অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক শুরু হয়েছে। শনিবার রাত ৮টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জরুরি এই বৈঠক শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আইসিটি অ্যাক্টে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রস্তাবনা নিয়ে আজ রাতে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে আলোচনা হবে। শনিবার বিকেলে যশোরের কেশবপুর পাথরা পল্লী উন্নয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ কথা জানান।

এর আগে গত শুক্রবার, অন্তর্বর্তী সরকার আইসিটি আইনে অবিলম্বে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও রাজনৈতিক দলগুলোর বিচার সম্পন্ন করার বিধান অন্তর্ভুক্ত করা লক্ষ্যে আইনটি সংশোধন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

বনানীতে স্পা সেন্টারে অভিযানে গ্রেপ্তার ৬, ভুক্তভোগী ১২ নারীকে উদ্ধার

দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে কম বয়সের নারীদের ঢাকায় এনে বাধ্যতামূলকভাবে যৌনকর্মে নিয়োজিত করার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বনানীর ‘রিলাক জোন বিউটি পারলার অ্যান্ড সেলুন’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের স্পা সেন্টারে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়। এ সময় ১২ জন ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাতজন অপ্রাপ্তবয়স্ক।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন জাহাঙ্গীর আলম (৩৭), রাকিবুল ইসলাম (২৫), গোলাম মোর্শেদ ওরফে সৌমিক (২৬), রাব্বি ইব্রাহীম (২৩), জহিরুল (৩৩) ও শ্যামল কুমার (৪৭)।

সিআইডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বনানী এলাকায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে রিলাক জোন বিউটি পারলার অ্যান্ড সেলুন পরিচালনা করা হচ্ছিল। অভিযানের সময় দেখা যায়, ফ্ল্যাটের একাধিক কক্ষে নানা জেলা থেকে আনা কম বয়সী নারীদের জড়ো করে রাখা হয়েছে। এ সময় ১২ জন ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় ছয়জনকে।

আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় পারলারটির স্পা সেন্টারের মালিক মোবারক আলী ওরফে সবুজকেও (৩৬) আসামি করা হয়েছে।

সিআইডি বলছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উচ্চ বেতনের চাকরি, বিউটি পারলারে নিরাপদ কাজ, থাকার ব্যবস্থাসহ বৈধ কর্মসংস্থানের প্রলোভন দেখিয়ে প্রত্যন্ত এলাকা থেকে এসব নারীকে ঢাকায় আনা হয়েছে। পরে তাঁদের চাপ প্রয়োগ, ভয়ভীতি ও মিথ্যা প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে নানা কৌশলে স্পা সেন্টারের আড়ালে যৌনকর্মে বাধ্য করা হচ্ছিল।

ভবনের মালিক দেলোয়ার হোসেন পলাতক। তিনি অবৈধ ও অনৈতিক কাজে ব্যবহার করা হবে জেনেও ফ্ল্যাটটি ভাড়া দিয়েছেন বলে সিআইডির তদন্তে প্রাথমিকভাবে উঠে এসেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ