশ লয়েড স্কোয়েপ, কেভিন ডুগানসহ মোট ৩৮ সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

এদিন মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তাঁর পক্ষে আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া হাজিরা দাখিল করেন। মামলায় ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক (বর্তমানে উপপরিচালক) মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন। ২০০৮ সালের ৫ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক (বর্তমানে উপপরিচালক) এস এম সাহিদুর রহমান তদন্ত শেষে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

ধর্ম অবমাননার অভিযোগে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রিমান্ডে

ধর্ম অবমাননার অভিযোগে করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী বিশ্বজিৎ চন্দ্র বর্মণের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, রিমান্ড শুনানির জন্য বিশ্বজিৎকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করে। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী গুলজার হোসেন বলেন, ‘প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে আসামির সঙ্গে বিরোধ থাকায় বাদী তাঁর বিরুদ্ধে এ মামলা করেছেন। মামলার অভিযোগ মিথ্যা।’

বিশ্বজিৎ সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল উল্লেখ করে তাঁর আইনজীবী আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর পুলিশ তাঁর (বিশ্বজিৎ) মোবাইল ও ল্যাপটপ জব্দ করেছে। তিনি যদি কিছু করে থাকতেন, সেখানেই তা পাওয়ার কথা। নতুন করে রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজন নেই।’

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শামসুদ্দোহা সুমন শুনানিতে বলেন, ‘গত ছয় মাসে ধর্ম অবমাননার যে ঘটনা ঘটেছে, গত ১৫ বছরেও তা ঘটেনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এসব ধর্ম অবমাননার ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।’

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ নভেম্বর ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে বিশ্বজিৎকে মারধরের পর পুলিশের কাছে তুলে দেন তিতুমীর কলেজের একদল শিক্ষার্থী। ওই দিনই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেন একই কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াহিদ সাব্বির।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘ফারিয়া আক্তার’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে গত ২২ নভেম্বর মহানবী (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তি করা হয়। বাদী বিষয়টি অন্য শিক্ষার্থীদের জানান। একপর্যায়ে তাঁরা ওই আইডির ব্যবহারকারী হিসেবে বিশ্বজিৎকে শনাক্ত করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পুরান ঢাকায় ছুরিকাঘাতে কারখানার শ্রমিক হত্যায় যুবকের স্বীকারোক্তি
  • বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ করতে চান আনিসুল ও সালমান
  • বাগেরহাটে আগের মতো চারটি সংসদীয় আসন থাকছে
  • প্রজননস্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলছে জলবায়ু পরিবর্তন
  • বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন পুনর্বহালের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের ওপর শুনানি শুরু
  • সিলেটে পুলিশ কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাত: ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
  • সাবেক সংসদ সদস্য জয়সহ পাঁচজনের ৮৬ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ
  • সুপ্রিম কোর্টের অন্য রকম ফ্যাশন শোয়ে মডেল হলেন আইনজীবীরা, দেখুন ছবিতে
  • নারায়ণগঞ্জে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত
  • ধর্ম অবমাননার অভিযোগে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রিমান্ডে