অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক শুরু হয়েছে। শনিবার রাত ৮টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জরুরি এই বৈঠক শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আইসিটি অ্যাক্টে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রস্তাবনা নিয়ে আজ রাতে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে আলোচনা হবে। শনিবার বিকেলে যশোরের কেশবপুর পাথরা পল্লী উন্নয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ কথা জানান।
এর আগে গত শুক্রবার, অন্তর্বর্তী সরকার আইসিটি আইনে অবিলম্বে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও রাজনৈতিক দলগুলোর বিচার সম্পন্ন করার বিধান অন্তর্ভুক্ত করা লক্ষ্যে আইনটি সংশোধন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
বিচার বিভাগ কাগজে স্বাধীন, এখন বাস্তবে এর প্রতিফলন দেখতে চায় মানুষ: মাহবুব উদ্দিন খোকন
বিচার বিভাগ গেজেটের মাধ্যমে কাগজে স্বাধীন হয়েছে, তবে মানুষ বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি বলেন, দেশের মানুষ আইনের শাসন ও সব জায়গায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত দেখতে চায়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে ‘সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ, ২০২৫’ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবী এসব কথা বলেন।
এ সময় সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিচারব্যবস্থায় জনগণ একটি আমূল পরিবর্তন দেখতে পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি বলেন, ‘এখন আক্ষরিক অর্থে স্বাধীন হয়েছে, কাগজে–কলমে হয়েছে, বাস্তবে চাই।’
তবে এ নিয়ে জনমনে ‘কিছু ভয়ও আছে’ উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি বলেন, ‘বিচারপতিরা এখন ধরেন স্বাধীন। অনেকেই ধারণা করছে, ভয় পাচ্ছে— স্বেচ্ছাচারিতা যদি হয়, তাঁরা যদি প্রভাবিত হন, তাহলে কী হবে? সরকারের তো নিয়ন্ত্রণ নেই।’
সচিবালয় সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ আছে বলেও মন্তব্য করেন মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি বলেন, ‘সচিবালয় কি ভালোভাবে কাজ করতে পারবে, এটা মানুষের চিন্তা। আমি বিশ্বাস করি, সচিবালয় প্রতিষ্ঠার পর এটা সম্ভব হবে। এখানে দক্ষ লোক নিয়োগ করতে হবে।’
জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবী বলেন, ‘আশা করি, মানুষের জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটাবে নতুন সচিবালয় এবং স্বাধীন বিচারব্যবস্থা।’
এ সময় বিচার বিভাগকে স্বাধীন করার উদ্যোগ নেওয়ায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ জারি করা হয়। প্রতিষ্ঠিত হলে এই সচিবালয় অধস্তন আদালত ও প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের তত্ত্বাবধান এবং নিয়ন্ত্রণ–সংক্রান্ত সব প্রশাসনিক ও সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে সমিতির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মিলন, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হুমায়ুন কবির মঞ্জু, সহসম্পাদক আবদুল করিম, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ ফজলে এলাহী, শফিকুল ইসলাম, ফাতেমা আক্তার ও মহিউদ্দিন হানিফ উপস্থিত ছিলেন।