বাংলাদেশভিত্তিক শিক্ষা প্রযুক্তি (এডটেক) স্টার্টআপ ‘শিখো’ সরকারের আইসিটি বিভাগের অধীন পরিচালিত ফ্ল্যাগশিপ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম স্টার্টআপ বাংলাদেশ থেকে নতুন বিনিয়োগ পেয়েছে। এই রাউন্ডে আরও অংশ নিয়েছেন তিনজন দেশি বিনিয়োগকারী—ওয়াসিকুর রহমান, কাজী জিশান রাবেত হাসান ও কাজী জাহিন শাহপর হাসান। ফলে শিখোর মোট বিনিয়োগ ৮০ লাখ মার্কিন ডলার ছাড়াল।
এই শিক্ষা প্রযুক্তি স্টার্টআপটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে। ২০১৯ সালে যাত্রা শুরু করা শিখো দুই বছর আগে ৯ কোটি ৬০ লাখ টাকার নতুন বিনিয়োগ পেয়েছিল। তখন পর্যন্ত তাদের মোট বিনিয়োগ প্রাপ্তি ছিল ৬৭ লাখ ডলার।
শিখোর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহির চৌধুরী বলেন, ‘সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রাপ্তি আমাদের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এটি কেবল আমাদের পূর্ববর্তী কাজের স্বীকৃতিই নয়; বরং ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনাও।’
স্টার্টআপ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও আইসিটি বিভাগের সচিব শিশ হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষা আমাদের জাতীয় উন্নয়ন কৌশলের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ। শিখো যে ধরনের ডিজিটাল শিক্ষা সমাধান তৈরি করছে, তা সহজে প্রসারযোগ্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও কার্যকর। দেশি উদ্ভাবকদের পাশে দাঁড়ানো মানে ভবিষ্যতের শিক্ষাব্যবস্থায় বিনিয়োগ করা। প্রযুক্তি যেন দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে পৌঁছে যায়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’
শিখোর কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন এ বিনিয়োগের মাধ্যমে শিখো একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত শিক্ষা ইকোসিস্টেম গঠনের পথে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাবে। যা দেশের শহর ও গ্রামীণ উভয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য সমানভাবে কার্যকর ও সহজলভ্য হবে। শিখোর লক্ষ্য প্রযুক্তিনির্ভর একটি আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলে বাংলাদেশের শিক্ষা খাতকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে না: গঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেছেন, বৃহস্পতিবার ৭ আগস্ট সন্ধ্যায় গাজীপুর চৌরাস্তায় প্রকাশ্য দিবালোকে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। বিকালেই তিনি গাজীপুর চৌরাস্তায় ফুটপাতে চাঁদাবাজি নিয়ে লাইভ করেছিলেন। সন্ধ্যায় তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। দেশের চাঁদাবাজরা কত নৃশংস ও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তার আরেকটি ভয়ংকর দৃষ্টান্ত এটা। এই ন্যক্কারজনক নৃশংস হত্যাকাণ্ড থেকে এটা প্রমাণ হয় যে, ফ্যাসিবাদের কবল থেকে মুক্ত হয়ে দেশ এখন সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের দখলে চলে গেছে।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) বাদ জুমআ নগরীর ডিআইটি চত্বর থেকে গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশ সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেক্রেটারি সুলতান মাহমুদের সঞ্চালনায় মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন, নগর সহ-সভাপতি মুহা. নুর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাও. শামসুল আলম, অর্থ সম্পাদক মুহা. ইসমাইল, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক মাও. সাইয়্যেদ রিদওয়ান, সহ প্রচার ও দাওয়া সম্পাদক মোস্তফা তালুকদার প্রমুখ।
তিনি আরও বলেন, ফুটপাতে কারা চাঁদাবাজি করে তা সবাই জানে। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে তাদের সম্পৃক্ততা স্পষ্ট। অবিলম্বে এদের গ্রেফতার করতে হবে এবং শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, একের পর এক এরকম হত্যাকাণ্ড, জুলুম করেই যাচ্ছে। অপরদিকে প্রশাসন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। দেশের জনগণ আইনের শাসন পাচ্ছে না।
নেতৃবৃন্দ হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, একটি মহলের উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের উস্কানিমূলক বক্তব্য দেশ আরও অশান্ত করে তুলছে। প্রকাশ্যে তারা মানুষকে দা, কুড়াল ও চাপাতি দিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। এটা কোন সভ্য মানুষের বক্তব্য হতে পারে না। এমন বক্তব্য কেবল উগ্র সন্ত্রাসীদের পক্ষ থেকেই আসতে পারে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।