গ্রামটির এ মাথা থেকে ও মাথা পর্যন্ত ঘুমভাঙা শান্ত পরিবেশ। ‘পৃথিবীর সব ঘুঘু ডাকিতেছে হিজলের বনে’—জীবনানন্দ দাশের কবিতার পঙ্‌ক্তির মতো ওখানে হয়তো পৃথিবীর সব ঘুঘু ডাকছে না, তবে থেমে থেমে দু-একটি ঘুঘুর ডাক শোনা যাচ্ছে, ডাকছে আরও কিছু পাখি।

গ্রামটির পথের পাশে, খালের পাড়ে, বাড়ির সীমানায় ফুল-কুমারী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে হিজলের একেকটি গাছ। খুব বেশি নয়, তারপরও এই গ্রীষ্মে নিজেদের আলাদা পরিচিতি নিয়ে বিক্ষিপ্তভাবে অন্য সব গাছের ভিড়ে মিলেমিশে আছে এই হিজলেরা। গাছে গাছে বেণিতে ঝোলানো মালার মতো দুলছে হিজল ফুলের ঝুমকা লতা। গাছ থেকে টুপ টুপ করে ঝরে পড়ছে এসব ফুল। গাছতলায় ঝরা ফুল লালচে, গোলাপি একপশলা চাদর হয়ে আছে। হাওয়ায় সেই ফুলের মৃদু ঘ্রাণ ভাসছে।

গত শুক্রবার এমন দৃশ্যের দেখা মিলল মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার কাউয়াদীঘি হাওরপারের অন্তেহরি গ্রামে।

হিজলের গাছ। গত শুক্রবার মৌলভীবাজারের কাউয়াদীঘি হাওরপারের অন্তেহরি গ্রামে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ জল র

এছাড়াও পড়ুন:

নগরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, সীতাকুণ্ডে তাপপ্রবাহ, নেই বৃষ্টির সম্ভাবনা

সারা দেশের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যার কারণে গরম অনুভূত হচ্ছে। তবে চট্টগ্রাম নগরে তাপমাত্রা এখনো মৃদু তাপপ্রবাহের মাত্রা ছোঁয়নি। যদিও গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, চট্টগ্রামে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলেও গরমের অনুভব ২ থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি মনে হচ্ছে। চট্টগ্রাম নগরে মৃদু তাপপ্রবাহ না থাকলেও রয়েছে পাশের উপজেলা সীতাকুণ্ডে।

চট্টগ্রাম নগরে গতকাল শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন গত শুক্রবারও একই তাপমাত্রা ছিল। এটি চলতি মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। অথচ আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে, চলতি মাসের দৈনিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হওয়ার কথা ৩২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ রোববার সকালে চট্টগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হবে বেলা ৩টায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চট্টগ্রামসহ সারা দেশে তাপপ্রবাহ ঊর্ধ্বমুখী। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার সারা দেশে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করেছে। ওই সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। শুক্রবার বেলা ২টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও কোথাও তীব্র তাপপ্রবাহও বয়ে যেতে পারে।

মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয় ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। ৩৮ ডিগ্রি থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত মাঝারি তাপপ্রবাহ বলা হয়। সে হিসাবে পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের রেকর্ডকৃত তাপমাত্রা এখনো মৃদু তাপপ্রবাহের নিচে রয়েছে। পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ফারজানা নাসরিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগরে এখনো মৃদু তাপপ্রবাহ দেখা দেয়নি, তবে গরম অনুভূত হচ্ছে। আজও এই গরম অব্যাহত থাকবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।’

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, রাঙামাটি, বান্দরবান, ফেনী, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গতকাল সীতাকুণ্ডে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া কক্সবাজারে ৩৬ দশমিক ৫, রাঙামাটিতে ৩৮ দশমিক ৫, বান্দরবানে ৩৭ দশমিক ৫ ও ফেনীতে ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ