গ্রামটির এ মাথা থেকে ও মাথা পর্যন্ত ঘুমভাঙা শান্ত পরিবেশ। ‘পৃথিবীর সব ঘুঘু ডাকিতেছে হিজলের বনে’—জীবনানন্দ দাশের কবিতার পঙ্‌ক্তির মতো ওখানে হয়তো পৃথিবীর সব ঘুঘু ডাকছে না, তবে থেমে থেমে দু-একটি ঘুঘুর ডাক শোনা যাচ্ছে, ডাকছে আরও কিছু পাখি।

গ্রামটির পথের পাশে, খালের পাড়ে, বাড়ির সীমানায় ফুল-কুমারী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে হিজলের একেকটি গাছ। খুব বেশি নয়, তারপরও এই গ্রীষ্মে নিজেদের আলাদা পরিচিতি নিয়ে বিক্ষিপ্তভাবে অন্য সব গাছের ভিড়ে মিলেমিশে আছে এই হিজলেরা। গাছে গাছে বেণিতে ঝোলানো মালার মতো দুলছে হিজল ফুলের ঝুমকা লতা। গাছ থেকে টুপ টুপ করে ঝরে পড়ছে এসব ফুল। গাছতলায় ঝরা ফুল লালচে, গোলাপি একপশলা চাদর হয়ে আছে। হাওয়ায় সেই ফুলের মৃদু ঘ্রাণ ভাসছে।

গত শুক্রবার এমন দৃশ্যের দেখা মিলল মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার কাউয়াদীঘি হাওরপারের অন্তেহরি গ্রামে।

হিজলের গাছ। গত শুক্রবার মৌলভীবাজারের কাউয়াদীঘি হাওরপারের অন্তেহরি গ্রামে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ জল র

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবনে কোস্টগার্ডের অভিযানে দস্যুদের কবল থেকে ৪ জেলে উদ্ধার

সুন্দরবনে মুক্তিপণের দাবিতে বনদস্যু জাহাঙ্গীর বাহিনীর হাতে জিম্মি চার জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। আজ শুক্রবার ভোরে সুন্দরবনের শিবসা নদীসংলগ্ন আড়বাউনি খালে অভিযান চালিয়ে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। এ সময় দস্যুদের আস্তানা থেকে অস্ত্র ও গুলি জব্দ করা হয়।

উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন খুলনার কয়রা উপজেলার মফিজুল ইসলাম (৪২), হাবিবুর রহমান (৩৭), দাকোপ উপজেলার মো. হাবিবুর (৩৫) এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার শাহজাহান গাজী (৪০)। কোস্টগার্ড জানায়, তাঁদের ১০ দিন ধরে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য দফায় দফায় নির্যাতন চালিয়েছে দস্যুরা।

আজ শুক্রবার সকালে কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ওই স্থানে কয়েকজন জেলেকে জিম্মি করে রেখেছিল জাহাঙ্গীর বাহিনী। অভিযানের সময় ডাকাত দলটিকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়ে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে কোস্টগার্ড। পরে দস্যুরা নৌকা ও জিম্মিদের ফেলে বনের ভেতরে পালিয়ে যায়। নৌকাটিতে তল্লাশি চালিয়ে একটি একনলা বন্দুক, দুটি এয়ারগান ও তিনটি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। নৌকাটি থেকে চার জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুনদস্যুতায় ফিরছে আত্মসমর্পণকারীরা, ‘দুলাভাই বাহিনী’সহ ১৪ দল সক্রিয় ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কোস্টগার্ডের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ১৮ জন দস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ১৯টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২৩১টি গুলি।

সার্বিক বিষয়ে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লে. কমান্ডার আবরার হাসান বলেন, সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে নিয়মিত অপারেশন, হটস্পট এলাকায় বিশেষ টহল ও গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

আরও পড়ুনপাচারকারীসহ আরও কিছু কারণে হুমকির মুখে সুন্দরবনের বাঘ২৯ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ