ইনজাঘির ‘অন্যতম সেরা’ রেফারিতে ক্ষুব্ধ বার্সা শিবির
Published: 7th, May 2025 GMT
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ইন্টার মিলানের কাছে ৪-৩ গোলে হেরেছে বার্সেলোনা। দুই লেগ মিলিয়ে ৭-৬ গোলের জয়ে ফাইনালে চলে গেছে ইতালির জায়ান্টরা।
ম্যাচে পোলিশ রেফারির বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বার্সেলোনার কোচ ও খেলোয়াড়রা। তবে ইন্টার মিলানের কোচ ইনজাঘির মতে, ইউরোপের অন্যতম সেরা কোচ সেজমন মার্সিনিয়াক।
ম্যাচ শেষে বার্সা কোচ হানসি ফ্লিক বলেন, ‘আমরা দারুণভাবে ম্যাচে ফিরেছিলাম। আমার মতে, ফিফটি ফিফটি সিদ্ধান্তগুলো ইন্টারের পক্ষে গেছে। তবে এটা আমাদের মেনে নিতে হবে, এটাই ফুটবল।’
বার্সা ডিফেন্ডার এরিক গার্সিয়া বলেন, ‘জানি না, এই মাঠের কী সমস্যা। এ নিয়ে তিনবার এলাম। কিন্তু কোন কারণে, কোন বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত আমাদের পক্ষে আসেনি। শেষবার যখন এখানে এসেছিলাম, তখন থেকেই জানি এই কোচের সমস্যাটা আসলে কোথায়।’
ডিফেন্ডার ইনিগো মার্টিনেজ বলেন, ‘সবাই দেখেছে, সিদ্ধান্ত এক পক্ষেই গেছে। তবে আমরা কাউকে দোষ দিতে চাই না। আমরা মাথা উঁচুই রাখছি।’
ইন্টার মিলানের কোচ ইনজাঘি বলেছেন, ‘এগুলো তো বার্সার মতামত। তিনি ইউরোপের অন্যতম সেরা রেফারি হিসেবে স্বীকৃত এবং এদিনও তিনি দারুণ একটা ম্যাচ পরিচালনা করেছেন।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইন ট র
এছাড়াও পড়ুন:
ডিজিটাল পরিচয়পত্র পাচ্ছেন সুন্দরবনের বনজীবীরা, নিষিদ্ধ এলাকায় ঢুকলেই আসবে খুদে বার্তা
সুন্দরবনের বনজীবীদের ডিজিটাল পরিচয়পত্র দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বন বিভাগ। এর মাধ্যমে বনজীবীদের গতিবিধি লক্ষ্য রাখাসহ অপরাধ দমন সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বন কর্মকর্তারা বলেন, ডিজিটাল পরিচয়পত্রটির মাধ্যমে কোনো জেলে বা বনজীবী সুন্দরবনের নিষিদ্ধ এলাকায় প্রবেশ করলে বনরক্ষীরা খুদে বার্তার মাধ্যমে সহজেই তা জানতে পারবেন।
আজ বৃহস্পতিবার সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এ জেড এম হাছানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বর্তমানে বনজীবীদের ডিজিটাল পরিচয়পত্র তৈরির জন্য পরামর্শক নিয়োগের কার্যক্রম চলছে। আমরা আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে সুন্দরবনের সম্পদ সংগ্রহকারীদের ডেটাবেজ তৈরি শেষে বনজীবীদের হাতে স্মার্ট কার্ড তুলে দিতে পারব।’
সম্প্রতি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠির মাধ্যমে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বন বিভাগকে। মন্ত্রণালয়টির উপসচিব কামরুল ইসলামের সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, সুন্দরবন–সংলগ্ন এলাকার স্থানীয় জনসাধারণ বনের মাছ ও কাঁকড়া আহরণ, মধু সংগ্রহ ও গোলপাতা সংগ্রহের ওপর নির্ভরশীল। বনের সুরক্ষার জন্য এই নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে তাঁদের ডিজিটাল পরিচয়পত্র প্রদান করে অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন। বনজীবী ছাড়াও পর্যটনসংশ্লিষ্ট ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইডদের পৃথক ডেটাবেজ তৈরির বিষয়েও বলা হয়েছে।
এই স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে জেলেরা বন বিভাগের কার্যালয়ে না গিয়ে মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনে রাজস্ব জমা দিয়ে সুন্দরবনে ঢুকতে পারবেন। আর কার্ডধারী কোনো জেলে সুন্দরবনের নিষিদ্ধ অভয়ারণ্যে প্রবেশ করলে বনরক্ষীদের কাছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেসেজ চলে যাবে। সেখানে স্পষ্ট বোঝা যাবে, কোন জেলে নিষিদ্ধ এলাকায় যাচ্ছেন।
স্মার্টকাডটি কীভাবে কাজ করবে, সে বিষয়ে এ জেড এম হাছানুর রহমান বলেন, ওই স্মার্ট কার্ডে একটি কিউআর কোড থাকবে। ওই কিউআর কোড দিয়ে বনজীবীদের পরিচয় নিশ্চিত করা হবে। তাদের ছবি, ঠিকানা, কবে বনে ঢুকেছেন, কবে বের হবেন, কোন জাল দিয়ে মাছ শিকার করবেন, কত টাকা রাজস্ব দিয়েছেন—সব তথ্য ডিভাইসের মাধ্যমে দেখা যাবে।