ফিট ঘোষণা করেও উসমান ডেম্বেলেকে শুরুর একাদশে রাখেননি পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে। ঘরের মাঠ পার্ক দেস প্রিন্সেসে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে জয়ের ব্যাপারে নিশ্চয় আত্মবিশ্বাস ছিল পিএসজি বসের।

বুধবার রাতে দ্বিতীয় লেগের এই ম্যাচে ২-১ গোলের আত্মবিশ্বাসী জয়ই পেয়েছে প্যারিসিয়ানরা। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ গোলের জয়ে পা রেখেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে।

পিএসজি ফাইনালে যাওয়ার পথ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে এগিয়ে রেখেছিল। আর্সেনালের মাঠ থেকে ১-০ গোলে জিতে ফিরেছিল। দ্বিতীয় লেগে হার এড়ালেই চলত তাদের। কিন্তু আর্সেনাল শুরু থেকে আক্রমণ করে খেলতে থাকে। প্রথমার্ধে বেশ কিছু আক্রমণ ও গোলের সুযোগ তৈরি করার বিপরীতে ২৭ মিনিটে ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে গানাররা। পিএসজির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ফ্যাবিয়ান রুইজ দুর্দান্ত এক ভলিতে গোল করেন।

দ্বিতীয়ার্ধের ৭০ মিনিটে মাঠে নামেন উসমান ডেম্বেলে। ২ মিনিট পরই লিড ২-০ করে ফাইনালের টিকিট হাতে নিয়ে নেয় পিএসজি। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-০ গোলের লিড দাঁড় করায়। গোলটি করেন আশরাফ হাকিমি। ৪ মিনিট পরে বুকোয়াকা সাকা জালে বল পাঠিয়ে কেবল হারের ব্যবধান কমান।

এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলবে ইতালির জায়ান্ট ইন্টার মিলান ও ফ্রেঞ্চ লিগের সেরা দল পিএসজি। ম্যাচটি মিউনিখে ১ জুন রাতে মাঠে গড়াবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প এসজ ফ ইন ল প এসজ

এছাড়াও পড়ুন:

তিনজনের ব্যাটে ১৫০, ৬০০ ছাড়াল নিউজিল্যান্ড

দিনের শেষ ওভারে ব্রায়ান বেনেটকে বেশ সমীহই করলেন রাচিন রবীন্দ্র ও হেনরি নিকোলস। জিম্বাবুয়ের খণ্ডকালীন স্পিনারের করা শেষ ওভারটি থেকে নিলেন মাত্র ১ রান। কতটা সমীহ করেছেন, সেটা বুঝতে চোখ রাখতে পারেন আগের ওভারগুলোতেও। ব্রেনেটের আগের ৫ ওভারে রান উঠেছে যথাক্রমে ১২, ১১, ১২, ২০ ও ৬।

বুলাওয়েতে আজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে স্বাগতিক বোলারদের ওপর রীতিমতো ঝড় বইয়ে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। সারা দিনে ৯১ ওভার ব্যাট করেছে কিউইরা। মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে রান করেছে ৪২৭। আগের দিনের রান যোগ করে নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের রান দাঁড়িয়েছে ৩ উইকেটে ৬০১–এ। প্রথম ইনিংসে ১২৫ রানে অলআউট হওয়া জিম্বাবুয়ে এখনই ম্যাচে ৪৭৬ রানে পিছিয়ে।

নিউজিল্যান্ডের এই বড় সংগ্রহের মূলে তিন ব্যাটসম্যানের দেড় শ ছোঁয়া ইনিংস। ১ উইকেটে ১৭৪ রান নিয়ে দিন শুরুর সময় ডেভন কনওয়ে অপরাজিত ছিলেন ৭৪ রানে। বাঁহাতি এই ওপেনার নিজের পঞ্চম সেঞ্চুরি পূর্ণ করে আউট হয়েছেন ১৫৩ রানে। তার আগে দিনের শুরুর দিকে ফেরেন আগের বিকেলে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা জ্যাকব ডাফি। কনওয়েকে বোল্ড করেন ব্লেসিং মুজারাবানি, ডাফিকে বেনেটের ক্যাচ বানান ভিনসেন্ট মাসেকেসা।

লাঞ্চ বিরতি থেকে ফেরার কিছুক্ষণ পর কনওয়ে আউট হয়ে গেলে জুটি বাঁধেন রাচিন রবীন্দ্র ও হেনরি নিকোলস। দিনের বাকি অংশে এ দুই ব্যাটসম্যানই জিম্বাবুয়ে বোলারদের সময়টা কঠিন করে তুলেছেন। দিন শেষে অবিচ্ছিন্ন দুজনই, এরই মধ্যে যোগ করেছেন ২৫৬ রান।

এর চেয়েও বড় অর্জন দুজনই সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর দেড় শর ঘরও ছুঁয়েছেন। চারে নামা নিকোলসের অপরাজিত ২৪৫ বলে ১৫০ রান করে। আর তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি করা রবীন্দ্র অপরাজিত ১৩৯ বলে ১৬৫ রানে। যার মধ্যে ২১টি চারের সঙ্গে আছে ২টি ছক্কাও।

নিউজিল্যান্ডের তিন ব্যাটসম্যান ১৫০ স্পর্শের মাধ্যমে একটি রেকর্ডের খাতায় নাম লিখিয়েছেন। টেস্ট ক্রিকেটে এর আগে এক ইনিংসে তিনটি দেড় শ দেখা গেছে দুবার। প্রথমবার ১৯৩৮ সালে ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের (লিওনার্ড হাটন, মরিস লেল্যান্ড ও জো হার্ডস্টাফ), আরেকটি ১৯৮৬ সালে কানপুরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারতের (সুনীল গাভাস্কার, মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন ও কপিল দেব)।

সংক্ষিপ্ত স্কোর (দ্বিতীয় দিন শেষে):জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস: ১২৫। নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংস: ১৩০ ওভারে ৬০১/৩ (রবীন্দ্র ১৬৫*, কনওয়ে ১৫৩, নিকোলস ১৫০*, ইয়াং ৭৪; মুজারাবানি ১/১০১)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ