বাংলাদেশের হয়ে খেলতে ফিফার অনুমতি পেলেন শমিত
Published: 6th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে। কানাডা প্রবাসী মিডফিল্ডার শমিত সোম এখন অফিসিয়ালি বাংলাদেশের হয়ে মাঠে নামার সবুজ সংকেত পেয়েছেন বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার কাছ থেকে। বহু প্রতীক্ষিত এই অনুমোদনের ফলে আগামী মাসে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচেই বাংলাদেশের জার্সিতে হয়ে যেতে পারে তার আন্তর্জাতিক অভিষেক।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হলেও শমিত সোম বেড়ে উঠেছেন কানাডায়। পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারে মূলত কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে। সেখানকার ক্লাব কাভালরি এফসিতে খেলেই আলোচনায় আসেন তিনি। চলতি মে মাসের শুরুতেই তিনি কানাডা সকার অ্যাসোসিয়েশন থেকে ছাড়পত্র পান, যা ছিল বাংলাদেশের হয়ে খেলার জন্য প্রথম ধাপ। এরপর গত ৫ মে হাতে পান বাংলাদেশের পাসপোর্ট।
এই ধারাবাহিক প্রস্তুতির মাঝেই আসে সবচেয়ে বড় সুখবর, ফিফার কাছ থেকে আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশ প্রতিনিধিত্বের আনুষ্ঠানিক অনুমতি। যার অর্থ, এখন আর কোনও বিধিনিষেধ নেই। বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপাতে শমিত একেবারে প্রস্তুত।
আরো পড়ুন:
কালবৈশাখী ঝড়ের পর আলোকস্বল্পতায় স্থগিত ফেডারেশন কাপের ফাইনাল
হামজা ও শমিতের পর লাল-সবুজের জার্সি পরতে যাচ্ছেন সান্ডারল্যান্ডের মিচেল
শুধু কাগজে-কলমেই নয়, মাঠের পারফরম্যান্সেও নিজেকে প্রমাণ করে চলেছেন শমিত। কাভালরির হয়ে গত ম্যাচে তিনি প্রথমবারের মতো অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পরে খেলতে নামেন। ইয়র্ক ইউনাইটেডের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পাওয়া সেই ম্যাচে পুরো সময়জুড়ে সেন্ট্রাল মিডফিল্ড সামলান দৃঢ়তার সঙ্গে। যদিও গোল বা অ্যাসিস্টে নাম ওঠেনি। তবুও ম্যাচজুড়ে তার গেম রিডিং, বল কন্ট্রোল এবং ডিফেন্সিভ কভারেজ ছিল নজরকাড়া।
এমন পারফরম্যান্সের কারণেই সপ্তাহের সেরা একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। যা প্রমাণ করে— শুধু কোথায় খেলেন সেটা নয়, দক্ষতার কারণেই তিনি আজ জাতীয় দলের নজরে।
বাংলাদেশ জাতীয় দল এখন এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। এই সময় দলে একজন দক্ষ, পরিণত মিডফিল্ডারের সংযুক্তি দলের রক্ষণ ও আক্রমণের ভারসাম্যে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। শমিত সোম সেই ঘাটতি পূরণের বাস্তব সম্ভাবনা নিয়ে হাজির হয়েছেন।
আগামী ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ঢাকায় হতে যাওয়া হোম ম্যাচে তার অভিষেক নিয়ে রয়েছে প্রবল আশাবাদ। কোচিং স্টাফ থেকে শুরু করে সমর্থকরা তাকিয়ে আছেন নতুন এই মুখ কীভাবে দেশের ফুটবলে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারেন।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
যে প্রশ্নের উত্তর নেই নুরুলের কাছেও
‘অনেক কিছু হতে পারত, অনেক কিছুই থাকতে পারত…’ কথাটা বলে নুরুল হাসান যেন দ্রুত সরে যেতে চাইলেন প্রসঙ্গ থেকে। বছর তিনেক আগেও টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পুরোনো প্রজন্ম পেরিয়ে বাংলাদেশ খুঁজছিল নতুন কাউকে। ক্যারিয়ারে তখন রঙিন সময় নুরুলেরও। অথচ ছয় মাস পর ছিটকে যান টি–টোয়েন্টি দল থেকেই। এরপর এখন পর্যন্ত আর ফেরা হয়নি।
এই বাস্তবতা নুরুল মেনে নিয়েছেন সহজ এক ভাবনায়, ‘উত্থান–পতন তো জীবনেরই অংশ।’ দুই বছর ধরে জাতীয় দলে তিনি নেই কোনো সংস্করণেই। তবে এই পরিস্থিতিতেও নিজেকে হারিয়ে যেতে দেননি একটা মন্ত্র মেনে। কাল প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে সে কথাই বলেছেন তিনি, ‘যেখানে যতটুকু খেলছি, সব সময় চাই নিজের জায়গা থেকে সেরাটা দিতে আর দলের জন্য অবদান রাখতে। হয়তো কখনো সফল হই, কখনো ব্যর্থ—কিন্তু সততা আর পরিশ্রম দিয়ে কতটুকু চেষ্টা করছি, এটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুনকোহলি, রোহিত না গিল: অধিনায়কত্বের শুরুতে কে বেশি ভালো১৫ ঘণ্টা আগেনুরুলের চেষ্টার প্রতিফলন খুঁজে পাওয়া যায় তাঁর ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্সেও। গত প্রিমিয়ার লিগে ১১ ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি আর সমান ফিফটিতে ৫৮ গড় আর ৯৩.৫৫ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৫১২ রান করে। গত মে মাসে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে তিনটি পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচের একটিতে করেন সেঞ্চুরি, তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছেন চার দিনের ম্যাচেও।
এশিয়া কাপ টি–টোয়েন্টি ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা খুঁজে নিতে ‘এ’ দলের আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সিরিজটাকে কাজে লাগাতে চাইবেন নুরুল। কিন্তু দলে ফেরাটা যে সহজ নয়, সেটি কি আর তাঁর অজানা! টি–টোয়েন্টি দলে থিতু দুজন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। লিটন দাস তো অধিনায়কই, জাকের আলী দলের অন্যতম সেরা পারফরমার। এই বাস্তবতা মেনেই বললেন, ‘সব মানুষের জীবনেই চ্যালেঞ্জ থাকে। কে কতটা উপভোগ করছে, সামলে নিচ্ছে, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার জীবনেও দেখবেন, ১০টা জিনিস চেয়ে সব পাননি।’
‘এ’ দলের অধিনায়ক হিসেবে টস করছেন নুরুল হাসান