সুইজারল্যান্ড আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষায় নানা বৃত্তি ও ফেলোশিপ দেয়। এবার দিচ্ছে ফেলোশিপ। সুইজারল্যান্ডের জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয় দেবে এ ফেলোশিপ। এর কেতাবী নাম ‘এক্সিলেন্স মাস্টার ফেলোশিপ’। এর আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের সব বিষয়ে স্নাতকোত্তরে পড়তে পারবেন। বাংলাদেশসহ অন্য সব দেশের শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয় সুইজারল্যান্ডের অন্যতম প্রাচীন একটি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ১৫৫৯ সালে যাত্রা শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আইন, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বিষয়ে অসংখ্য কোর্স ও গবেষণার সুযোগ রয়েছে, যা বিশ্বের শিক্ষার্থীদের জন্য আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত।

আরও পড়ুনবুয়েটে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ১২ ঘণ্টা আগেকোন কোন বিষয়ে পড়াশোনা—

জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ বিশ্বের অন্যতম স্বীকৃত গবেষণাপ্রতিষ্ঠান। অ্যাস্ট্রোনমি, বায়োলজি, কেমিস্ট্রি অ্যান্ড বায়োকেমিস্ট্রি, কম্পিউটার সায়েন্স, ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স, ম্যাথমেটিকস, আর্থ সায়েন্স, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিষয়ে আবেদন করতে পারবেন।

সুযোগ-সুবিধা—

এক্সিলেন্স মাস্টার ফেলোশিপে শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫ হাজার সুইস ফ্রাঙ্ক পাবেন। এক বছরের জন্য এ ফেলোশিপ দেওয়া হয়। তবে প্রথম সেমিস্টারে সফলতার সঙ্গে একাডেমিক কার্যক্রম সম্পন্ন করার শর্তে ফেলোশিপের মেয়াদ দ্বিতীয় বছরে বৃদ্ধি করা হতে পারে।

প্রথম আলো ফাইল ছবি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

নেত্রকোণায় এনসিপি নেতাসহ ৩ জনকে মারধরের ঘটনায় মামলা 

নেত্রকোণার কলমাকান্দায় জমির আইল নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উপজেলা সমন্বয় কমিটির সদস্য মেহেদী হাসান (১৯), তার বাবা এবং বড় ভাইকে পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে মামলাটি হয়। শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকালে কলমাকান্দা থানার ওসি মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আহতরা হলেন- কৈলাটী ইউনিয়নের সেহড়াউন্দ গ্রামের মেহেদী হাসান, তার বাবা মানিক মিয়া (৬৩) ও বড় ভাই আকাশ মিয়া (২৮)।

আরো পড়ুন:

চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২

সড়কের কাজে অনিয়ম, অস্বীকার করায় এলজিইডি কর্মচারীকে মারধর

মামলার আসামিরা হলেন- আজগড়া গ্রামের মো. মোন্তাজ মিয়া (৭০), তার তিন ছেলে জুয়েল মিয়া (৩৫), সোহেল মিয়া (৪০) ও মনির মিয়া (২৮), একই গ্রামের মো. ইছা মিয়া (৩২), রাকিব মিয়া (২২), আদম আলী (১৯) ও মামুন মিয়া (২৭)।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বুধবার দুপুরে মানিক মিয়া ও মনির মিয়ার মধ্যে ধান ক্ষেতের আইল নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসা করলেও পরে মনির মিয়াসহ ৭-৮ জনের একটি দল মেহেদী, তার বাবা ও ভাইয়ের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। মেহেদীর অবস্থা অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বৃহস্পতিবার মেহেদী হাসান বাদী হয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
 
ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

কলমাকান্দা থানার ওসি মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, ‍‍“ঘটনার পর আসামির গা ঢাকা দিয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”

ঢাকা/ইবাদ/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ