Samakal:
2025-10-03@06:02:24 GMT

গ্রামজীবনের স্মৃতির খোঁজে

Published: 20th, April 2025 GMT

গ্রামজীবনের স্মৃতির খোঁজে

প্রধান ফটক থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত সাজানো হয়েছে রংবেরঙের বাতি ও প্রাচীন মোটিফে। সব স্টলকে সাজানো হয়েছে শন দিয়ে তৈরি ঘরের আদলে। এসবের সামনে বিপুলসংখ্যক মানুষের ভিড়। তাদের চোখমুখ খুঁজে ফিরছে ফেলে আসা গ্রামজীবনের স্মৃতি। সোনারগাঁয়ের বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে আয়োজিত পক্ষকালব্যাপী মেলায় শনিবার দেখা মেলে এমন দৃশ্যের। 
পরিবার নিয়ে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে এসেছেন হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, গ্রামবাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য দেখতে পাওয়া যায় এই মেলায়। অতীতকালে মানুষের ব্যবহার্য জিনিসপত্র চেনানোর জন্য ছেলেমেয়েকে নিয়ে এসেছেন। এগুলো দেখলে কিছুটা হলেও পুরোনো দিনের কাছে ফিরে যেতে পারেন তিনি। 
নববর্ষের এই মেলা শুরু হয়েছে পহেলা বৈশাখ সকালে। প্রতিদিন মেলার লোকজ মঞ্চে সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছে। প্রতিদিনই থাকছে বাউল গান ও লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুতুলনাচ, হালখাতা, বায়োস্কোপ, সাপ ও বানর খেলা, নাগরদোলাসহ গ্রামীণ বিনোদনের নানা আয়োজন। থাকছে হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ খেলা তিন গুটি, সাত গুটি, বাঘবন্দি, কানামাছি, গোল্লাছুট, বউচি ও কপাল টোক্কা। খাবারবিলাসীদের জন্যও থাকছে মুখরোচক সব বাঙালি খাবার।
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থেকে শিক্ষার্থী মাসুদ আলম ও কাউসার মৃধা এসেছেন মেলায়। তারা বলেন, ব্যতিক্রমী পণ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে মেলার স্টল। সব পণ্যই কারুশিল্পীদের তৈরি। এখন প্লাস্টিকজাত পণ্যের ভিড়ে কারুপণ্যের কদর কমে গেছে। বেশি বেশি এমন মেলার আয়োজন করলে বর্তমান প্রজন্ম এসব জিনিস চিনতে পারবে। 
কারুশিল্পী চম্পা বর্মণের ভাষ্য, তাদের তৈরি পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করেছে ফাউন্ডেশন। প্রতিবছর শুধু কারুপণ্যের মেলা আয়োজনের আকুতি তাঁর। মৃৎশিল্পী সঞ্জয় কুমার পাল বলেন, তাদের পণ্য দর্শনার্থীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। শখের হাঁড়ি অনেকেই কিনে নিচ্ছেন শখের বশে। 
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, আয়োজনের উদ্দেশ্য দেশের বিভিন্ন এলাকার জামদানি, শতরঞ্জি, নকশিকাঁথা, মৃৎশিল্প, দারুশিল্প, হাতপাখা, কাঠখোদাই শিল্প, পটচিত্রশিল্প, শোলা শিল্প, বাঁশ-বেত শিল্প ও নৃগোষ্ঠীর কারুশিল্পীদের সৃষ্টিশীল কর্মের উপস্থাপন। পাশাপাশি তারা যেন বিপণনের সুযোগ পান সেটাই লক্ষ্য।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে এডিবি স্কলারশিপ, আইইএলটিএসে ৭ স্কোরে আবেদন

সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করার জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের এডিবি স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির আওতায় এমবিএ ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬ সালের জন্য বৃত্তিটি কার্যকর থাকবে। আগ্রহী শিক্ষার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। এমবিএ প্রোগ্রামের সময়কাল ১৭ মাস।

সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হলো দেশটির প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে শীর্ষস্থানীয় পাবলিক গবেষণা হয়ে থাকে। ১৯০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ার অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত। বর্তমানে এখানে ৪০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। বৈশ্বিক র‍্যাঙ্কিংয়ে নিয়মিতভাবে শীর্ষ অবস্থানে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়টি উদ্ভাবনী শিক্ষা, বিশ্বমানের গবেষণা এবং বহুমুখী সাংস্কৃতিক পরিবেশের জন্য বিখ্যাত।

একনজরে—

—আয়োজক দেশ: সিঙ্গাপুর,

—বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম: ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর,

—ডিগ্রি: পূর্ণকালীন MBA,

—সুবিধা: সম্পূর্ণ অর্থায়িত।

আর্থিক সুবিধা—

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সদস্যদেশগুলোর প্রার্থীদের জন্য সম্পূর্ণ অর্থায়নে বৃত্তি প্রদান করা হয়।

আবেদনকারী প্রার্থীর বয়স ৩৫ বছরের বেশি হওয়া চলবে না

সম্পর্কিত নিবন্ধ