Prothomalo:
2025-06-20@22:36:49 GMT

এসব কাজে হাত ধুচ্ছেন তো

Published: 5th, May 2025 GMT

আজ ওয়ার্ল্ড হ্যান্ড হাইজিন ডে বা হাতের পরিচ্ছন্নতা দিবস। হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সবাই কমবেশি জানেন। তবে বাস্তবতা হলো, সঠিক নিয়মে হাত ধোয়ার চর্চা করেন না অনেকেই। তাই রোগবালাই ছড়ায়। যখন হাত ধোয়া প্রয়োজন, তখন সাবান–পানি না পেলে বিকল্প হিসেবে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করে ফেলুন। বাইরে গেলে সঙ্গে রাখুন ছোট্ট একটা স্যানিটাইজারের বোতল। খাওয়ার আগে ও টয়লেট ব্যবহারের পর ছাড়া এমন কিছু সময় হাত ধোয়া প্রয়োজন, যেসবে অনেকেই গুরুত্ব দেন না।

খাবার প্রস্তুত ও পরিবেশনের সময়

যিনি খাবার প্রস্তুত করেন বা যিনি পরিবেশন করেন, তাঁকে অবশ্যই সেই কাজটির আগে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। অপরিষ্কার হাতে কোনো পরিষ্কার থালাবাসন স্পর্শ করাও উচিত নয়। হাতের নখ ছোট রাখা জরুরি সবার জন্যই, বিশেষত যাঁরা খাবার প্রস্তুত ও পরিবেশনের কাজ করেন।

টয়লেট ব্যবহারের আগে

টয়লেট ব্যবহারের পর হাত ধোয়ার গুরুত্ব সম্পর্কে আপনি নিশ্চয়ই জানেন। তবে এ–ও খেয়াল রাখুন, অপরিষ্কার হাতে শৌচকর্ম করলে হাতে লেগে থাকা জীবাণুর কারণে প্রস্রাবে সংক্রমণ হতে পারে। তাই শৌচকর্মের আগে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করুন। বিশেষ করে নারীদের এ বিষয়ে যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। নানা কারণে নারীদের প্রস্রাবে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে।

হাঁচি–কাশি, নাক ও কানে হাত দেওয়ার পর

হাতের তালুতে হাঁচি–কাশি চাপতে নেই। টিস্যু পেপার বা রুমাল পাওয়া না গেলেও কনুইয়ের ভাঁজে হাঁচি–কাশি চাপতে হয়। তবু যদি ভুলবশত কেউ হাতের তালুতে হাঁচি–কাশি দেন, তাঁকে অবশ্যই তখনই হাত পরিষ্কার করে ফেলতে হবে খুব ভালোভাবে। নইলে তিনি যেসব স্থানে হাত দিয়ে স্পর্শ করবেন, সেখানেই রোগজীবাণু ছড়িয়ে পড়বে। নাক পরিষ্কার করার পর অবশ্যই সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। কানে আঙুল দিলেও আপনার হাতে ময়লা লেগে যেতে পারে। তাই হাত পরিষ্কার করা আবশ্যক।

বাইরে থেকে ফেরার পর

করোনাভাইরাসের মহামারির সময় বাইরে থেকে ফিরে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুললেও সময়ের আবর্তে সেই উৎসাহে ভাটা পড়েছে অনেকেরই। কিন্তু সিঁড়ির হাতল, লিফটের বোতাম, গণপরিবহনের হাতলসহ নানা জায়গা স্পর্শ করার ফলে আপনার হাতে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু লেগে যায়। মনে রাখবেন, আপাতদৃষ্টে হাত জোড়া পরিষ্কার দেখালেও আদতে তা না–ও হতে পারে। তাই অবশ্যই হাত ধুয়ে ফেলুন ঘরে ঢোকার পরপরই। বাসার নিচেই সাবান–পানির ব্যবস্থা রাখা ভালো।

ছোট শিশু, বয়োজ্যেষ্ঠ ও অসুস্থদের স্পর্শ করার আগে

ছোট শিশু, বয়োজ্যেষ্ঠ ও অসুস্থ ব্যক্তিকে স্পর্শ করার আগে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে ভুলবেন না। তাঁদের পরার জন্য পোশাক এগিয়ে দিচ্ছেন? আগে হাত ধুয়ে নিন। তাঁদের বিছানা–বালিশ পরিষ্কার করবেন? আগে হাত ধুয়ে নিন। মোটকথা, তাঁরা যা কিছু স্পর্শ করবেন, তা আপনি স্পর্শ করার আগে নিজের হাত জোড়া পরিষ্কার করে ফেলুন। যেসব জীবাণুর জন্য আর দশজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির কোনো অসুবিধা হয় না, সেসব দিয়ে সহজেই সংক্রমণ হয়ে যেতে পারে তাঁদের। তাই অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করুন। বাড়িতে অসুস্থ ব্যক্তিকে স্পর্শ করার পর ও হাসপাতালে কাউকে দেখতে যাওয়ার পরেও হাত ধুয়ে নিতে হবে অবশ্যই।

সূত্র: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন

আরও পড়ুনহাত–পায়ের নখ ভালো রাখবে এই ৬ খাবার০১ মে ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র র পর র প রস র র আগ

এছাড়াও পড়ুন:

চার শতাধিক প্রোগ্রামার নিয়ে রাজধানীতে ‘হিরোইউনিয়ন’

সারাদেশের চার শতাধিক প্রোগ্রামারকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্যতিক্রমী মিললমেলা। শুক্রবার রাজধানীর আইডিইবি অডিটোরিয়ামে দিনব্যাপী এ মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়। ‘হিরোইউনিয়ন’ শীর্ষক এ আয়োজনে সারাদেশের উদীয়মান প্রোগ্রামিং প্রফেশনালসরা অংশ নেয়। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এডটেক প্রতিষ্ঠান ‘প্রোগ্রামিং হিরো’।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন প্রোগ্রামার ও প্রোগ্রামিং হিরো–এর প্রধান নির্বাহী (সিইও) ঝংকার মাহবুব। আরও উপস্থিত ছিলেন সফটওয়্যার কোম্পানি ব্রেইন স্টেশন ২৩–এর সিইও রাইসুল কবির, ব্র্যাক আইটিস-এর সিনিয়র টেকনোলজি অ্যাডভাইজার শাহ আলি নেওয়াজ তপুসহ অন্যান্য প্রযুক্তিবিদ ও ইন্ডাস্ট্রি লিডাররা।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ঝংকার মাহবুব বলেন, সামনে যতই এআই টুল আসুক না কেন, আমাদের সেটিকে কাজে লাগিয়ে নিজের কোডিং স্কিল ও প্রোডাক্টিভিটি বাড়িয়ে নিতে হবে। লিংকডইনের সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা বলছে— গিটহাব কো-পাইলটের মতো এআই টুল ব্যবহার করলে একজন প্রোগ্রামারের কোড লেখার গতি গড়ে ৩৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ে। তবে কোড লেখা যত সহজই হোক না কেন, ফিচার টেস্টিং, বাগ ফিক্সিংয়ের জন্য দক্ষ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের প্রয়োজন থেকেই যাবে। তাই প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে, এআইকে সহযোগী করে, নিজেদের দক্ষতা অব্যাহতভাবে বাড়াতে হবে।

অনুষ্ঠানের শেষে গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ইন্টার‌অ্যাক্টিভ লার্নিং অ্যাপের মাধ্যমে ‘প্রোগ্রামিং হিরো’র যাত্রা শুরু হয়। এতে মজার ছলে প্রোগ্রামিং শেখার সুযোগ পেত শিক্ষার্থীরা। পরে এডটেক ইন্ডাস্ট্রির প্রচলিত কাঠামো থেকে বের হয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ গাইডেড লার্নিং এনভায়রনমেন্ট গড়ে তোলে প্রতিষ্ঠানটি; যেখানে একজন শিক্ষার্থী শূন্য থেকে শুরু করে জব–রেডি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে ওঠার জন্য ধারাবাহিকভাবে উন্নত ট্রেনিং পেয়ে থাকে। গত পাঁচ বছরে প্রোগ্রামিং হিরো ইতিমধ্যে ৬০টিরও বেশি দেশে ২ হাজার ২৬০ কোম্পানিতে ৪ হাজার ৭০০ জনের শিক্ষার্থীকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ