প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, জুলাই আন্দোলন এখনও শেষ হয়নি। কারণ জুলাই বিরোধী শক্তিগুলো হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

তিনি বলেন, “গত নয় মাসে আমি বুঝতে পেরেছি যে জুলাই শেষ নয়। এটি কেবল একটি সময়কাল নয়—এটি একটি ফ্রন্টলাইন, যেটিকে প্রতিদিন রক্ষা করতে হয়।”

শনিবার (৩ এপ্রিল) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লিখেন “যারা জুলাইয়ের বিরোধিতা করেছিল, তারা হারিয়ে যায়নি। তারা দেখছে, অপেক্ষা করছে, হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের দুটি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে এটি এক ধরনের যুদ্ধ। একটি দৃষ্টিভঙ্গির অনুসারীরা চায় গণতান্ত্রিক, মুক্ত ও প্রগতিশীল বাংলাদেশ, অন্যরা চায় লুটেরা, বংশগত, চেতনাবাজি শাসনব্যবস্থা, যা তার দুর্নীতিপরায়ণ অতীতের ছায়া আঁকড়ে ধরে আছে।”

তিনি বলেন, “আর ভুল কোরো না: যখনই তুমি বিশ্রাম নাও, ভাবো যে লড়াই শেষ—তখনই তারা ফিরে আসে—হিংসা নিয়ে, প্রপাগান্ডা নিয়ে, বিষ ছড়িয়ে।”

তিনি আরো বলেন, “তারা অপেক্ষা করে রাস্তাগুলো ফাঁকা হওয়ার, যেন আবার দখল নিতে পারে। কিন্তু আমি শিখেছি, আমাদের কখনো রাস্তাগুলো ছেড়ে দেয়া চলবে না। শুধু বাস্তব রাস্তা নয়, আদর্শের রাস্তাও না।”

তিনি জানান, যেকোনো বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সত্যকে রক্ষা করা।

প্রেস সচিব বলেন, “যদি তুমি সজাগ না থাকো, তাহলে তোমার প্রতিপক্ষ আনন্দের সঙ্গে তাদের কল্পিত সত্য চাপিয়ে দেবে। বিহারিদের ভাগ্যটা দেখো না? হ্যাঁ, কিছু লোক মুক্তিযুদ্ধের সময় দালালি করেছিল। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল গোলাগুলির মাঝে আটকে পড়া—হত্যাকাণ্ডের শিকার, প্রান্তিক ও নিস্তব্ধ করে দেওয়া।”

তিনি আরো বলেন, “জেনেভা ক্যাম্পে জন্ম নেওয়া প্রজন্মগুলো আজ লজ্জায় বড় হয়, এমনকি তাদের নিজেদের গল্প বলার অধিকারও নেই। ‘এটা আমাদের ভবিতব্য হতে পারে না।”

প্রেস সচিব বলেন, “এখান থেকে জীবন আমাকে যেখানে নিয়ে যাক না কেন, একটি জিনিস নিশ্চিত: আমি রাস্তা ছাড়বো না। আমি জুলাইয়ের হত্যাকাণ্ড নিয়ে কথা বলা থামাবো না।”

“আমি সত্য বলা থামাবো না। ২০০৯ থেকে ২০২৪ এর আগস্ট পর্যন্ত দীর্ঘ, অন্ধকার সময় নিয়ে—যেটা ছিল এক ধরনের ডিজিটাল দাসত্ব, দমন ও ভয়ের সময়।”

তিনি বলেন, “নতুন বাংলাদেশের জন্য লড়াই শুধু রাজনৈতিক নয়, এটি ব্যক্তিগতও। এটি অস্তিত্বের প্রশ্ন। এটি আমার জীবনের বাকি অংশ গঠন করবে। আর আমি এই লড়াইতে হারতে পারি না, হারব না।”

ঢাকা/ইভা

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কুড়িগ্রামে ট্রাক্টরচাপায় দুই বোন নিহত

কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী বাজার এলাকায় ট্রাক্টরচাপায় দুই বোন নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত আটটার দিকে কুড়িগ্রাম-রংপুর সড়কে কাঁঠালবাড়ী ডিগ্রি কলেজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলেন উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের মৃত রহমতের স্ত্রী রোকেয়া বেগম ও কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের আগমনী এলাকার আমজাদের স্ত্রী পারভীন বেগম।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোকেয়া ও পারভীন গতকাল রাতে কাঁঠালবাড়ী ডিগ্রি কলেজের সামনে দিয়ে সড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময় দ্রুতগামী একটি ট্রাক্টর তাঁদের চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।

কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাবিবুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ট্রাক্টরটি নিয়ে চালক পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ