ট্রফি নিতে নাজমুলকে এগিয়ে দিলেন তামিম
Published: 7th, February 2025 GMT
উদ্যাপনের চেনা দৃশ্য, চেনা মুখ। এক বছরে কত কিছু বদলেছে। বদলায়নি কেবল বিপিএলের ফাইনাল শেষের গল্প। একই জার্সির ক্রিকেটাররা এবারও ‘ভিক্টোরি ল্যাপ’ দিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে পরিবার থেকেছে আগের মতোই।
বদলেছে কেবল একটি বিষয়ই, তামিম ইকবাল অধিনায়ক হয়েও ট্রফিটা নেননি, এগিয়ে দিয়েছেন শেষের দিকে একাদশে সুযোগ না পাওয়া নাজমুল হোসেনকে। দৃশ্যটা বুঝিয়ে দিয়েছে, কেন ফরচুন বরিশাল আরও একবার চ্যাম্পিয়ন।
এর আগে হয়েছে ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবালের ‘বিদায়’ অনুষ্ঠান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিদায় বলে দেওয়া তামিমের জন্য তৈরি করা হয়েছিল ভিডিও। লর্ডস, ভাঙা হাতে নেমে পড়া কিংবা ডাউন দ্য উইকেট—সবই এসেছে ওই ভিডিওতে। স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকাকে সঙ্গে নিয়ে ছলছল চোখে ওই দৃশ্য দেখেছেন তামিম।
টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফরচুন বরিশাল.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
হাদির ওপর হামলা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র: সালাহউদ্দিন
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, “আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতেই পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।”
আরো পড়ুন:
জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান
বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি: নয়াপল্টনে এসে মিলছে সব পথের মিছিল
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “১০ ডিসেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিনই একজন সম্ভাব্য জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থীর ওপর হামলা হলো। হামলার ধরন দেখে স্পষ্ট—এটি পেশাদার শ্যুটারের কাজ। আমরা এটিকে কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখছি না।”
দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর পর আগামী ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার ঘোষণার প্রেক্ষাপটে হাদির ওপর হামলার ঘটনা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এ বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “সব রাজনৈতিক নেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। “তারেক রহমানসহ সব রাজনৈতিক নেতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সরকারকে আহ্বান জানিয়েছি। এটি আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।”
তিনি আরো বলেন, “কোনো আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। তবে এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, রাজনৈতিক দল ও জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।”
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যৌথ বাহিনী এবং জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ ধরনের সহিংসতা বন্ধ করা সম্ভব বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, “জনগণের প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষাকে আমরা সর্বোচ্চ স্থানে রাখবো। ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য অটুট রাখা আমাদের অঙ্গীকার—এখানে কোনো আপস নেই।”
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “পতিত ফ্যাসিবাদকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই—এই ধরনের হামলা করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। জনগণের ঐক্যের কাছে সব ষড়যন্ত্র পরাজিত হবে।”
ঢাকা/আলী/সাইফ