অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক শুরু হয়েছে। শনিবার রাত ৮টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জরুরি এই বৈঠক শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আইসিটি অ্যাক্টে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রস্তাবনা নিয়ে আজ রাতে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে আলোচনা হবে। শনিবার বিকেলে যশোরের কেশবপুর পাথরা পল্লী উন্নয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ কথা জানান।
এর আগে গত শুক্রবার, অন্তর্বর্তী সরকার আইসিটি আইনে অবিলম্বে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও রাজনৈতিক দলগুলোর বিচার সম্পন্ন করার বিধান অন্তর্ভুক্ত করা লক্ষ্যে আইনটি সংশোধন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
টেকনোলজিস্ট-ফার্মাসিস্টদের দ্রুত কাজে ফেরার আহ্বান
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের চলমান কর্মবিরতিতে দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে জরুরি সেবা বিঘ্নিত হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। সেবাপ্রার্থী মানুষের ভোগান্তির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে মন্ত্রণালয় অবিলম্বে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরে যেতে টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয় থেকে থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়েছে, টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দীর্ঘদিনের দাবি—দশম গ্রেড বাস্তবায়ন সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সব কার্যক্রম ইতিবাচকভাবে সম্পন্ন করেছে। বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ও সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করছে এবং প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। যেহেতু, এটি দীর্ঘমেয়াদি প্রশাসনিক সমস্যা, তাই সমাধানে সময় লাগবে।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট কর্মবিরতি
খালেদা জিয়াকে দেখতে ইংল্যান্ডের ডা. রিচার্ড বিলি হাসপাতালে
সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সচিব পর্যায়ে আলোচনাও ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। তবে, আলোচনার অগ্রগতি সত্ত্বেও আন্দোলনকারীরা কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছেন, যা মানুষের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা ব্যাহত করছে।
কর্মবিরতির কর্মসূচি ‘রোগীদের জিম্মি করে দাবি আদায়ের প্রয়াস’ বলে মন্তব্য করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এ অবস্থায় সরকারের ইতিবাচক উদ্যোগ চলমান থাকা সত্ত্বেও অযৌক্তিক কর্মবিরতি অব্যাহত রাখাকে জনস্বার্থবিরোধী বলে উল্লেখ করেছে মন্ত্রণালয়। তাৎক্ষণিকভাবে কাজে যোগ না দিলে অত্যাবশ্যকীয় সেবা ব্যাহত করার অভিযোগে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
ঢাকা/এএএম/রফিক