আইপিএলের ব্যাটিং ঝড় নতুন কিছু নয়। কিন্তু এবার সেই ঝড়ের মধ্যে এক নতুন অধ্যায় লিখলেন রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক রিয়ান পরাগ। দুই ওভারের ছয় বলে ছয় ছক্কা মেরে তিনি জায়গা করে নিলেন এক অনন্য রেকর্ডে, যা আগে কখনও এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে দেখা যায়নি।
রোববার (০৪ মে) ইডেন গার্ডেন্সের উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা হয়েছিল পুরো গ্যালারি। কারণ, রিয়ান পরাগের ব্যাটে জন্ম নেয় এক বিরল কীর্তি। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালীন ১৩তম ওভারে শুরু হয় এই তাণ্ডব। শিমরন হেটমায়ার সিঙ্গেল নেওয়ার পর স্ট্রাইক পান পরাগ। এরপর মঈন আলির বাকি পাঁচটি বলকেই সীমানার বাইরে পাঠান তিনি। সেই ছক্কার ধারা অব্যাহত থাকে পরের ওভারেও।
১৪তম ওভারে বরুণ চক্রবর্তীর প্রথম বলেই আরও এক ছক্কা হাঁকিয়ে টানা ছয় বলে ছয় ছক্কার অসামান্য নজির গড়েন রিয়ান। যদিও সবগুলো বল এক ওভারে ছিল না — তাতে রেকর্ডের মাহাত্ম্য কমেনি একটুও।
আরো পড়ুন:
৬৪ বছর বয়সে অভিষেক, ইতিহাস গড়লেন জোয়ানা চাইল্ড
আইপিএলে ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল স্পেল, আর্চারের দুঃস্বপ্নের দিন
এর আগে আইপিএলের ইতিহাসে টানা পাঁচটি ছক্কার দেখা মিলেছিল মাত্র চারবার। সেই তালিকায় আছেন ক্রিস গেইল, রাহুল তেওয়াটিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা ও রিংকু সিং। এবার সেই তালিকায় নতুনভাবে যুক্ত হলো আরও এক নাম — পরাগ। যিনি আইপিএলে ‘আন্ডাররেটেড’ তকমা নিয়ে খেলে যাচ্ছিলেন।
এদিন চারে নেমে ব্যাট হাতে রীতিমতো রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন তিনি। তার ব্যাট থেকে আসে ৪৫ বলে ঝড়ো ৯৫ রান। যার মধ্যে ছিল ৮টি ছক্কা ও ৬টি চার। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই মহাকাব্যিক ইনিংস জয়ের মঞ্চ বানাতে পারেনি রাজস্থানকে।
জয়ের জন্য শেষ পর্যন্ত ২০৭ রানের লক্ষ্যে নেমে তারা থেমে যায় ২০৫ রানে — হেরে যায় মাত্র ১ রানে। শেষ দিকে চাপ সামলাতে না পারা, কিছু অসহযোগী ব্যাটিং ও কলকাতার বোলারদের দুর্দান্ত নিয়ন্ত্রণেই হাতছাড়া হয় ম্যাচ।
তবুও, ম্যাচ শেষে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন একাই রিয়ান পরাগ। ব্যাট হাতে এই যুবকের ছক্কার বন্যা যেন মনে করিয়ে দেয় ক্রিকেটে অসম্ভব বলে কিছু নেই।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক র ক ট র কর ড ন পর গ ছক ক র
এছাড়াও পড়ুন:
বুড়িগঙ্গায় লঞ্চের ধাক্কায় ডুবল নৌকা, ছিলেন জগন্নাথের ১৫ শিক্ষার্থী
রাজধানীর পুরান ঢাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় একটি নৌকা ডুবে গেছে। নৌকাটিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ জন শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁরা সবাই নিরাপদে আছেন। একজনকে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় লালকুঠির ঘাট সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। ওই ১৫ জন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা জানান, তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষার্থীদের সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁরা নিরাপদে আছেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জয় সাহা জানান, বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌকা নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলেন ওই ১৫ শিক্ষার্থী। লালকুঠির ঘাট এলাকায় কর্ণফুলী ১৪ লঞ্চ নোঙর করছিল। তখন লঞ্চটি নৌকার কাছাকাছি চলে আসে। ওই সময় নৌকাটির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। পরে লঞ্চের সঙ্গে নৌকার ধাক্কা লাগে। তবে তাঁর আগেই শিক্ষার্থীরা নদীতে ঝাঁপ দেন।
ওসি সোহাগ রানা বলেন, নৌকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ থেকে ১৫ জন শিক্ষার্থী ছিলেন। সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে।