‘বৈশাখে হবে উৎসব, উৎসবে হবে নাটক’—এই স্লোগানকে সামনে রেখে আইইউবি থিয়েটারের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘আইইউবি থিয়েটার বৈশাখী নাট্যোৎসব ২০২৫’। ১৩ ও ১৪ এপ্রিল দুই দিনের উৎসবে মোট চারটি নাটক মঞ্চস্থ করে আইইউবি থিয়েটার, জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার, তীরন্দাজ রেপার্টরি এবং বটতলা থিয়েটার।

১৩ এপ্রিল উৎসবের উদ্বোধন করেন ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)-এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান দিদার এ হোসেইন, উপাচার্য ম.

তামিম, সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ড্যানিয়েল ডব্লিউ লুন্ড, স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেসের ডিন বখতিয়ার আহমেদ এবং আইইউবির মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান জাকির হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন আইইউবি থিয়েটারের সমন্বয়ক ও মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের শিক্ষক মমতাজ পারভিন।

উদ্বোধনের পর মঞ্চস্থ হয় আইইউবি থিয়েটারের ২৩তম প্রযোজনা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী কাব্যনাটক ‘তাসের দেশ’। এতে অভিনয় করেন আইইউবির শিক্ষার্থীরা। ১৩ এপ্রিল বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার মঞ্চস্থ করে তাদের ১১৩তম প্রযোজনা ‘দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে’। ১৪ এপ্রিলের প্রথম প্রযোজনা ছিল তীরন্দাজ রেপার্টরির ‘কণ্ঠনালীতে সূর্য’। বিকেলে উৎসবের সর্বশেষ আয়োজন ছিল বটতলা থিয়েটারের দর্শকনন্দিত নাটক ‘খনা’।

নববর্ষের প্রথম দিনের সূর্যাস্তের মধ্যে দিয়ে আইইউবি থিয়েটারের বৈশাখী নাট্যোৎসব–১৪৩২-এর সমাপ্তি হয়।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আমার বাবা শিল্পী কামরুল হাসান

তোমাকে দেখি না সেই কত দিন, কত মাস, কত বছর...। ষোলটি বছর কেটে গেছে তারপরও ভুলে যাই—তুমি নেই। ‘নয়ন সমুখে তুমি নাই, নয়নের মাঝখানে নিয়েছ যে ঠাঁই।’

২ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৮ কবিতা উৎসবের সমাপ্তি দিন। সভাপতিত্ব করবে তুমি তা কিন্তু একবারও বলোনি। উত্তরা থেকে সকাল সকাল তোমাকে নিয়ে বেরিয়েছি, লম্বা পথ, তোমাকে টিএসসিতে নামাব। পথে অনেক গল্প, আমাদের উত্তরার লেকের পাড়ে একটি বিশাল বটগাছ ছিল। তুমি দেখিয়ে বললে এবারের পহেলা বৈশাখটা ওই বটগাছের নিচেই করব, এই উত্তরায়। উত্তরায় ছড়িয়ে দেব পহেলা বৈশাখের আমেজ—এ রকম কত কথা। তার ভেতর তোমার শারীরিক সুস্থতার কথাও উঠল। কথা হলো খুব শিগগিরই তোমাকে নিয়ে দেশের বাইরে গিয়ে তোমার হার্টের বাইপাসটা করিয়ে আসব। তুমি এবার খুব সহজেই সম্মতি দিলে, কী জানি কী ভেবে? নিজেই পকেট থেকে হার্টের ওষুধটা বের করে দেখিয়ে বললে, নিয়ে যাচ্ছি সাথে, তবে একদিন আর জিভের নিচে দিতে হয়নি, বেশ সুস্থ বোধ করছি—এ রকম আরও কত কথা। কিন্তু তখন কি ঘুণাক্ষরেও জানতাম ওই কথোপকথনই হবে তোমার সঙ্গে আমার শেষ কথা?

সেদিনই রাতে শেষ হলো কবিতা উৎসব, সাথে সাথে তুমিও হারিয়ে গেলে। আর ফেরোনি বাড়ি। তোমার অপেক্ষায় আমি তো তখন না খেয়ে বসে আছি। তুমি কি দেখেছ দূর থেকে?

বেশ কিছু দিন থেকেই তুমি আমাকে মাঝে মাঝেই ডেকে পাঠাতে। কী এক জরুরি কথা বলার আছে। কিন্তু একদিনের জন্যও তোমার সেই জরুরি কথাটা শেষ পর্যন্ত আমার কাছে বলতে পারোনি। যা তোমাকে প্রতিনিয়ত ব্যথিত করেছে, তোমার ভেতরটাকে ঝাঁঝরা করে দিয়েছে। কারণ তুমি তো কখনো কথার খেলাপ করোনি, সেটাই তোমাকে দিয়ে করিয়ে নিয়েছিল। তোমার ধারণায় তারা তোমার শুভাকাঙ্ক্ষী, তুমি তা-ই ভাবতে, শেষ পর্যায়ে তোমার ভুল যখন ভাঙতে শুরু করেছিল, তখনই তুমি চলে গেলে। তোমার মৃত্যুর পর আমি বুঝেছিলাম কী ছিল তোমার সেই অতি জরুরি কথা। যে জিনিস তুমি আমাকে দিয়েছিলে, তা তুমি আমার জন্য রক্ষা করতে না পারার পরাজয় তোমাকে এভাবে শেষ করে দিচ্ছিল তা তো তখন আমি জানতাম না। এখন বুঝি—যখন সব শেষ হয়ে গেছে। যাকগে সেসব কথা। তোমার রেখে যাওয়া অজস্র কাজ, সেগুলো ঠিকভাবে সামাল দিতে, সেগুলো নেড়েচেড়ে গোছাতে গোছাতেই কেটে কেল ১৬টি বছর।

‘সখী’, শিল্পী: কামরুল হাসান

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাবিতে শুক্রবার বসছে প্রজাপতি মেলা
  • ‘ভারত-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা ৩৫-৩৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারে’
  • পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
  • সিজানের হ্যাটট্রিকে গ্রুপ ফাইনালে জাহাঙ্গীরনগর
  • শিল্পের দূষণে ডুবছে সাভার ও ধামরাইয়ের কৃষিজমি
  • তিন সেঞ্চুরির ম‌্যাচ, রান উৎসবে ভারতকে হারিয়ে সমতায় দক্ষিণ আফ্রিকা
  • ফারইস্টের ১০ গোলের ঝড়, জিতল আইইউবিএটি, ইউআইইউও
  • জাদুঘরের নিয়োগে ‘প্রত্নতত্ত্ব’ বিষয় অন্তর্ভুক্তির দাবি
  • জাবিতে আইএইজির ১৫তম এশিয়ান আঞ্চলিক সম্মেলন
  • আমার বাবা শিল্পী কামরুল হাসান