ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দামের বাড়ির একটি ঘরে আগুন
Published: 15th, April 2025 GMT
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের বাড়ির একটি খড়ের ঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার দিবাগত গভীর রাতে (দেড়টায়) পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সাতখামার এলাকায় সাদ্দামের গ্রামের বাড়ির প্রাচীর সংলগ্ন একটি খড় ও খড়ি রাখার ঘরে এ ঘটনা ঘটে। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় বোদা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তার মূল বাড়ির কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আগুনের সূত্রপাত কিভাবে হয়েছে তা নিশ্চিত হতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
এ দিকে সাদ্দামের বাড়ির অগ্নিকাণ্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক বিভিন্ন পেজে শেয়ার করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরা কোনোভাবে জীবন রক্ষা পেয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, বাড়ির প্রাচীর সংলগ্ন একটি খড় ও খড়ি রাখার ঘরে অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যায়। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। মধ্য রাতে ওই ঘরে আগুন দেখতে পেয়ে ছুটে আসেন প্রতিবেশী ও স্থানীয়রা। তারা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন এবং ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন।
সাদ্দাম হোসেনের মা আনোয়ারা বেগম বলেন, মধ্যরাতে কে বা কারা আমাদের খড়ের ঘরে আগুন দেয়। প্রতিবেশীরা আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। পরে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। সময়মত তারা না আসলে আগুন আমাদের থাকার ঘরেও লাগতো। আমার স্বামী ৩ বছর ধরে বিছানায় পড়ে রয়েছেন। আমরা এখন খুবই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা চাই, প্রশাসন এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্ত করে কারা আগুন দিয়েছে তা খুঁজে বের করুক এবং শাস্তির ব্যবস্থা করুক।
বোদা ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর রায়হান ইসলাম বলেন, আমাদের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ১ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছি। তবে আগুনের সূত্রপাত এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আগ ন
এছাড়াও পড়ুন:
১৪০০ বছরের মধ্যে প্রথম নারী আর্চবিশপ নিয়োগ দিলো চার্চ অফ ইংল্যান্ড
চার্চ অফ ইংল্যান্ড সারা মুল্লালিকে ক্যান্টারবেরির পরবর্তী আর্চবিশপ হিসেবে মনোনীত করেছে। এক হাজার ৪০০ বছরের পুরনো এই পদে প্রথমবারের মতো কোনো নারীকে নিয়োগ দেওয়া হলো। শুক্রবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
সারার এই নিয়োগের ফলে আফ্রিকার রক্ষণশীল অ্যাংলিকানদের সমালোচনার মুখে পড়েছে চার্চ অফ ইংল্যান্ড। কারণ অ্যাংলিকানরা নারী বিশপের বিরোধিতা করেন।
মুল্লালি বিশ্বব্যাপী আট কোটি ৫০ লাখ অ্যাংলিকানদের আনুষ্ঠানিক প্রধানও হবেন। তার পূর্বসূরীদের মতো রক্ষণশীলদের মধ্যে - বিশেষ করে আফ্রিকায়, যেখানে কিছু দেশে সমকামিতা নিষিদ্ধ এবং সাধারণত পশ্চিমে আরো উদার খ্রিস্টানদের মধ্যে বিভেদ দূর করার ক্ষেত্রে একটি কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন মুল্লালি।
ক্যান্টারবেরি ক্যাথেড্রালে তার প্রথম ভাষণে ৬৩ বছর বয়সী সাবেক নার্স যৌন নির্যাতন কেলেঙ্কারি এবং চার্চকে প্রভাবিত করে এমন বিষয়গুলো এবং বৃহস্পতিবার ম্যানচেস্টারের একটি সিনাগগে হামলার পর ইহুদি-বিদ্বেষের নিন্দা করেছেন।
বিশ্বব্যাপী রক্ষণশীল অ্যাংলিকান গির্জাগুলোর দল গ্যাফকন এক বিবৃতিতে মুল্লালির নিয়োগের তাৎক্ষণিক সমালোচনা করে জানিয়েছে, এটি দেখায় যে চার্চের ইংরেজ শাখা ‘নেতৃত্ব দেওয়ার সক্ষমতা হারিয়েছে।’
২০১৮ সাল থেকে লন্ডনের বিশপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন মুল্লালি। এর আগে তিনি চার্চের অভ্যন্তরে বেশ কিছু উদারনৈতিক কাজ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে নাগরিক অংশীদারিত্ব এবং সমকামী দম্পতিদের জন্য আশীর্বাদ প্রদান।
ঢাকা/শাহেদ