মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ভারত ও পাকিস্তান অবিলম্বে পুরোপুরি অস্ত্রবিরতিতে রাজি হয়েছে। এরপরই আলাদাভাবে দুই দেশ অস্ত্রবিরতিতে যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তান অবিলম্বে অস্ত্রবিরতি কার্যকর করতে রাজি হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে এ কথা জানান তিনি।

ইসহাক দার বলেন, পাকিস্তান সবসময়ই এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছে। এ ক্ষেত্রে তারা দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার সাথে কোনো আপস করেনি।

এদিকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে ভারতের অস্ত্রবিরতির সিদ্ধান্তের কথা জানান দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। 

তিনি বলেন, স্থানীয় সময় শনিবার বিকেল পাঁচটা থেকে স্থল, বিমান ও নৌবাহিনী পাকিস্তানের দিকে সব ধরনের গুলি চালানো বন্ধ রাখছে।

‘পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল মিলিটারি অপারেশন্স ভারতীয় সময় তিনটা ৩৫ মিনিটে ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল মিলিটারি অপারেশন্সকে ফোন করেছিলেন। তাদের দুজনের মধ্যে স্থির হয়েছে আজ ভারতীয় সময় বিকেল পাঁচটা থেকে দুই পক্ষই সব ধরণের গুলি-গোলা চালানো এবং স্থল, আকাশ ও জলপথে সামরিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করবে।’, উল্লেখ করেন তিনি।

দুই দিকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বলেন তিনি। সূত্র: আল-জাজিরা ও বিবিসি

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

গুমের মামলায় ১২ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ পেছাল

গুমের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় সাবেক ও বর্তমান ১২ সেনা কর্মকর্তাসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হবে কি না, সে বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য ছিল রোববার। তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১ এদিন এ বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি। ১৮ ডিসেম্বর এ মামলায় আদেশ দেওয়ার দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল ১–এ এই মামলার বিচার চলছে। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) গুম করে রাখার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় ১৩ আসামির মধ্যে তিনজন গ্রেপ্তার আছেন। তাঁরা হলেন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী। রোববার তাঁদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়।

আদেশের তারিখ পরিবর্তনের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে এক ব্রিফিংয়ে প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন বলেন, অনেকগুলো মামলা থাকায় ট্রাইব্যুনাল সময় পাননি।

এ মামলার ১০ আসামি পলাতক। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচজন মহাপরিচালক (ডিজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আবেদিন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী ও মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক।

পলাতক আসামিদের মধ্যে আরও আছেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ তৌহিদুল উল ইসলাম, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক। এ ছাড়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকও এ মামলার পলাতক আসামি। তাঁদের পক্ষেও রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীরা অব্যাহতির আবেদন করেছেন।

দুই সেনা কর্মকর্তার মামলাও পিছিয়েছে

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অপর একটি মামলায় দুই সেনা কর্মকর্তাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের শুনানিও রোববার অনুষ্ঠিত হয়নি। ২১ ডিসেম্বর এ মামলায় শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

এ মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার আছেন। তাঁরা হলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম ও মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম। তাঁরা জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) দায়িত্ব পালন করেন।

হেনরী–জিয়াউলের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১৫ ফেব্রুয়ারি

মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেকটি মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরীর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

এ ছাড়া গুমের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেকটি মামলায় রোববার সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ