‘ভারত এই মুহূর্তে পরিস্থিতি আরো খারাপ করতে চায় না’
Published: 8th, May 2025 GMT
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, ‘অপারেশন সিন্দুর’ একটি চলমান অভিযান। অবশ্য ভারত এই মুহূর্তে পরিস্থিতি আরো খারাপ করতে চায় না। তবে পাকিস্তান যদি আক্রমণ করে তবে ভারতও পাল্টা আক্রমণ করবে। বৃহস্পতিবার এক সর্বদলীয় বৈঠকে তিনি এ কথা বলেছেন।
মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি স্থানে ভারত কর্তৃক বিমান হামলা চালায় ভারত। এই সামরিক অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন সিন্দুর’। ভারতের এই সামরিক অভিযানে পাকিস্তানে অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন, যারা সবাই বেসামরিক নাগরিক।
সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি অনলাইন জানিয়েছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং মঙ্গলবার রাতের হামলা সম্পর্কে তথ্য জানিয়েছেন সর্বদলীয় বৈঠকে। তবে পরিস্থিতির সংবেদনশীলতার কারণে সরকার সব তথ্য প্রকাশ করছে না বলে জোর দিয়েছেন তিনি।
আরো পড়ুন:
এক রাতে ভারতের ১২ ড্রোন ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান
ভারত-পাকিস্তানের নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের মধ্যে যোগাযোগ হয়েছে: দার
রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, পাকিস্তানে বিমান হামলায় প্রায় ১০০ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। অবশ্য সংখ্যাটি নিশ্চিত করা হয়নি এবং এখনো তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
লোকসভায় বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী সরকারকে যে কোনো পদক্ষেপে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন। বৈঠকে রাহুল গান্ধী বিরোধীদের আস্থা নেওয়ার জন্য অভিযানের আগে এবং পরে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। কংগ্রেস প্রধান এবং রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
পরে সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলতে গিয়ে খাড়গে বলেন, “তিনি (মোদি) আগের বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন না। ঠিক আছে, তিনি মনে করেন তিনি সংসদের ঊর্ধ্বে। আমরা তাকে মাঝে মাঝে জিজ্ঞাসা করব। কিন্তু এটি সঙ্কটের সময়, আমরা কারো সমালোচনা করতে চাই না।”
সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেছেন, “রাজনৈতিক নেতারা দলীয় লাইন অতিক্রম করে সভায় পরিপক্কতা দেখিয়েছেন। যখন দেশ এমন সংকটের মুখোমুখি, তখন রাজনীতির কোনো স্থান নেই। সব নেতা সর্বসম্মতভাবে সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করেছেন। সবাই বলেছেন যে আমরা সরকার এবং বাহিনীর সমস্ত পদক্ষেপকে সমর্থন করব। কারো কোনও বিরোধিতা ছিল না।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মন ত র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্রদলের উদ্যোগে ঢাবিতে প্রথম ‘লিটল ফ্রি লাইব্রেরি’
বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে এই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতাদের উদ্যোগে ‘লিটল ফ্রি লাইব্রেরি’ স্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা বই পড়ার পাশাপাশি এই লাইব্রেরিতে বই দান করতেও পারবেন বলে তথ্য দিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
শুক্রবার (৬ নভেম্বর) বিকালে বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সাকিব বিশ্বাসের উদ্যোগে ও বিএম ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক বিএম কাওসারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ প্রাঙ্গণে ‘লিটল ফ্রি লাইব্রেরি’ স্থাপনের মাধ্যমে বই পড়া চর্চার বিরল এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ঢাবির ৭৪ শিক্ষক-শিক্ষার্থী
ঢাবিতে শুরু হচ্ছে ইকবাল ও নজরুলকে নিয়ে আন্তর্জাতিক কনফারেন্স
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি), সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, সমাজ কল্যাণ ইনিস্টিউটসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় এই লাইব্রেরি স্থাপন করা হয়। এতে রাজনৈতিক, সাহিত্যিক, অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৫০টি বই স্থান পেয়েছে।
বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সাকিব বিশ্বাস বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞান পিপাসুদের জন্য লিটল ফ্রি লাইব্রেরি আমার ছোট্ট প্রয়াস। শিক্ষার্থীদের বই পড়ার অদম্য ইচ্ছা যাতে আরো সংহত হয়, সে লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ। ক্যাম্পাসের যেসব স্থানে শিক্ষার্থীদের আড্ডা বেশি হয়, সেখানেই লাইব্রেরি স্থাপন করা হবে।”
শিক্ষার্থীরা বই পড়ার পাশাপাশি লিটল ফ্রি লাইব্রেরিতে বই ডোনেটও করতে পারবেন জানিয়ে সাকিব বলেন, “তবে এর ব্যবস্থাপনার দ্বায়িত্ব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের।”
ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক বিএম কাওসার বলেন, “সারা বিশ্ব বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে লিটল লাইব্রেরির অনেক উদাহরণ আছে। বাংলাদেশে বা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এটার তেমন উদাহরণ দেখা যায় না। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আড্ডার মাঝে বই পড়ার চর্চা করতে পারেন। শিক্ষার্থীদের বই পড়ার চর্চার মাধ্যমে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে সচেতন হতে হবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সবসময় শিক্ষার্থীদের পাশে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।”
ঢাকা/সৌরভ/রাসেল