অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক শুরু হয়েছে। শনিবার রাত ৮টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জরুরি এই বৈঠক শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আইসিটি অ্যাক্টে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রস্তাবনা নিয়ে আজ রাতে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে আলোচনা হবে। শনিবার বিকেলে যশোরের কেশবপুর পাথরা পল্লী উন্নয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ কথা জানান।
এর আগে গত শুক্রবার, অন্তর্বর্তী সরকার আইসিটি আইনে অবিলম্বে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও রাজনৈতিক দলগুলোর বিচার সম্পন্ন করার বিধান অন্তর্ভুক্ত করা লক্ষ্যে আইনটি সংশোধন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
২৫০ প্রজাতির বন্য প্রাণী হত্যা এখন জামিন অযোগ্য অপরাধ
এত দিন শুধু বাঘ ও হাতি হত্যার অপরাধে কেউ গ্রেপ্তার হলে জামিন পেতেন না, এখন আরও ২৪৮টি বন্য প্রাণী হত্যার অপরাধও হবে জামিন অযোগ্য।
হুমকির মুখে থাকা দেশের বন্য প্রাণী সুরক্ষার আইনে এই পরিবর্তন আসছে। গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদে ‘বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা অধ্যাদেশ’ অনুমোদন পায়।
নতুন আইনে সুরক্ষার আওতায় আনা হচ্ছে দেশের অধিকাংশ প্রজাতির বন্য প্রাণীকে। এ অধ্যাদেশে বন্য প্রাণীর আবাসস্থল টিকিয়ে রাখতে অনুকূল এমন ১০০ প্রজাতির গাছকেও সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে।
সন্দেহজনক বন অপরাধীদের পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তারের ক্ষমতাও পাচ্ছে বন কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বন্য প্রাণী সুরক্ষা ও কল্যাণে একটি ওয়াল্ডলাইফ ট্রাস্ট গঠনের বিধানও রাখা হয়েছে।
‘বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২’ এ সংস্কার করে অন্তর্বর্তী সরকার এই অধ্যাদেশ জারি করতে যাচ্ছে।
এই বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রথম আলোকে বলেন, অধ্যাদেশটি বন্য প্রাণী সংরক্ষণে একটি সুখবর। ইতিমধ্যে অর্থ বিভাগ থেকে নতুন বন্য প্রাণী উইংয়ের অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। আগের আইনে বন সংরক্ষণে সরকার ও বন বিভাগের দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করা ছিল না। নতুন অধ্যাদেশে সেগুলো স্পষ্ট করা হয়েছে।
নতুন আইনে সুরক্ষার আওতায় আনা হচ্ছে দেশের অধিকাংশ প্রজাতির বন্য প্রাণীকে। অধ্যাদেশে বন্য প্রাণীর আবাসস্থল টিকিয়ে রাখতে অনুকূল এমন ১০০ প্রজাতির গাছকেও সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে।বন আইনে প্রথাগত বনবাসীর অধিকারকে সংরক্ষণ ও স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বন অধিদপ্তর বনের সীমানা চিহ্নিতকরণের কাজ করবে, যাতে বনভূমি নতুন করে বেদখল না হয়।
আগের আইনের মতো অধ্যাদেশে চারটি তফসিল থাকলেও নতুন অধ্যাদেশে তসফিল–১ কে ক, খ, গ এ তিন উপভাগে ভাগ করা হয়েছে। তফসিল–১ (ক) তে পরিবেশের সূচক (ফ্ল্যাগশিপ স্পেসিজ) হিসেবে বাঘ ও হাতিকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। তফসিল–১(খ)তে ২৫০ প্রজাতির বন্য প্রাণী সুরক্ষা পাবে।
বাংলাদেশে মাত্র পাঁচ প্রজাতির বন্য প্রাণী সংরক্ষিত বনে ভালো পরিবেশে এবং পর্যাপ্ত সংখ্যায় টিকে আছে