হাসনাতের ওপর হামলায় বিএনপি নেতা আসামি, প্রতিবাদে মানববন্ধন
Published: 7th, May 2025 GMT
গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গাজীপুর জেলা যুবদল ও ছাত্রদলের দুই নেতাকে আসামি করা হয়েছে। এর ঘটনায় রাজনৈতিক হয়রানির অভিযোগ তুলে শ্রীপুরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (৭ মে) দুপুরে শ্রীপুর পৌরসভার থানা রোড এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, কৃষকদল, জাসাসসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
গত ৪ মে সন্ধ্যায় গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। ঘটনার পরদিন (৫ মে) বাসন থানায় এনসিপির পক্ষ থেকে আল আমিন খন্দকার বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতসহ মোট ১০০ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে গাজীপুর জেলা যুবদলের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মো.
আরো পড়ুন:
পাবনায় গ্রাহকদের সাড়ে ৭ কোটি টাকা নিয়ে উধাও এনজিও
রাঙামাটিতে খিয়াং নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “যে এলাকায় হামলা হয়েছে, অভিযুক্তরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। তাদের বাড়ি শ্রীপুরে। এটি একটি সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ। বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করতে এ ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করা হয়েছে।”
অভিযুক্ত মাজাহারুল ইসলাম বলেন, “আমাদের ইউনিয়নেরই একজন এনসিপি নেতা, মেজর (অব.) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক বিরোধ রয়েছে। সেটিকে কেন্দ্র করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। এটি সরাসরি রাজনৈতিক প্রতিশোধ।”
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন, শ্রীপুর পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. খোকন প্রধান, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওহেদুল ইসলাম এরশাদ, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রাকিবুল ইসলাম সজিব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজান শেখ, বরমী ইউনিয়নের কৃষকদল নেতা জহিরুল ইসলাম ও ইমরুল হাসান রাজু, উপজেলা জাসাসের যুগ্ম আহ্বায়ক মোর্শেদ আলম প্রমুখ।
বক্তারা অবিলম্বে বিএনপি নেতাদের নাম মামলার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানান এবং পুলিশ প্রশাসনের কাছে নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানান।
ঢাকা/রফিক/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ আস ম ছ ত রদল র ল ইসল ম এল ক য় ব এনপ এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
ইসির প্রস্তাব বাতিল করে আশাশুনিকে স্বতন্ত্র নির্বাচনী আসন করার দাবিতে মানববন্ধন
আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলাকে একীভূত করে সংসদীয় সাতক্ষীরা-৪ আসন করার প্রস্তাব বাতিল ও আশাশুনি উপজেলাকে স্বতন্ত্র আসন করার দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে আশাশুনি উপজেলা পরিষদ সড়কে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সাতক্ষীরার দুটি আসনসহ দেশের ৩৯টি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের খসড়া প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ৩০ জুলাই এ খসড়া প্রকাশ করা হয়। পুনর্বিন্যাস করার আগে আশাশুনি ছিল সংসদীয় আসন সাতক্ষীরা-৩ এর মধ্যে। আশাশুনির ১১টি ইউনিয়ন, দেবহাটা উপজেলার পাঁচটি ও কালীগঞ্জ উপজেলার চারটিসহ মোট ২০টি ইউনিয়ন নিয়ে ছিল সাতক্ষীরা-৩ আসন। পুনর্বিন্যাসের পর শ্যামনগর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা ও আশাশুনির ১১টি আসন নিয়ে সংসদীয় আসন সাতক্ষীরা-৪ গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এতে বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুস সোবহান, শোভনালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির নুরুল আবছার মুরতাজা, আশাশুনি বাজার বণিক সমিতির সভাপতি এ বি এম আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, আশাশুনি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জি এম মুজিবুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আশাশুনি চারটি ও শ্যামনগর তিনটি দ্বীপে বিভক্ত। যোগাযোগব্যবস্থা খুবই নাজুক। আশাশুনির সঙ্গে শ্যামনগরের সড়কপথে সরাসরি কোনো যোগাযোগ নেই। আশাশুনি থেকে শ্যামনগর যেতে হলে কালীগঞ্জ উপজেলার ওপর দিয়ে যেতে হয়। না হলে নদী পার হয়ে যাতায়াত করতে হয়। নদীর ওপর নেই কোনো সেতু। বিচ্ছিন্ন ও দূরবর্তী দুটি উপজেলা নিয়ে আসনবিন্যাস অকল্পনীয়। জনকল্যাণের কথা বিবেচনা করলে আশাশুনিকে কখনো শ্যামনগরের সঙ্গে একীভূত করা যায় না। আশাশুনিকে স্বতন্ত্র আসন না করা হলে আশাশুনির ভোটাররা ভোট বর্জন করবেন এমন প্রচার পাড়া–মহল্লায় শোনা যাচ্ছে দাবি করে ন্যায্য জনদাবির প্রতি সমর্থনের জোর আবেদন জানানো হয়।
বক্তারা অবিলম্বে আশাশুনিকে সাতক্ষীরা-৪ আসনে একীভূত করার প্রস্তাব বাতিল করার দাবির পাশাপাশি আশাশুনি ২০০৮ সালের আগে যে স্বতন্ত্র আসন ছিল, তা বহাল করার দাবি জানান।