বিপাকে এলজি স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা, কেন
Published: 3rd, May 2025 GMT
একসময়ের জনপ্রিয় মোবাইল ব্র্যান্ড এলজি আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের স্মার্টফোনে সফটওয়্যার–সেবা বন্ধের চূড়ান্ত সময়সীমা ঘোষণা করেছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, আগামী ৩০ জুনের পর থেকে এলজি স্মার্টফোনে সফটওয়্যার হালনাগাদ বা কোনো নিরাপত্তাসুবিধা পাওয়া যাবে না।
দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক এলজি ২০২১ সালে মোবাইল ব্যবসা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়। স্যামসাং ও অপোর মতো প্রতিদ্বন্দ্বী ব্র্যান্ডের সঙ্গে টিকতে না পেরে এই সিদ্ধান্ত নেয় প্রতিষ্ঠানটি। সেই সময় এলজি জানিয়েছিল, নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এলজি স্মার্টফোনে সফটওয়্যার হালনাগাদ ও নিরাপত্তা–সেবা দেওয়া হবে। সম্প্রতি এক ঘোষণায় এলজি জানিয়েছে, মোবাইল সফটওয়্যার হালনাগাদ না করার পাশাপাশি এলজি আপডেট সেন্টার ও এলজি ব্রিজ সেবা আগামী ৩০ জুন থেকে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্মার্টফোনের সফটওয়্যার হালনাগাদ না করলে ভবিষ্যতে সফটওয়্যারজনিত বিভিন্ন সমস্যা হওয়ার পাশাপাশি নিরাপত্তাঝুঁকি তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে এলজি। আর তাই প্রয়োজনীয় সব সফটওয়্যারের হালনাগাদ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করে নেওয়ার অনুরোধও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
পুরোনো সফটওয়্যারে থাকা নিরাপত্তাজনিত দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে সহজেই বিভিন্ন ধরনের সাইবার হামলা চালিয়ে থাকে হ্যাকাররা। এর ফলে ব্যক্তিগত তথ্য চুরির আশঙ্কা থাকে। এ সমস্যা সমাধানে নিয়মিত সফটওয়্যার হালনাগাদ করে নতুন সুবিধা যুক্তের পাশাপাশি বিভিন্ন নিরাপত্তা ত্রুটির সমাধান করে থাকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
সূত্র: ডেইলি মেইল
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
লাইটবার খুলে পড়ার আশঙ্কায় টেসলার সাইবারট্রাকের ১০ শতাংশ গাড়ি প্রত্যাহার
আবারও বাজার থেকে সাইবারট্রাক ফিরিয়ে নিচ্ছে টেসলা। এবার এর কারণ সফটওয়্যার নয়, সরাসরি যান্ত্রিক ত্রুটি। যুক্তরাষ্ট্রে ৬ হাজার ১৯৭টি সাইবারট্রাক প্রত্যাহারের বা রিকলের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনএইচটিএসএ) তথ্য অনুযায়ী, এসব গাড়ির সামনের লাইটবার খুলে পড়ে সড়কে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২৪ মডেলের কিছু সাইবারট্রাকে লাইটবার বসানোর সময় ভুল ধরনের ‘সারফেস প্রাইমার’ ব্যবহার করা হয়েছিল। ফলে আঠালো সংযোগ দুর্বল হয়ে পড়েছে। সহজভাবে বললে, টেসলা কিছু গাড়িতে লাইটবার লাগাতে ভুল আঠা ব্যবহার করেছিল। যেসব গাড়িতে এই ত্রুটি রয়েছে, সেগুলোর লাইটবার পরীক্ষা করে দেখা হবে। প্রয়োজনে নতুনভাবে লাইটবার বসানো হবে। সবই গ্রাহকদের জন্য বিনা খরচে। প্রায় ৬ হাজার ২০০টি সাইবারট্রাক প্রত্যাহার মানে টেসলার বিক্রি হওয়া মোট গাড়ির প্রায় ১০ শতাংশই সমস্যাগ্রস্ত।
এর এক সপ্তাহ আগেই আরও একটি বড় ত্রুটির কারণে ৬৩ হাজার ৬১৯টি সাইবারট্রাক প্রত্যাহার করা হয়েছিল। তখন দেখা যায়, গাড়ির সামনের পার্কিং লাইট অতিরিক্ত উজ্জ্বল হয়ে ওঠায় তা সামনের দিক থেকে আসা গাড়ির চালকদের দৃষ্টিকে ব্যাহত করতে পারে। তবে সেই সমস্যা সফটওয়্যার আপডেটের মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছিল। টেসলার সাইবারট্রাক নিয়ে একের পর এক প্রত্যাহার এখন প্রায় নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এর অনেক সমস্যাই হার্ডওয়্যার–সংক্রান্ত, যেগুলো দূর থেকে সফটওয়্যার আপডেট দিয়ে সমাধান করা সম্ভব নয়।
সূত্র: ম্যাশেবল