যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই) ২০২৫ সালের এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনে নিজেদের অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠা করেছে।
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়
চীনের অন্যতম প্রাচীন এবং বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি তার উচ্চমানের শিক্ষার জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত, বিশেষ করে মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, প্রকৌশল, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান এবং অর্থনীতির ক্ষেত্রে। ১৮৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠান চীনের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি। একাডেমিক উৎকর্ষ, মুক্তচিন্তা এবং সংস্কারমুখী চেতনার জন্য পরিচিত পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অপূর্ব ক্যাম্পাস, ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং গবেষণামূলক কাজের জন্য একে চীনের শিক্ষার হৃদয় বলা হয়।
টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়
টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় জাপানের টোকিওতে অবস্থিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ১০টি অনুষদ রয়েছে এবং ৩০০০০ শিক্ষার্থী এখানে পড়াশোনা করে। এদের মধ্যে ২১০০ শিক্ষার্থী বিদেশি। এটির ৫টি ক্যাম্পাস রয়েছে। জাপানের প্রথম দিকের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, আইন এবং মানবিক বিদ্যায় যুগান্তকারী গবেষণার জন্য বিখ্যাত। জাপানের বহু প্রধানমন্ত্রী, নোবেল বিজয়ী এবং বুদ্ধিজীবী এই প্রতিষ্ঠানের গর্বিত ছাত্র ছিলেন।
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর ১৯০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত। এই ইউনিভার্সিটি কেবল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নয়, গোটা বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি। উচ্চমানের গবেষণা, বৈশ্বিক যোগাযোগ এবং উদ্যোগী শিক্ষার জন্য এটি বিশেষভাবে খ্যাত। ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সিঙ্গাপুর হলো সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে পুরোনো ও অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এটি এশিয়ার শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একটি এবং বৈশ্বিক দ্য আনলিস্টেড বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে উচ্চ র্যাঙ্ক পেয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইউন ভ র স ট র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে ২ সাংবাদিককে মারধর, একজন গ্রেপ্তার
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্মারক নারায়ণগঞ্জের মাসদাইর প্রতিরোধ স্তম্ভ ঘিরে ইট-বালু ব্যবসা করার ছবি তোলায় স্থানীয় পত্রিকার দুই সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করা অভিযোগ পাওয়া গেছে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। রোববার বিকেল ৩টায় এ মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় লোকজন খবর পেয়ে আহত দুই সাংবাদিককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসাপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় ‘উজ্জীবিত বাংলাদেশ’ পত্রিকার সম্পাদক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মো. কবিরুল ইসলাম জানান, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয় নগরীর মাসদাইর এলাকায়। সেই স্মৃতিকে ধরে রাখতে আগের বিএনপি সরকারের সময় মাসদাইরে গড়ে তোলা হয় প্রতিরোধ স্তম্ভ। স্তম্ভের চারিদিকের জায়গা দখল করে সালাউদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে সেখানে ইট-বালু রেখে ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এ নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে রোববার বিকেলে পত্রিকার প্রতিবেদক মিলন বিশ্বাস হৃদয় ও ফটো সাংবাদিক হাবিব খন্দকার সেখানে যান। ছবি তোলার সময় স্থানীয় সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
কবিরুল ইসলাম আরও জানান, সালাউদ্দিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আসামি। সম্প্রতি তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
ফটো সাংবাদিক হাবিব খন্দকার অভিযোগ করে বলেন, ‘ইট-বালু ঘেরা প্রতিরোধ স্তম্ভের ছবি তোলার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়ী সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন লোক আমাদের দুইজনকে ধরে টেনেহিচড়ে দোকানের ভেতরে নিয়ে যায় এবং লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। একইসঙ্গে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। মারধরে আমার চোখে উপরের অংশ ফেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়। এতে আমরা দুইজনই মারাত্মক আহত হয়েছি।’
ফটো সাংবাদিক হাবিব খন্দকার আরও জানান, দুই সাংবাদিকে মারধরের ঘটনায় ফতুল্লা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম জানান, দুই সাংবাদিকে মারধরের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সালাউদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।