সাধারণ বীমা খাতের নিট মুনাফায় মিশ্র প্রবণতা
Published: 5th, May 2025 GMT
দেশে শিল্প খাতের বিনিয়োগে কয়েক বছর ধরে ধীরগতি রয়েছে। এর প্রভাবে সাধারণ বীমা খাতের ব্যবসাও তেমন বাড়ছে না। এর মধ্যে অল্প হলেও এ খাতের অধিকাংশ কোম্পানি কম-বেশি প্রবৃদ্ধিসহ নিট মুনাফার তথ্য দিচ্ছে। কারও বেড়েছে, কারও কমেছে। মিশ্র এ প্রবণতার মধ্যে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেওয়ার হার মোটামুটি আগের মতোই।
দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৪৩ সাধারণ বীমা কোম্পানির মধ্যে গত রোববার পর্যন্ত ৩০টি ২০২৪ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এসব কোম্পানির ২০২৪ সালে সাকল্যে ৪৯০ কোটি টাকা নিট মুনাফা হয়েছে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় সাড়ে ৭ শতাংশ বেশি। ২০২৩ সালে তাদের নিট মুনাফা ছিল ৪৫৬ কোটি টাকা। অন্যদিকে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এসব কোম্পানির নিট মুনাফা প্রায় সাড়ে ৪ শতাংশ কমেছিল। ২০২২ সালে কোম্পানিগুলোর নিট মুনাফা ছিল ৪৭৭ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টরা জানান, বীমা খাতের ব্যবসা নির্ভর করে নতুন বিনিয়োগের ওপর। বিনিয়োগে ধীরগিত থাকায় সম্পদভিত্তিক ঝুঁকি বীমা বাড়ছে না।
সাধারণ বীমা খাতের অন্যতম প্রধান কোম্পানি রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো.
এদিকে ৩০ কোম্পানি কিছুটা মুনাফা বৃদ্ধির তথ্য দিলেও লভ্যাংশ ঘোষণা প্রায় আগের মতোই আছে। ২০২৪ সালে তারা ২২০ কোটি টাকার নগদ লভ্যাংশসহ মোট ২৪০ কোটি টাকার লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। এ বছর প্রায় ২২৮ কোটি টাকার নগদ লভ্যাংশসহ ২৩৮ কোটি টাকার লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, লভ্যাংশ ঘোষণাকারী ৩০ সাধারণ বীমা কোম্পানির মধ্যে ১৭টি আগের বছরের হারে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। চার কোম্পানির লভ্যাংশের হার কিছুটা বাড়িয়েছে। তবে ৯টির লভ্যাংশ কমেছে।
নিট মুনাফার সার্বিক চিত্র
মুনাফার তথ্য প্রকাশ করা ৩০ কোম্পানির মধ্যে মুনাফা বেড়েছে ১৮টির। ১২ কোম্পানির মুনাফা কিছুটা হলেও কমেছে। নিট মুনাফা কিছুটা বৃদ্ধিতে রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স অন্যতম। ২০২৪ সালে কোম্পানিটি প্রায় ৯৬ কোটি টাকা নিট মুনাফা করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩৯ শতাংশ বেশি। সর্বোচ্চ ১১০ শতাংশ মুনাফা বেড়েছে রূপালী ইন্স্যুরেন্সের। কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় ৪৭ পয়সা থেকে ৯৯ পয়সায় উন্নীত হয়েছে। ইপিএসে ৬৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় অবস্থানে মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স। গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স ও পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের মুনাফা যথাক্রমে ৫৪ কোটি, ৪১ কোটি এবং ৪৭ কোটি টাকা। মুনাফা কমার তালিকায় রয়েছে অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম ইন্স্যুরেন্স, গ্রিন ডেল্টা ইত্যাদি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইন স য র ন স ২০২৪ স ল ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক জহুরুল ইসলামকে চাকরি থেকে অপসারণ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ জহুরুল ইসলামকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা যায়।
অফিস আদেশে বলা হয়, গত ২৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ২৭০তম (সাধারণ) সভার ২৪ নম্বর সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলাবিধির ৪ (১) (ই) ধারা অনুযায়ী ২০২৪ সালের ২১ আগস্ট তাঁকে চাকরি থেকে অপসারণ (রিমুভ্যাল ফ্রম সার্ভিস) করা হয়।
অধ্যাপক জহুরুল ইসলাম বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ডাকোটায় ইনস্ট্রাকশনাল ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি বিষয়ে এমএস ডিগ্রিতে অধ্যয়ন করছেন।
আজ সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফোনে জহুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০২৩ সাল থেকে শিক্ষা ছুটি নিয়ে আমি আমেরিকায় আছি। প্রতিবছর সেটা নবায়ন করি। সম্পূর্ণ ভুল তথ্যের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখনো অফিশিয়ালি কিছু পাইনি বা জানি না। তবে এ বিষয়ে শুনেছি এবং দেখেছি। এটা বেআইনি ও আক্রোশমূলক। আমাকে হেয় করতেই করা হয়েছে। দেশে গিয়ে এটার বিষয়ে মোকাবিলা করব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, অধ্যাপক জহুরুল ইসলাম ২০২৪ সালের ২১ আগস্ট থেকে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। একই বছরের ৯ ডিসেম্বর শিক্ষা ছুটিসংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির ১৯৭তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁকে এক মাসের মধ্যে কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হলেও তিনি যোগদান করেননি। এ ছাড়া বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকেছেন।
এ ঘটনায় তদন্তে ২০২৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৬৭তম (সাধারণ) সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির সুপারিশে সর্বশেষ ২৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের সভায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলাবিধির ৩ (এইচ) ধারা অনুযায়ী অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলাবিধির ৪ (১) (ই) ধারা অনুযায়ী ২০২৪ সালের ২১ আগস্ট থেকে তাঁকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়।