অনলাইন– ব্যবসা–বাণিজ্য বাড়াতে ঢাকায় কার্যক্রম শুরু করল দুবাই চেম্বার
Published: 8th, May 2025 GMT
দুবাই চেম্বারের অধীন থাকা তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম হলো দুবাই ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার। এই চেম্বারের নতুন আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি কার্যালয়রা রাজধানী ঢাকায় চালু করেছে। দুবাই ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন এই কার্যালয়ের মধ্য দিয়ে চেম্বারটির আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি কার্যালয়ের সংখ্যা বিশ্বজুড়ে ৩৫-এ পৌঁছাল। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল চেম্বারের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি ঢাকায় এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নতুন এই অফিস উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আবদুল্লাহ খাসেইফ আলহামৌদি।
এতে বলা হয়েছে, ‘দুবাই গ্লোবাল’ উদ্যোগের অংশ হিসেবে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০টি আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) আকর্ষণ এবং বিশ্বজুড়ে তাৎপর্যপূর্ণ ৩০টি বিপণনস্থলে স্বদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্প্রসারণ করার মাধ্যমে দুবাইয়ের অবস্থান দৃঢ় করাই এ উদ্যোগের লক্ষ্য।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশ ও দুবাইয়ের মধ্যকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক ক্রমবর্ধমান এবং আলোচ্য প্রতিনিধি কার্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। ২০২৪ সালে দুই দেশের মধ্যে তেল ব্যতীত ১৭১ কোটি ডলারের বাণিজ্যিক লেনদেন হয়; আগের বছরে যা ছিল ১৫৮ কোটি ডলার। এ সময়ে প্রবৃদ্ধির হার ৯ শতাংশ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দুবাই চেম্বার্সের প্রেসিডেন্ট ও সিইও মোহাম্মদ আলী রাশেদ লুতাহ বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় ও দ্রুত বর্ধনশীল দেশ, যেখানে দুবাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ বিদ্যমান। ঢাকায় আমাদের আন্তর্জাতিক কার্যালয় চালু করা দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী মাইলফলক। এই কার্যালয় দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সহযোগিতা তৈরি, বাণিজ্যিক সম্পর্ক সহজ করা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটি দুবাইকে একটি শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে সহায়তা করবে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ও দুবাইয়ে অবস্থানরত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করবে ঢাকার এই আন্তর্জাতিক কার্যালয়। একই সঙ্গে দুবাইয়ে বাণিজ্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তথ্য-পরামর্শ, বাণিজ্যিক উপাত্ত ও ব্যবসায়িক মহলে শক্তিশালী নেটওয়ার্কের সন্ধান দিয়ে সহযোগিতা করবে। বৈশ্বিক বাজারের প্রবেশদ্বার হিসেবে দুবাইয়ের ইতিবাচক অবস্থানকে কাজে লাগাবে।
পাশাপাশি নতুন কার্যালয়টি বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ করতে চাওয়া দুবাইয়ের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বাণিজ্যিক তথ্য-উপাত্ত প্রদান ও ব্যবসায়িক সুযোগ চিহ্নিত করতে সহযোগিতা করবে এবং স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করার ক্ষেত্রে পরামর্শগত সহায়তা প্রদান করবে। যেন বাংলাদেশের বাজারে তাদের কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালিত হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস য় ক
এছাড়াও পড়ুন:
আইইএলটিএস রাইটিংয়ে ব্যান্ড ৭ পেতে চাইলে যা করবেন
ইংরেজি ভাষাদক্ষতার প্রচলিত নিরীক্ষণপদ্ধতি ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম বা আইইএলটিএসের লিসেনিং, রিডিং, রাইটিং ও স্পিকিং অংশের মধ্যে রাইটিং অংশে ব্যান্ড ৭ পাওয়া তুলনামূলক কঠিন। বিশেষ করে রাইটিং টাস্ক-টুতে ব্যান্ড ৭ পাওয়া যে কত কঠিন, যাঁরা পরীক্ষা দিয়েছেন, তাঁরাই শুধু জানেন। আমাদের দেশের অনেক শিক্ষার্থী রিডিংয়ে ব্যান্ড ৯ পেয়েও রাইটিংয়ে ৬.৫ পান। কারণ, তাঁরা অনেক সময় বুঝতে পারেন না কীভাবে রাইটিংয়ের উত্তর মূল্যায়ন করা হয়। যদি সেটি জানতেন, তাহলে ব্যান্ড ৭ পেতে পারতেন।
আইইএলটিএস রাইটিং টাস্ক-টুতে পরীক্ষার উত্তরপত্র চারটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করা হয়। সেগুলো হলো টাস্ক রেসপন্স, কোহেরেন্স অ্যান্ড কোহেশন, লেক্সিক্যাল রিসোর্সেস ও গ্রামাটিক্যাল রেঞ্জ অ্যান্ড অ্যাকুরেসি। এই চারটি বিষয়ের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় টাস্ক রেসপন্স। শিক্ষার্থীদের এই বিষয়ে সঠিক ধারণা না থাকায় ভালো শিক্ষার্থীরাও রাইটিং অংশে ব্যান্ড ৭ তুলতে পারেন না।
টাস্ক রেসপন্স কীটাস্ক টেসপন্স বলতে বোঝায় আপনি রাইটিং প্রশ্নটি কত ভালোভাবে বুঝতে পারবেন এবং এর প্রেক্ষিতে কত ভালোভাবে উত্তর লিখতে পারবেন। মূলত এখানে দেখা হয়, আপনি প্রশ্নের সব অংশ লিখতে পেরেছেন কি না, পুরো রচনাতে আপনার পজিশন ক্লিয়ার ছিল কি না, আপনি আপনার আইডিয়াকে কীভাবে ডেভেলপ করেছেন, আপনার রাইটিং ফরম্যাট ঠিক আছে কি না এবং আপনার মেইন আইডিয়াগুলো প্রাসঙ্গিক কি না।
আরও পড়ুনযে ১০ বিদেশি ভাষা শিক্ষা উন্নত ক্যারিয়ার গঠনে এগিয়ে রাখবে আপনাকে১৬ এপ্রিল ২০২৪অল পার্টস বলতে কী বোঝায়একটি রচনায় সাধারণত অনেকগুলো অংশ থাকে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য তা বুঝতে পারা কিছুটা কঠিন। ধরুন পরীক্ষায় প্রশ্ন এলো; It is important for people to take risks, both in their professional lives and their personal lives. Do you think the advantages of taking risks outweigh the disadvantages? এই প্রশ্নের উত্তর লেখার সময় আপনাকে যা যা করতে হবে, তা হচ্ছে আপনাকে প্রফেশনাল লাইফে রিস্ক নেওয়ার সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে লিখতে হবে। আবার একইভাবে পারসোনাল লাইফে রিস্ক নেওয়ার সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে লিখতে হবে। ধরুন, আপনি শুধু সুবিধাগুলো বলে গেলেন কিন্তু কোনো অসুবিধা উল্লেখ করলেন না। আবার আপনি একটি করে সুবিধা ও একটি করে অসুবিধা লিখে গেলেন। তাহলে আপনি পুরোপুরি পার্টস কভার করলেন না। তাহলে ব্যান্ড ৭ পেতে আপনাকে যা করতে হবে এই রচনার জন্য কমপক্ষে দুটি সুবিধা ও দুটি অসুবিধা লিখতে হবে এবং প্রফেশনাল, পারসোনাল দুটিই উল্লেখ করতে হবে।
মেইন আইডিয়া কতটুকু প্রসঙ্গিক করতে হবে? ধরুন, আপনাকে ওপরে উল্লিখিত প্রশ্নের ভিত্তিতে দুটি আইডিয়া দেওয়া হলো। যেমন প্রফেশনাল লাইফে রিস্ক নিলে ক্যারিয়ারে উন্নতি হয় এবং প্রফেশনাল লাইফে রিস্ক নিলে সামাজিক সম্পর্ক ভালো হয়। এখন এই দুটি আইডিয়ার মধ্যে আপনি যদি দ্বিতীয় আইডিয়াটি লেখেন, তাহলে আপনি প্রসঙ্গিক মেইন আইডিয়া দিতে ব্যর্থ হবেন। এ ক্ষেত্রে আপনার পেনাল্টি হবে। কিন্তু আপনি যদি প্রথম আইডিয়াটি লেখেন, তাহলে আপনার আইডিয়া প্রাসঙ্গিক হবে। যদি আপনার আইডিয়া প্রশ্নের বিষয়ের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক না হয়, তাহলে আপনি কখনোই ব্যান্ড ৭ পাবেন না।
আরও পড়ুনডুওলিঙ্গো টেস্ট কী, প্রস্তুতি কীভাবে নেবেন১৫ এপ্রিল ২০২৪আইডিয়া কি এক লাইনে লেখা যায়এক লাইনে মেইন আইডিয়া লেখা যাবে না। ধরুন, আপনি বডি প্যারাতে অনেকগুলো আইডিয়া লেখে গেলেন। যেমন প্রথমত, রিস্ক নিলে ক্যারিয়ারে উন্নতি হয়। দ্বিতীয়ত, রিস্ক নিলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। তৃতীয়ত, রিস্ক নিলে ভয় দূর হয়। শেষে রিস্ক নিলে জ্ঞান বাড়ে।
কিন্তু আইডিয়াগুলোকে না বাড়ালে তাহলে আপনি কখনোই ব্যান্ড ৭ পাবেন না। এ জন্য আপনাকে প্রথম আইডিয়া হিসেবে রিস্ক নিলে ক্যারিয়ারে উন্নতি হয় এটি লিখলে এর সঙ্গে কেন/কীভাবে দিয়ে আইডিয়া বাড়াতে হবে এবং একটি প্রাসঙ্গিক উদাহরণ দিতে হবে। তাহলে আপনার আইডিয়া সঠিক হবে।
প্রথম আলো ফাইল ছবি