একসময়ের জনপ্রিয় মোবাইল ব্র্যান্ড এলজি আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের স্মার্টফোনে সফটওয়্যার–সেবা বন্ধের চূড়ান্ত সময়সীমা ঘোষণা করেছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, আগামী ৩০ জুনের পর থেকে এলজি স্মার্টফোনে সফটওয়্যার হালনাগাদ বা কোনো নিরাপত্তাসুবিধা পাওয়া যাবে না।

দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক এলজি ২০২১ সালে মোবাইল ব্যবসা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়। স্যামসাং ও অপোর মতো প্রতিদ্বন্দ্বী ব্র্যান্ডের সঙ্গে টিকতে না পেরে এই সিদ্ধান্ত নেয় প্রতিষ্ঠানটি। সেই সময় এলজি জানিয়েছিল, নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এলজি স্মার্টফোনে সফটওয়্যার হালনাগাদ ও নিরাপত্তা–সেবা দেওয়া হবে। সম্প্রতি এক ঘোষণায় এলজি জানিয়েছে, মোবাইল সফটওয়্যার হালনাগাদ না করার পাশাপাশি এলজি আপডেট সেন্টার ও এলজি ব্রিজ সেবা আগামী ৩০ জুন থেকে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্মার্টফোনের সফটওয়্যার হালনাগাদ না করলে ভবিষ্যতে সফটওয়্যারজনিত বিভিন্ন সমস্যা হওয়ার পাশাপাশি নিরাপত্তাঝুঁকি তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে এলজি। আর তাই প্রয়োজনীয় সব সফটওয়্যারের হালনাগাদ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করে নেওয়ার অনুরোধও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

পুরোনো সফটওয়্যারে থাকা নিরাপত্তাজনিত দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে সহজেই বিভিন্ন ধরনের সাইবার হামলা চালিয়ে থাকে হ্যাকাররা। এর ফলে ব্যক্তিগত তথ্য চুরির আশঙ্কা থাকে। এ সমস্যা সমাধানে নিয়মিত সফটওয়্যার হালনাগাদ করে নতুন সুবিধা যুক্তের পাশাপাশি বিভিন্ন নিরাপত্তা ত্রুটির সমাধান করে থাকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

সূত্র: ডেইলি মেইল

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন নোট চিনছে না টাকা জমার মেশিন

ঈদের আগে নতুন ডিজাইনের ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নোট বাজারে ছেড়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে টাকা জমা দেওয়ার জন্য সিডিএম, সিআরএম বা মেট্রোরেলের টিকিট বিক্রির মেশিন নতুন নোট নিচ্ছে না। মূলত নতুন ডিজাইনের নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে এসব মেশিনের সফটওয়্যার এখনও ‘আপডেট’ না করায় এমন হচ্ছে। অবশ্য ব্যাপকভাবে নতুন নোট এখনও বাজারে আসেনি। 

সংশ্লিষ্টরা জানান, শাখার পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যাংকের ক্যাশ ডিপোজিট মেশিন (সিডিএম) এবং ক্যাশ রিসাইক্লেনিং মেশিনে (সিআরএম) টাকা জমা দেওয়া যায়। এটিএম বুথের আদলে এসব বুথ স্থাপন করা হয়। নির্ধারিত প্রক্রিয়া মেনে গ্রাহক নিজেই এই মেশিনের সাহায্যে তাঁর অ্যাকাউন্টে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট জমা দিতে পারেন। এ জন্য সফটওয়্যারে নোট এবং নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য থাকতে হয়। মেট্রোরেলের টিকিট কাউন্টারে স্থাপিত বুথেও একই উপায়ে টাকা চেনানো হয়। সে অনুযায়ী এসব মেশিনে লেনদেন হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, ঈদের আগে ১ জুন নতুন নোট বাজারে ছাড়া হয়। এর পর ৪ থেকে ১৪ জুন টানা ১০ দিন ব্যাংক বন্ধ ছিল। তিন ধরনের নোট মিলিয়ে এখন পর্যন্ত বাজারে ছাড়া হয়েছে ৬০০ কোটি টাকার কম। এসব কারণে কোনো কোনো ব্যাংক হয়তো তাদের নিজেদের সফটওয়্যার প্রোগ্রামে নতুন নোট এখনও অন্তর্ভুক্ত করেনি । তবে এটা কঠিন কোনো বিষয় না। ব্যাংকগুলো চাইলেই বুথের ভেন্ডাররা যা করতে পারেন। দুয়েকটি ব্যাংক এটা করলেও বেশির ভাগ ব্যাংক এখনও করেনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান সমকালকে বলেন, যেসব ব্যাংক এখনও নতুন নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য বিষয়ে সিস্টেম হালনাগাদ করেনি, শিগগিরই তারা করবে। আর মেট্রোরেলের বিষয়টি মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ দেখবে।

সব নোটই এতদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি যুক্ত ছিল। তবে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সব নোটের ডিজাইন পরিবর্তন করা হচ্ছে। আগামী আগস্টের মধ্যে সব ধরনের নতুন নোট বাজারে ছাড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন ডিজাইনের নোটের মধ্যে ২০০, ১০ ও ৫ টাকায় স্থান পেয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ছাত্রদের আঁকা গ্রাফিতি। সব নোটেই ‘বাংলাদেশের ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্য’ স্থান পেয়েছে।

ডিজাইন চূড়ান্ত করা থেকে শুরু করে একটি নোট বাজারে আনতে কয়েক ধাপ অতিক্রম করতে হয়। টাকার কালি, কাগজ, নিরাপত্তা সুতাসহ সবই বাইরে থেকে আনতে হয়। এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নতুন ডিজাইনের নোট বাজারে আনতে সাধারণভাবে ১৫ থেকে ১৮ মাস সময় লাগে। তবে এবার বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় ঈদের আগে তিন ধরনের নোট বাজারে আনা হয়।

জানা গেছে, নতুন ডিজাইনের সব নোটের কাগজ এখনও দেশে আসেনি। আবার আগের ডিজাইনের নতুন নোট এ মুহূর্তে বাজারে না ছাড়ার সিদ্ধান্ত ছিল। যে কারণে ঈদের আগে নগদ টাকার সংকট তৈরি হয়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নতুন নোট চিনছে না টাকা জমার মেশিন
  • বাংলাদেশি ইউটিউব চ্যানেলে চাকরি করেন ৪০ জন, বেতনই মাসে প্রায় ৭ লাখ টাকা