চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ইন্টার মিলানের কাছে ৪-৩ গোলে হেরেছে বার্সেলোনা। দুই লেগ মিলিয়ে ৭-৬ গোলের জয়ে ফাইনালে চলে গেছে ইতালির জায়ান্টরা।

ম্যাচে পোলিশ রেফারির বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বার্সেলোনার কোচ ও খেলোয়াড়রা। তবে ইন্টার মিলানের কোচ ইনজাঘির মতে, ইউরোপের অন্যতম সেরা কোচ সেজমন মার্সিনিয়াক। 

ম্যাচ শেষে বার্সা কোচ হানসি ফ্লিক বলেন, ‘আমরা দারুণভাবে ম্যাচে ফিরেছিলাম। আমার মতে, ফিফটি ফিফটি সিদ্ধান্তগুলো ইন্টারের পক্ষে গেছে। তবে এটা আমাদের মেনে নিতে হবে, এটাই ফুটবল।’ 

বার্সা ডিফেন্ডার এরিক গার্সিয়া বলেন, ‘জানি না, এই মাঠের কী সমস্যা। এ নিয়ে তিনবার এলাম। কিন্তু কোন কারণে, কোন বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত আমাদের পক্ষে আসেনি। শেষবার যখন এখানে এসেছিলাম, তখন থেকেই জানি এই কোচের সমস্যাটা আসলে কোথায়।’ 

ডিফেন্ডার ইনিগো মার্টিনেজ বলেন, ‘সবাই দেখেছে, সিদ্ধান্ত এক পক্ষেই গেছে। তবে আমরা কাউকে দোষ দিতে চাই না। আমরা মাথা উঁচুই রাখছি।’ 

ইন্টার মিলানের কোচ ইনজাঘি বলেছেন, ‘এগুলো তো বার্সার মতামত। তিনি ইউরোপের অন্যতম সেরা রেফারি হিসেবে স্বীকৃত এবং এদিনও তিনি দারুণ একটা ম্যাচ পরিচালনা করেছেন।’ 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইন ট র

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে না: গঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেছেন, বৃহস্পতিবার ৭ আগস্ট সন্ধ্যায় গাজীপুর চৌরাস্তায় প্রকাশ্য দিবালোকে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। বিকালেই তিনি গাজীপুর চৌরাস্তায় ফুটপাতে চাঁদাবাজি নিয়ে লাইভ করেছিলেন। সন্ধ্যায় তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। দেশের চাঁদাবাজরা কত নৃশংস ও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তার আরেকটি ভয়ংকর দৃষ্টান্ত এটা। এই ন্যক্কারজনক নৃশংস হত্যাকাণ্ড থেকে এটা প্রমাণ হয় যে, ফ্যাসিবাদের কবল থেকে মুক্ত হয়ে দেশ এখন সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের দখলে চলে গেছে।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) বাদ জুমআ নগরীর ডিআইটি চত্বর থেকে গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশ সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেক্রেটারি সুলতান মাহমুদের সঞ্চালনায় মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন, নগর সহ-সভাপতি মুহা. নুর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাও. শামসুল আলম, অর্থ সম্পাদক মুহা. ইসমাইল, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক মাও. সাইয়্যেদ রিদওয়ান, সহ প্রচার ও দাওয়া সম্পাদক মোস্তফা তালুকদার প্রমুখ।
 
তিনি আরও বলেন, ফুটপাতে কারা চাঁদাবাজি করে তা সবাই জানে। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে তাদের সম্পৃক্ততা স্পষ্ট। অবিলম্বে এদের গ্রেফতার করতে হবে এবং শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, একের পর এক এরকম হত্যাকাণ্ড, জুলুম করেই যাচ্ছে। অপরদিকে প্রশাসন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। দেশের জনগণ আইনের শাসন পাচ্ছে না। 

নেতৃবৃন্দ হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, একটি মহলের উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের উস্কানিমূলক বক্তব্য দেশ আরও অশান্ত করে তুলছে। প্রকাশ্যে তারা মানুষকে দা, কুড়াল ও চাপাতি দিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। এটা কোন সভ্য মানুষের বক্তব্য হতে পারে না। এমন বক্তব্য কেবল উগ্র সন্ত্রাসীদের পক্ষ থেকেই আসতে পারে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

সম্পর্কিত নিবন্ধ