জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বহু প্রত্যাশিত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) গঠনের পথ আপাতত স্থগিত থাকলেও আলোচনার নতুন দ্বার উন্মোচন হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মতামত অন্তর্ভুক্ত না থাকায় প্রস্তাবিত গঠনতন্ত্র অনুমোদন না করে তা পুনর্নিরীক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বুধবার (৭ মে) বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মো. রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, “ছাত্রদের মধ্যে বিভ্রান্তি বা অসন্তোষ সৃষ্টি হোক তা আমরা চাই না। তাই তাদের মতামত সংগ্রহ করে পরবর্তীতে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।”

বিশেষ এই সিন্ডিকেট সভায় আরো কয়েকটির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম- শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. তানজিম আলমের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হবে। কমিটিকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে লিখিত মতামত সংগ্রহ করে তা সিন্ডিকেট সভায় উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।

কমিটির অন্যতম সদস্য ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইস উদ্দিন বলেন, “শুধু প্রশাসনিকভাবে গঠনতন্ত্র চাপিয়ে দিলে ভবিষ্যতে সংকট দেখা দিতে পারে। তাই অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়ার দিকেই এগোচ্ছি আমরা।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রায় দুই দশক পেরিয়ে গেলেও এখনো জকসু নির্বাচন হয়নি, যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছিলেন।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধনে পাঁচ প্রস্তাব

‎রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ব্রাকসু) গঠনতন্ত্র ‘ত্রুটিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করে তা সংশোধনের জন্য পাঁচটি প্রস্তাব তুলে ধরেছেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (‎৬ নভেম্বর) বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে এসে ব্রাকসু নিয়ে তাদের মতামত উপস্থাপন করে দ্রুত গঠনতন্ত্র সংশোধনের দাবি করেন।

‎সংবাদ সম্মেলনে গঠনততন্ত্র পরিমার্জন ও সংশোধন বিষয়ে পাঁচটি প্রস্তাব তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। তারা চান এজিএস পদে একজন নারী প্রার্থী অথবা নারী বা ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক পদ সৃষ্টি করা হোক। মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক পদ গঠন করার প্রস্তাব রেখেছেন তারা। 

অন্য তিনটি প্রস্তাব হলো- ক্যাফেটেরিয়া ও কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি-বিষয়ক সম্পাদক পদ সৃষ্টি করা, অনাস্থা প্রস্তাবের মতো স্বেচ্ছাচারী ক্ষমতা না রাখা এবং একই ব্যক্তির দুটি পদে থাকার সুযোগ বাতিল করা।

আরো পড়ুন:

ব্রাকসু নির্বাচনের জন্য ৬ সদস্যের কমিশন গঠন

‎বিধি সংশোধনের নামে ব্রাকসু নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টার অভিযোগ

ব্রাকসুর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ পদে একই ব্যক্তি বসতে পারবেন। ক্ষমতাবলে উপাচার্য ছাত্রসংসদের সভাপতি হয়ে থাকেন। 

সংবাদ সম্মেলনে বেরোবি শিক্ষার্থী ‎রিফাত রাফি বলেন, “ত্রুটিপূর্ণ নীতিমালা দ্রুত সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ করা সম্ভব, যদি তাদের সদিচ্ছা থাকে। প্রশাসন চায় কম প্রতিনিধি নিয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করতে।”

‎আরেক শিক্ষার্থী ইয়ামিন ইসলাম বলেন, “আমি মনে করি, ব্রাকসুতে পদ সংখ্যা আরো বেশি করা উচিত। অনাস্থা প্রস্তাব যদি আনতেই হয়, তাহলে সভাপতি বা কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কেন নয়? তারাও তো অনাস্থা আনার মতো কাজ করতে পারেন। আমরা চাই সভাপতি পদে উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ পদে অন্য কেউ থাকুন।”

ঢাকা/সাজ্জাদ/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্রাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধনে পাঁচ প্রস্তাব