Samakal:
2025-07-03@03:35:53 GMT

গ্রামজীবনের স্মৃতির খোঁজে

Published: 20th, April 2025 GMT

গ্রামজীবনের স্মৃতির খোঁজে

প্রধান ফটক থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত সাজানো হয়েছে রংবেরঙের বাতি ও প্রাচীন মোটিফে। সব স্টলকে সাজানো হয়েছে শন দিয়ে তৈরি ঘরের আদলে। এসবের সামনে বিপুলসংখ্যক মানুষের ভিড়। তাদের চোখমুখ খুঁজে ফিরছে ফেলে আসা গ্রামজীবনের স্মৃতি। সোনারগাঁয়ের বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে আয়োজিত পক্ষকালব্যাপী মেলায় শনিবার দেখা মেলে এমন দৃশ্যের। 
পরিবার নিয়ে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে এসেছেন হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, গ্রামবাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য দেখতে পাওয়া যায় এই মেলায়। অতীতকালে মানুষের ব্যবহার্য জিনিসপত্র চেনানোর জন্য ছেলেমেয়েকে নিয়ে এসেছেন। এগুলো দেখলে কিছুটা হলেও পুরোনো দিনের কাছে ফিরে যেতে পারেন তিনি। 
নববর্ষের এই মেলা শুরু হয়েছে পহেলা বৈশাখ সকালে। প্রতিদিন মেলার লোকজ মঞ্চে সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছে। প্রতিদিনই থাকছে বাউল গান ও লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুতুলনাচ, হালখাতা, বায়োস্কোপ, সাপ ও বানর খেলা, নাগরদোলাসহ গ্রামীণ বিনোদনের নানা আয়োজন। থাকছে হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ খেলা তিন গুটি, সাত গুটি, বাঘবন্দি, কানামাছি, গোল্লাছুট, বউচি ও কপাল টোক্কা। খাবারবিলাসীদের জন্যও থাকছে মুখরোচক সব বাঙালি খাবার।
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থেকে শিক্ষার্থী মাসুদ আলম ও কাউসার মৃধা এসেছেন মেলায়। তারা বলেন, ব্যতিক্রমী পণ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে মেলার স্টল। সব পণ্যই কারুশিল্পীদের তৈরি। এখন প্লাস্টিকজাত পণ্যের ভিড়ে কারুপণ্যের কদর কমে গেছে। বেশি বেশি এমন মেলার আয়োজন করলে বর্তমান প্রজন্ম এসব জিনিস চিনতে পারবে। 
কারুশিল্পী চম্পা বর্মণের ভাষ্য, তাদের তৈরি পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করেছে ফাউন্ডেশন। প্রতিবছর শুধু কারুপণ্যের মেলা আয়োজনের আকুতি তাঁর। মৃৎশিল্পী সঞ্জয় কুমার পাল বলেন, তাদের পণ্য দর্শনার্থীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। শখের হাঁড়ি অনেকেই কিনে নিচ্ছেন শখের বশে। 
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, আয়োজনের উদ্দেশ্য দেশের বিভিন্ন এলাকার জামদানি, শতরঞ্জি, নকশিকাঁথা, মৃৎশিল্প, দারুশিল্প, হাতপাখা, কাঠখোদাই শিল্প, পটচিত্রশিল্প, শোলা শিল্প, বাঁশ-বেত শিল্প ও নৃগোষ্ঠীর কারুশিল্পীদের সৃষ্টিশীল কর্মের উপস্থাপন। পাশাপাশি তারা যেন বিপণনের সুযোগ পান সেটাই লক্ষ্য।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

৫ রানে নেই ৭ উইকেট, তবু রেকর্ডটা বাংলাদেশের নয়

কলম্বোয় কাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে রান তাড়ায় শুরুটা ভালোই হয়েছিল বাংলাদেশের। ১০০ রান উঠেছিল মাত্র ১৬.২ ওভারে, উইকেট পড়েছিল মাত্র ১টি। তানজিদ হাসান খেলছিলেন দারুণ। নাজমুল হোসেন রানআউট হওয়ার আগে সব ঠিকঠাকই মনে হচ্ছিল। তারপর যেন সব উল্টে গেল।

২৭ বলের মধ্যে ৫ রানে নেই বাংলাদেশের ৭ উইকেট! ১০০/১ থেকে দেখতে না দেখতেই বাংলাদেশ ১০৫/৮।  ওয়ানডে ইতিহাসে সবচেয়ে কম রানে দ্বিতীয় থেকে অষ্টম উইকেট হারানোর রেকর্ড এটিই। তবে ইনিংসের যে কোনো পর্যায়ে সবচেয়ে কম রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারানোর রেকর্ড এটি নয়।

ওয়ানডে ইতিহাসে এর চেয়ে বাজে ৭ উইকেটের ধস আছে মাত্র একটি। ২০০৮ সালে হারারেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে ১২৪/৩ থেকে অলআউট হয়েছিল ১২৭ রানে—শেষ ৭ উইকেট হারিয়েছিল ৩ রানে।

২০১৪ সালে মিরপুরে ভারতের বিপক্ষে ৮ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ

সম্পর্কিত নিবন্ধ