গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গাজীপুর জেলা যুবদল ও ছাত্রদলের দুই নেতাকে আসামি করা হয়েছে। এর ঘটনায় রাজনৈতিক হয়রানির অভিযোগ তুলে শ্রীপুরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। 

বুধবার (৭ মে) দুপুরে শ্রীপুর পৌরসভার থানা রোড এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, কৃষকদল, জাসাসসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

গত ৪ মে সন্ধ্যায় গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। ঘটনার পরদিন (৫ মে) বাসন থানায় এনসিপির পক্ষ থেকে আল আমিন খন্দকার বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতসহ মোট ১০০ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে গাজীপুর জেলা যুবদলের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মো.

মাজাহারুল ইসলাম মোল্লা (৭৫ নম্বর আসামি) ও বরমী ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মো. শওকত মীরের (৭৩ নম্বর আসামি) নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

আরো পড়ুন:

পাবনায় গ্রাহকদের সাড়ে ৭ কোটি টাকা নিয়ে উধাও এনজিও 

রাঙামাটিতে খিয়াং নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “যে এলাকায় হামলা হয়েছে, অভিযুক্তরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। তাদের বাড়ি শ্রীপুরে। এটি একটি সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ। বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করতে এ ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করা হয়েছে।”

অভিযুক্ত মাজাহারুল ইসলাম বলেন, “আমাদের ইউনিয়নেরই একজন এনসিপি নেতা, মেজর (অব.) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক বিরোধ রয়েছে। সেটিকে কেন্দ্র করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। এটি সরাসরি রাজনৈতিক প্রতিশোধ।”

মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন, শ্রীপুর পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. খোকন প্রধান, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওহেদুল ইসলাম এরশাদ, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রাকিবুল ইসলাম সজিব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজান শেখ, বরমী ইউনিয়নের কৃষকদল নেতা জহিরুল ইসলাম ও ইমরুল হাসান রাজু, উপজেলা জাসাসের যুগ্ম আহ্বায়ক মোর্শেদ আলম প্রমুখ।

বক্তারা অবিলম্বে বিএনপি নেতাদের নাম মামলার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানান এবং পুলিশ প্রশাসনের কাছে নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানান।

ঢাকা/রফিক/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ আস ম ছ ত রদল র ল ইসল ম এল ক য় ব এনপ এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

খেয়াং নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা: রাঙামাটি ও বান্দরবানে প্রতিবাদ

বান্দরবানের থানচির তিন্দু ইউনিয়নে খেয়াং সম্প্রদায়ের এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে রাঙামাটি ও বান্দরবানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বিকেলে বিক্ষুদ্ধ ছাত্র সমাজের ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা।

জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরের সামনে আয়োজিত এই মানববন্ধনে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এতে রাঙামাটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সুজন চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জাতীয় মানবধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য বাঞ্চিতা চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুমন চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের জেলা শাখার সহ-সভাপতি কবিতা চাকমা, মারমা ষ্টুডেন্টস কাউন্সিলের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ক্যচিংনু মারমা, তংচংগ্যা ষ্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার ফোরামের জেলা শাখার সভাপতি অলনা তংচংগ্যা প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে এ যাবতকালে সংঘটিত পাহাড়ি নারীর ওপর নিপীড়ন, ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ায় এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় এসব ঘটনা বার বার ঘটছে। পার্বত্য চুক্তি যথাযথ বাস্তবায়িত না হওয়ায় আজ পাহাড়ি নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

এদিকে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রিতা চাকমা এক বিবৃতিতে ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, থানচিতে খেয়াং নারীকে হত্যার ঘটনায় প্রাথমিক সুরহতাল রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। যা সত্য ঘটনাকে আড়াল করে অপরাধীদের রক্ষার অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। 

বিবৃতিতে তিনি অবিলম্বে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি করেন।

এদিকে মঙ্গলবার সকালে বান্দরবানে খেয়াং নারীকে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হযেছে। সকালে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রেস কনফারেন্স ও বিকেলে আদিবাসী ছাত্র সমাজের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসনের প্রেস কনফারেন্সে পুলিশ সুপার শহীদুল্লাহ কাওছার বলেন, নিহতের স্বামী সুমন খেয়াং বাদী হয়ে থানচি থানায় মামলা করেছেন। 

জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বলেন, এটি হত্যাকাণ্ড নাকি অন্য কিছু তা তদন্তের পর বলা যাবে। 

মঙ্গলবার বিকেলে আদিবাসী ছাত্র সমাজের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয় খেয়াং সম্প্রদায়ের ছাত্র সমাজ, ম্রো, চাকমা, তঞ্চঙ্গ্যা, ত্রিপুরাসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের ছাত্ররা। এতে বক্তব্য প্রদান করেন লেলুং খুমী, অংচমং মারমা, ডনাইপ্রু নেলী, জন ত্রিপুরা প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গ্রেপ্তার আতঙ্কে বাকুলিয়া এখন পুরুষশূন্য গ্রাম
  • রাজধানীতে ধর্মঘটের ডাক দিলেন সিএনজি অটোরিকশার মালিকরা
  • অটোরিকশা নিষিদ্ধের দাবি
  • অটোরিকশা নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীতে ধর্মঘটের ডাক সিএনজি মালিকদের
  • পাবনায় গ্রাহকদের সাড়ে ৭ কোটি টাকা নিয়ে উধাও এনজিও 
  • রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প পরিচালকের অপসারণের দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভ
  • বন্দরে মানববন্ধন শেষে হত্যা মামলার আসামিদের বাড়িতে হামলা  
  • রাঙামাটিতে খিয়াং নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • খেয়াং নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা: রাঙামাটি ও বান্দরবানে প্রতিবাদ