মেহেরপুরে জামাতার ছুরিকাঘাতে চাচাশ্বশুর খুন, শ্যালক আহত
Published: 8th, May 2025 GMT
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় জামাতার বিরুদ্ধে ছুরি মেরে চাচাশ্বশুরকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের গাড়াবাড়িয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে চাচাশ্বশুর ইলিয়াস হোসেন (৪৭) খুন হন।
নিহত ইলিয়াস গাড়াবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত নেকছার মণ্ডলের ছেলে। জামাতা সবুজ আহম্মেদ একই উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের ষোলটাকা গ্রামের ময়নাল হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন তাঁর শ্যালক আবদুল্লাহ হোসেন (২৫)। তিনি মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সবুজ আহম্মেদের স্ত্রীর নাম সালমা খাতুন। তিনি গাড়াবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত আবুল বাসারের মেয়ে। এ দম্পতির পাঁচ বছরের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। গত ২৪ এপ্রিল সবুজ আহম্মেদ মাদব সেবন করে সালমাকে মারধর করেন। এরপর সালমা তাঁর বাপের বাড়ি গাড়িবাড়িয়া গ্রামে চলে আসেন। আজ ভোর চারটার দিকে সালমাকে নিতে আসেন সবুজ। সালমার ছোট ভাই আবদুল্লাহ হোসেন তাঁকে ঘরে বসতে বলেন। কিন্তু সবুজ অপেক্ষা না করে সালমাকে নিয়ে যেতে চান। সালমা তাঁর সঙ্গে যেতে না চাননি। একপর্যায়ে শ্যালক আবদুল্লাহ হোসেনের পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন সবুজ। আবদুল্লাহর চিৎকার শুনে তাঁর ছোট চাচা ইলিয়াস হোসেন এগিয়ে আসেন। তখন তাঁকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন সবুজ।
ঘটনাস্থলেই ইলিয়াস হোসেনের মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয় লোকজন সবুজকে মারধর করে একটি কক্ষে আটক করে রাখেন। পুলিশ এসে সবুজকে থানায় নিয়ে যায়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবদুল্লাহ হোসেন বলেন, ‘গত মাসের ২৪ তারিখে আমার বোন সালমাকে তাঁর মাদকাসক্ত স্বামী সবুজ ব্যাপক মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এর পর থেকে সালমা আমাদের বাড়িতেই রয়েছে। আজ ভোরে সবুজ আমাদের বাড়িতে সালমাকে নিয়ে যেতে আসে। ফজরের নামাজ পড়তে বাড়ি থেকে বের হতেই সবুজ বাড়ির মূল ফটকে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় সবুজ তার কোমরে থাকা ছুরি দিয়ে আমার পেটে আঘাত করে। আমি চিৎকার করলে আমার ছোট চাচা ইলিয়াস হোসেন ছুটে এসে সবুজকে থামাতে যায়। এ সময় সবুজ তার পেটেও ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই আমার চাচা মারা যায়।’
মেহেরপুর গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত সবুজ আহম্মেদকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। গাড়াবাড়িয়া গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আবদ ল ল হ হ স ন সব জ আহম ম দ ন সব জ
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিক ভাইদের জীবনের নিরাপত্তা কে দিবে, প্রশ্ন তমা মির্জার
গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় আসাদুজ্জামান তুহিন নামে এক সাংবাদিককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর সমালোচনার ঢেউ বইছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেক্কারজনক এ ঘটনা নিয়ে জোরোলো প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী তমা মির্জা।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) দুপুরে তমা মির্জা একটি খবরের স্ক্রিনশট পোস্ট করেন। তার ক্যাপশনে লেখেন, “উনার দোষটা কী ছিল একটু জানাবেন? কেন এত নির্মমভাবে একজন সাংবাদিককে খুন করা হলো?”
প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তমা মির্জা বলেন, “আবার এটা নিয়ে কারো কিছু বলারও নেই, চুপ করে দেখছে, শুনছে, কেউ কিছু বলছে না, কারো কিছু করারও নেই, আমাদের সাংবাদিক ভাইদের জীবনের নিরাপত্তা তাহলে কে দিবে?”
আরো পড়ুন:
কমল হাসানের পায়ের ধুলোরও যোগ্য নন শাহরুখ: লিলিপুট
ছবি ও ভিডিও বিকৃতি নিয়ে সোচ্চার মেহজাবীন
তমা মির্জার এ পোস্টে দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন নেটিজেনরা। ফরহাদ নামে একজন লেখেন, “এদেশে আবার কিসের নিরাপত্তা এদেশ বিক্রি হয়ে গেছে।” রবিউল নামে একজন লেখেন, “কারণ এটা বাংলাদেশ।” শিবলি নামে একজন লেখেন, “বাংলাদেশে জন্ম নেওয়ার থেকে বড় দোষ আর কি করা লাগবে। তার উপর আবার সে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কাজ করার চেষ্টা করেছে।”
গোলাম রাব্বি লেখেন, “এটাই আমার সোনার বাংলাদেশ।” সুজন তালুকদার লেখেন, “উনার দোষটা ছিল গণমাধ্যম এখন স্বাধীন।” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে কমেন্ট বক্সে।
ঢাকা/শান্ত