মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় জামাতার বিরুদ্ধে ছুরি মেরে চাচাশ্বশুরকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের গাড়াবাড়িয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে চাচাশ্বশুর ইলিয়াস হোসেন (৪৭) খুন হন।

নিহত ইলিয়াস গাড়াবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত নেকছার মণ্ডলের ছেলে। জামাতা সবুজ আহম্মেদ একই উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের ষোলটাকা গ্রামের ময়নাল হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন তাঁর শ্যালক আবদুল্লাহ হোসেন (২৫)। তিনি মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সবুজ আহম্মেদের স্ত্রীর নাম সালমা খাতুন। তিনি গাড়াবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত আবুল বাসারের মেয়ে। এ দম্পতির পাঁচ বছরের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। গত ২৪ এপ্রিল সবুজ আহম্মেদ মাদব সেবন করে সালমাকে মারধর করেন। এরপর সালমা তাঁর বাপের বাড়ি গাড়িবাড়িয়া গ্রামে চলে আসেন। আজ ভোর চারটার দিকে সালমাকে নিতে আসেন সবুজ। সালমার ছোট ভাই আবদুল্লাহ হোসেন তাঁকে ঘরে বসতে বলেন। কিন্তু সবুজ অপেক্ষা না করে সালমাকে নিয়ে যেতে চান। সালমা তাঁর সঙ্গে যেতে না চাননি। একপর্যায়ে শ্যালক আবদুল্লাহ হোসেনের পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন সবুজ। আবদুল্লাহর চিৎকার শুনে তাঁর ছোট চাচা ইলিয়াস হোসেন এগিয়ে আসেন। তখন তাঁকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন সবুজ।

ঘটনাস্থলেই ইলিয়াস হোসেনের মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয় লোকজন সবুজকে মারধর করে একটি কক্ষে আটক করে রাখেন। পুলিশ এসে সবুজকে থানায় নিয়ে যায়।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবদুল্লাহ হোসেন বলেন, ‘গত মাসের ২৪ তারিখে আমার বোন সালমাকে তাঁর মাদকাসক্ত স্বামী সবুজ ব্যাপক মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এর পর থেকে সালমা আমাদের বাড়িতেই রয়েছে। আজ ভোরে সবুজ আমাদের বাড়িতে সালমাকে নিয়ে যেতে আসে। ফজরের নামাজ পড়তে বাড়ি থেকে বের হতেই সবুজ বাড়ির মূল ফটকে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় সবুজ তার কোমরে থাকা ছুরি দিয়ে আমার পেটে আঘাত করে। আমি চিৎকার করলে আমার ছোট চাচা ইলিয়াস হোসেন ছুটে এসে সবুজকে থামাতে যায়। এ সময় সবুজ তার পেটেও ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই আমার চাচা মারা যায়।’

মেহেরপুর গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত সবুজ আহম্মেদকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। গাড়াবাড়িয়া গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আবদ ল ল হ হ স ন সব জ আহম ম দ ন সব জ

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়

ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।

পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।

ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব  প্রায় ১০০ কিলোমিটার।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি  এখন সারানো  হয়েছে।

ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।  

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।

ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।  পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’

ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’

ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।

আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ