দেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় লিগ তৃতীয় বিভাগ বাছাই। এই লিগকে বিসিবির সাবেক পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক গলা টিপে হত্যা করেছিলেন ৫ লাখ টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি নির্ধারণ করে। নৈতিকতাহীন এসব সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ খুশি তৃতীয় বিভাগ বাছাই লিগে আগের জৌলুস ফেরাতে পেরে। বাস্তবতা হলো বাছাই লিগ থেকে প্রাপ্তি দুটি ক্লাবকে তৃতীয় বিভাগ লিগে উন্নীত করা। সীমিত পরিসরে হলেও মল্লিকরা তাই করেছেন। এই লিগের ক্লাব কর্মকর্তারা মনে করেন বাছাই লিগ থেকে প্রতিভা অন্বেষণের উদ্যোগ নিলে বোর্ড সভাপতি বেশি প্রশংসা পেতেন।

১ লাখ টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি দিয়ে ৬০টি দল তৃতীয় বিভাগ বাছাই লিগে খেলেছে। প্রতিটি দল ২০ জন ক্রিকেটার নিবন্ধন করার সুযোগ পেয়েছে। সে হিসেবে ১ হাজার ২০০ ক্রিকেটার খেলেছে তৃতীয় বিভাগ বাছাই লিগে। যেখানে অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার ছিল বলে জানান এক কোচ। বিসিবি কর্মকর্তাদের অদূরদর্শিতার কারণে প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি বলে মনে করেন তিনি। 

নাম গোপন রাখার শর্তে ওই কোচ বলেন, ‘অনেক ভালো খেলোয়াড় ছিল। তাদের বাছাই করে বিসিবি প্রশিক্ষণ দিলে ছেলেগুলোর উৎসাহ বাড়ত। অথচ কেউ মাঠেই ছিল না।’ 

ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিশের (সিসিডিএম) সমন্বয়ক সাব্বির আহমেদ রুবেল বলেছেন, ‘আমি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফীসকে বলেছিলাম খেলোয়াড় বাছাই করার কথা। সে হয়তো গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগকে বলেছিল। তারা ভালো খেলোয়াড়দের একটা তালিকা করে থাকতে পারে।’

বিসিবির প্রতিভা অন্বেষণের দায়িত্ব গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের হলেও বোর্ডের নীতিগত সিদ্ধান্ত না থাকায় খেলোয়াড় বাছাই করা সম্ভব হয়নি বলে জানান ম্যানেজার আবু ইমান মো.

কাউসার, ‘প্রতিভা অন্বেষণ আমরা করে থাকি। বাছাই লিগের কথা আমাদের যখন বলা হলো, তখন সময় শেষ। এই কাজগুলো করতে বোর্ডের সিদ্ধান্ত লাগে। এছাড়া বাছাই লিগ হলো সিসিডিএমের অধীনে খেলা হয়। এ কারণে বোর্ডের অনুমোদন প্রয়োজন। তবে এখনও চেষ্টা করলে প্রতিভাবান খেলোয়াড় বাছাই করা সম্ভব কোচদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে।’ 

বাছাই লিগের চ্যাম্পিয়ন ইয়াং টেরিপাসের কর্মকর্তা সৈয়দ আলী আসাফের মতে, ‘এই লিগে অনেক ভালো খেলোয়াড় খেলেছে। বিসিবি জুনিয়র নির্বাচকদের দিয়ে ৩০ ক্রিকেটার বাছাই করে প্রশিক্ষণ দিলে পাইপলাইনে অনেকে যুক্ত হতো। লিগের পারফরম্যান্স দেখে হয়তো কিছু খেলোয়াড় বাছাই করার চিন্তাভাবনা চলছে। সেটা করা হলে ভুল হবে। কারণ করপোরেট লিগে খেলা অনেকে ভালো করেছে। তাদের ক্যাম্পে নিয়ে বোকামি হবে। নির্বাচন করতে হতো মাঠে বসে খেলা দেখে জুনিয়র সিলেক্টর দিয়ে।’

তিনি আশা করছেন, এ রকম ভুল হবে না বিসিবির।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: খ ল য় ড় ব ছ ই কর

এছাড়াও পড়ুন:

ভিসা চালুর অগ্রগতিতে ইউএইকে ধন্যবাদ প্রধান উপদেষ্টার

বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা চালু করার বিষয়ে অগ্রগতি হওয়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বিভিন্ন খাতে দেশটির বিনিয়োগ প্রস্তাবকে স্বাগত জানান।

বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইউএইর টলারেন্স অ্যান্ড এক্সিসটেন্স বিষয়ক কেবিনেট মন্ত্রী শেখ নাহায়ান বিন মুবারক আল নাহায়ানের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। এ সময় অধ্যাপক ইউনূস ইউএইকে ধন্যবাদ জানান।

বাসসের খবরে বলা হয়, শেখ নাহায়ানের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলটি গতকাল দুপুরে ঢাকায় স্বল্প সময়ের সফরে পৌঁছায়। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী তাদের অভ্যর্থনা জানান। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক মন্ত্রী আহমেদ বিন আলি আল সায়েঘ, বিনিয়োগ মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবদুর রহমান আল হাওয়ি।

আল নাহায়ান প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতি সংহতি প্রকাশ এবং বন্ধুত্ব পুনর্ব্যক্ত করতে আমি আমাদের প্রেসিডেন্টের নির্দেশে এখানে এসেছি। আমরা বিনিয়োগ থেকে শুরু করে ভিসা পর্যন্ত সব খাতে সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছি এবং আমরা একসঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক।’

এ সৌহার্দ্যমূলক উদ্যোগের প্রশংসা করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা এ ধরনের সম্পৃক্ততা ও সহযোগিতাকে স্বাগত জানাই। আমরা বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ প্রস্তাবকেও স্বাগত জানাই।’

ভিসা নীতিতে শিথিলতার কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিসার দরজা খোলার জন্য ধন্যবাদ। এখনও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া বাকি আছে, আশা করি আমরা সম্পৃক্ত থাকব এবং সমস্যাগুলো সমাধান করব।’

সম্প্রতি আরব আমিরাত প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০টি ভিজিট ভিসা ইস্যু করছে। ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের জন্য ভিসাগুলোও দ্রুত অনুমোদিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় দক্ষ কর্মীদের জন্য অনলাইন ভিসা সিস্টেম পুনরায় চালু করেছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বিপণন ব্যবস্থাপক, হোটেল কর্মীসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের ভিসাও এই পদ্ধতিতে দেওয়া হয়। নিরাপত্তারক্ষীদের জন্য ৫০০ ভিসা ইতোমধ্যে ইস্যু হয়েছে। 

ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলি আল হমোদি এবং আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে ইউএই প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ ত্যাগ করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ