রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় লোকমান প্রধানিয়া (৬৫) নামের এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে কারওয়ান বাজারের মাছবাজারের কাছের রেললাইনে এ ঘটনা ঘটে। লোকমান রাজধানীর বাড্ডা এলাকার একটি বেকারির কর্মী ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, ট্রেনের ধাক্কায় লোকমান গুরুতর আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে বেলা পৌনে ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান আবদুল্লাহ নোমান নামের এক ব্যক্তি।

আবদুল্লাহ নোমান বলেন, রেললাইন পার হওয়ার সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় লোকমান ছিটকে রাস্তায় পড়েন। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। পরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো.

ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, লোকমানের লাশ মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানার পুলিশকে জানানো হয়েছে।

শ্যালক তারেক পাটোয়ারি বলেন, লোকমান আজ মগবাজারে একটি কাজে এসেছিলেন বলে তিনি জেনেছেন। দুপুরের দিকে তিনি খবর পান, ট্রেনের ধাক্কায় লোকমান গুরুতর আহত হয়েছেন। হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারেন, তিনি মারা গেছেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ট র ন র ধ ক ক য় ল কম ন ম ড ক ল কল জ

এছাড়াও পড়ুন:

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় যৌথ অভিযানে অস্ত্রসহ আটক ৪

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় অস্ত্র উদ্ধারে যাওয়া সেনাবাহিনীর নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি হয়েছে। পরে ঘটনাস্থলে এক ব্যক্তির মরদেহ পাওয়া গেছে। রবিবার (২২ জুন) রাতে উপজেলার গাদিয়ালা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এসময় অস্ত্রসহ আটক করা হয় চারজনকে।

সোমবার (২৩ জুন) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এতথ্য জানায়।

নিহত ব্যক্তির নাম মো. আবু সাঈদ (৩৫)। আটককৃতরা হলেন- তাজউদ্দীন, আমির উদ্দিন, হিরণ মিয়া ও জমির মিয়া।

আরো পড়ুন:

নাটোরে ৬ ‘ডাকাত’ আটক

পঞ্চগড়ে সেনা অভিযানে জাল ডলারসহ আটক ৬

আইএসপিআর জানায়, দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, গোলাগুলি ও অস্ত্রের মহড়া চলতে থাকায় জননিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে। রবিবার কুলঞ্জ ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে একটি যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান চলাকালে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান একরার হোসেন সমর্থিত সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে নৌকা যোগে পালানোর চেষ্টা করে। সেনাবাহিনীর টহল দল ধাওয়া করলে সন্ত্রাসীরা পার্শ্ববর্তী গাদিয়ালা গ্রামে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকে। 

এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীকেও লক্ষ্য করে গুলি চালালে আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনী পাল্টাগুলি চালায় ও সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করে। পরে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে যৌথ বাহিনীর টহল দল ঘটনাস্থল থেকে মো. আবু সাঈদ (৩৫) নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে। 

আইএসপিআর আরো জানায়, চারজন সন্ত্রাসী তাজউদ্দীন, আমির উদ্দিন, হিরণ মিয়া ও জমির মিয়াকে আটক করে। স্বীকারোক্তি ও তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তারকৃতদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি একনালা বন্দুক, চারটি পাইপ গান, এক রাউন্ড তাজা গুলি, ছয়টি বুলেট প্রুফ জ্যাকেট এবং দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। আজ সোমবার  সকাল সাড়ে ৮টায় যৌথ বাহিনীর অভিযান শেষ হয়। অভিযানে আটককৃত ব্যক্তিবর্গ এবং তাদের কাছ হতে উদ্ধারকৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।  উদ্ধারকৃত মৃতদেহের ময়নাতদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

ঢাকা/মনোয়ার/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ