আইইউবি থিয়েটারের আয়োজনে শেষ হলো দুই দিনের বৈশাখী নাট্যোৎসব
Published: 20th, April 2025 GMT
‘বৈশাখে হবে উৎসব, উৎসবে হবে নাটক’—এই স্লোগানকে সামনে রেখে আইইউবি থিয়েটারের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘আইইউবি থিয়েটার বৈশাখী নাট্যোৎসব ২০২৫’। ১৩ ও ১৪ এপ্রিল দুই দিনের উৎসবে মোট চারটি নাটক মঞ্চস্থ করে আইইউবি থিয়েটার, জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার, তীরন্দাজ রেপার্টরি এবং বটতলা থিয়েটার।
১৩ এপ্রিল উৎসবের উদ্বোধন করেন ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)-এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান দিদার এ হোসেইন, উপাচার্য ম.
উদ্বোধনের পর মঞ্চস্থ হয় আইইউবি থিয়েটারের ২৩তম প্রযোজনা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী কাব্যনাটক ‘তাসের দেশ’। এতে অভিনয় করেন আইইউবির শিক্ষার্থীরা। ১৩ এপ্রিল বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার মঞ্চস্থ করে তাদের ১১৩তম প্রযোজনা ‘দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে’। ১৪ এপ্রিলের প্রথম প্রযোজনা ছিল তীরন্দাজ রেপার্টরির ‘কণ্ঠনালীতে সূর্য’। বিকেলে উৎসবের সর্বশেষ আয়োজন ছিল বটতলা থিয়েটারের দর্শকনন্দিত নাটক ‘খনা’।
নববর্ষের প্রথম দিনের সূর্যাস্তের মধ্যে দিয়ে আইইউবি থিয়েটারের বৈশাখী নাট্যোৎসব–১৪৩২-এর সমাপ্তি হয়।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নিজেদের ভাষা বাঁচানোর লড়াই করা ম্রো শিশুরা ঢাকায় আসছে
বান্দরবানের লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ে গাছ-বাঁশ-ছনের ছাউনি দেওয়া ছোট্ট একটি স্কুল। নাম তার ‘পাওমুম থারক্লা’। ম্রো ভাষায় যার অর্থ ‘ফুলের কলি ফোটাতে হবে’। এই স্কুলের শিশুরা কেউ কোনো দিন লামার বাইরেও যায়নি। অভিভাবকদের অবস্থাও প্রায় একই। পাহাড়ের আড়ালে থাকা এই শিশুরা এবার ঢাকায় আসছে নিজেদের গল্প বলতে—প্রথমবারের মতো।
২ হাজার ৫০০ বর্গফুটের পাওমুম থারক্লা স্কুলে শিশুরা পড়ছে প্রাক্-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। ১৭ থেকে ২৪ ডিসেম্বর ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে ‘ফ্রম হিলস টু হোপ’ উৎসব। সেখানে অংশ নেবে এই স্কুলের ২৬ শিশুসহ ম্রো জনগোষ্ঠীর ৪০ জন। তাঁরা জানাবেন, পাহাড়ের জীবন, সংস্কৃতি, স্বপ্ন আর সংগ্রামের কথা। এই শিশুদের চোখে ঢাকা শহর দেখবে এক অন্য রকম পৃথিবী। উৎসবে পাহাড়ের শিশুদের স্বপ্নগুলো যেন ডানা মেলতে পারে, সে আহ্বানও থাকবে।
পাহাড়ের ওপর অবস্থিত পাওমুম থারক্লা স্কুলের শিশুরা কেউ কোনো দিন লামার বাইরেও যায়নি