বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান আবদুল হান্নানের সম্পদ ক্রোকের আদেশ
Published: 7th, May 2025 GMT
বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার মার্শাল শেখ আবদুল হান্নানের কয়েকটি ফ্ল্যাট ও জমি ক্রোকের (জব্দ) আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত তাঁর ছয়টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর খিলক্ষেতে বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান শেখ আবদুল হান্নানের নামে থাকা তিনটি ফ্ল্যাট এবং পল্লবীতে একটি প্লট ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর বাইরে নারায়ণগঞ্জে দুটি দলিলে কেনা প্রায় ছয় শতক জমি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। শেখ আবদুল হান্নানের ছয়টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আবেদন করে দুদক। আদালত সে আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে সোমবার শেখ আবদুল হান্নান ও তাঁর স্ত্রী তাহমিদা বেগম, তাঁদের ছেলে শেখ লাবিব হান্নান ও তাঁদের আত্মীয় সানজিদা আক্তারের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
দুদক আদালতকে বলেছে, বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান শেখ আবদুল হান্নানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ নেওয়া, নিয়োগ–বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।
শম্ভুর স্ত্রীর সম্পদ ক্রোকের আদেশ
বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ধীরন্দ্রে দেবনাথ শম্ভুর স্ত্রী মাধবী দেবনাথের নামে থাকা সম্পদ ক্রোকের আদশে দিয়েছেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো.
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, গুলশান ও বসুন্ধরায় শম্ভুর স্ত্রীর নামে থাকা ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাঁর সাতটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ব্যাংক হিসাবগুলোতে বর্তমানে জমা আছে ২১ কোটি ৪৫ লাখ ৩৩ হাজার ৫০১ টাকা।
আরও যাঁদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
আদালত আরও যাঁদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন তাঁরা হলেন রাজশাহীর তানোর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম এবং ডিএমপির সাবেক গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী জাহাঙ্গীর হোসেন।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ খ আবদ ল হ ন ন ন র
এছাড়াও পড়ুন:
শত কোটি টাকার নদী খনন কাজ বন্ধ
নদীর নাব্যতা ফেরাতে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর খনন কাজ শুরু করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু কিছুদিন কাজ করার পর তা বন্ধ চলে যায় চুক্তি করা টিকাদারী প্রতিষ্ঠান। দ্রুত পুনরায় খনন কাজ শুরু করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, খাগড়াছড়ি শহর ও তৎসংলগ্ন অবকাঠামো নদী ভাঙন থেকে সংরক্ষণ প্রকল্পের আওয়াতায় ২৫০ কোটি ব্যয়ে নদীর নাব্যতা ফেরাতে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর ৫৮ কিলোমিটার খনন কাজ শুরু করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্প অনুযায়ি, চেঙ্গী নদীর মহালছড়ি থেকে নানিয়ারচর বুড়িঘাট শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি স্তম্ভ এবং মাইনি নদীর ইয়ারাংছড়ি থেকে লংগদু মুখ পর্যন্ত খনন করার কথা।
আরো পড়ুন:
ঢাকার ৪৪ খাস পুকুর-জলাশয় সংস্কার শুরু
মাদারীপুরে নদীর মাটি চুরি, ভাঙন আতঙ্ক
কিন্ত মাইনি নদীর খনন কাজ চললেও চেঙ্গী নদীর কাজ কিছুদিন করার পর বন্ধ করে চলে যায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। মহালছড়ি থেকে নানিয়ারচর অংশে কাজ নতুন করে শুরু হলেও রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর থেকে বুড়িঘাট শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি স্তম্ভ পর্যন্ত অংশের খনন কাজ ৩-৪ মাস ধরে একেবারে বন্ধ।
এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
নানিয়ারচর পুরাতন বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. খোরশেদ আলম, মো. আনসার আলী ও হাসাপতাল এলাকা বাসিন্দা মো. নুরুল হক জানান, নদীর খনন কাজ শেষ হলে তারা উপকৃত হতেন। বিশেষ করে কাপ্তাই হ্রদের পানি যখন কমে যায়, শুকনা মৌসুমে নদী পথে তাদের মালামাল আনা-নেওয়া করতে সুবিধা হত। আর সেই মাটিগুলো দিয়ে যদি নিচু রাস্তাগুলো উচু করা যেত তাহলে তারা উপকৃত হতেন। তাদের দাবি আবার যেন দ্রুত খনন কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এনিয়ে কথা বলতে নানিয়ারচর অংশের টিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়েল এডব্লিউআর (জেভি) এর ম্যানেজার মো. মাহবুবের ও মহালছড়ি অংশের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এআরকেএল-এসএমআইএল (জেবি) এর ম্যানেজার মো. সোয়েবের মোবাইল নাম্বারে কল দেওয়া হলে তারা রিসিভ করেননি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রাম পরিচালনা ও রক্ষনাবেক্ষন বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমেদ জানান, চেঙ্গী নদীর মহালছড়ি থেকে নানিয়ার এর কাজ মাঝখানে বন্ধ হয়েছিল, ড্রেজার নিয়ে গিয়েছিল কন্ট্রাকটর। তখন কাজ বাতিলের নোটিশ করেছিলেন। তবে মহালছড়ি অংশের ঠিকাদার আবার নতুন করে ড্রেজার নিয়ে এসেছে। এখন থেকে নিয়মিত কাজ চলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, নানিয়াচরে ঠিকাদার নিজস্ব ব্যবস্থাপনার কারণে কাজ করতে পারেনি। ফলে উপরের নির্দেশে কাজ বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ করতে হবে। আর মাইনী নদীর খনন কাজ চলমান আছে, আগামী জুন মাসে শেষ হবে।