Samakal:
2025-08-08@09:53:44 GMT

আত্মহত্যাকে ‘না’ বলুন

Published: 31st, January 2025 GMT

আত্মহত্যাকে ‘না’ বলুন

বর্তমানে বাংলাদেশের একটি প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে আত্মহত্যা। এটি এমন একটি জঘন্যতম সিদ্ধান্ত, যা শুধু জীবনকে শেষ করে না; বরং একজন ব্যক্তির চারপাশের মানুষদের অসহনীয় মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে ফেলে। বিশেষ করে উচ্চশিক্ষা অর্জনে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য ভর্তি পরীক্ষা দিতে হয়। তা আশানুরূপ না হওয়া বা সামাজিক বিভিন্ন সমস্যার কারণে এ জঘন্যতম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় অনেক শিক্ষার্থী।
গত ২৭ জানুয়ারি ইশতিয়াক চৌধুরী মাহিম নামে এক শিক্ষার্থী অনেক হতাশার মধ্যে পড়ে এ আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। আবার বিভিন্ন পরিবারে রয়েছে নানা ধরনের সমস্যা। যেমন– বিয়ে বিচ্ছেদ, স্বামী বা স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্কে আসক্তি, ব্যবসায় ক্ষতি, বিষণ্নতা, হতাশা, একাকিত্ব, ব্যক্তিগত ও সামাজিক চাপে ডুবে যাওয়া অনেক মানুষ এমন পরিস্থিতিতে পড়েন। যেখানে তারা মনে করেন, তাদের জীবনের আর কোনো মূল্য নেই। এই অনুভূতি থেকে জন্ম নেয় আত্মহত্যা করার চিন্তা, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং জীবন ধ্বংস করার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত। গণমাধ্যমের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালে সারাদেশে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ৩১০ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। সমাজের প্রত্যেক মানুষকে দায়িত্বশীল হতে হবে, যাতে কেউ এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য না হন। সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। তাহলেই বন্ধ হবে আত্মহত্যা।
বন্ধ হোক আত্মহত্যার মতো ভয়াবহ জঘন্যতম সিদ্ধান্ত। খুলে যাক নতুন জীবনের দরজা। যেখানে আশা আছে, ভালোবাসা আছে এবং নতুন স্বপ্নের জন্য বেঁচে থাকার শক্তি আছে।

রবিউল হাসান সাগর
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ (২০২৩-২৪)
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে না: গঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেছেন, বৃহস্পতিবার ৭ আগস্ট সন্ধ্যায় গাজীপুর চৌরাস্তায় প্রকাশ্য দিবালোকে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। বিকালেই তিনি গাজীপুর চৌরাস্তায় ফুটপাতে চাঁদাবাজি নিয়ে লাইভ করেছিলেন। সন্ধ্যায় তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। দেশের চাঁদাবাজরা কত নৃশংস ও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তার আরেকটি ভয়ংকর দৃষ্টান্ত এটা। এই ন্যক্কারজনক নৃশংস হত্যাকাণ্ড থেকে এটা প্রমাণ হয় যে, ফ্যাসিবাদের কবল থেকে মুক্ত হয়ে দেশ এখন সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের দখলে চলে গেছে।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) বাদ জুমআ নগরীর ডিআইটি চত্বর থেকে গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশ সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেক্রেটারি সুলতান মাহমুদের সঞ্চালনায় মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন, নগর সহ-সভাপতি মুহা. নুর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাও. শামসুল আলম, অর্থ সম্পাদক মুহা. ইসমাইল, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক মাও. সাইয়্যেদ রিদওয়ান, সহ প্রচার ও দাওয়া সম্পাদক মোস্তফা তালুকদার প্রমুখ।
 
তিনি আরও বলেন, ফুটপাতে কারা চাঁদাবাজি করে তা সবাই জানে। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে তাদের সম্পৃক্ততা স্পষ্ট। অবিলম্বে এদের গ্রেফতার করতে হবে এবং শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, একের পর এক এরকম হত্যাকাণ্ড, জুলুম করেই যাচ্ছে। অপরদিকে প্রশাসন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। দেশের জনগণ আইনের শাসন পাচ্ছে না। 

নেতৃবৃন্দ হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, একটি মহলের উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের উস্কানিমূলক বক্তব্য দেশ আরও অশান্ত করে তুলছে। প্রকাশ্যে তারা মানুষকে দা, কুড়াল ও চাপাতি দিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। এটা কোন সভ্য মানুষের বক্তব্য হতে পারে না। এমন বক্তব্য কেবল উগ্র সন্ত্রাসীদের পক্ষ থেকেই আসতে পারে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

সম্পর্কিত নিবন্ধ