তীব্র দাবদাহে শরীর সুস্থ রাখতে কি কি খাবেন
Published: 11th, May 2025 GMT
তীব্র দাবদাহে শরীরে প্রচুর ঘাম হচ্ছে আর ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে প্রচুর লবণ বের হয়ে যাচ্ছে। ফলে আমাদের শরীর সহজেই পানিশূন্য হয়ে পড়ছে। এই সময় এমন কিছু খাবার ডায়েটে রাখতে হবে যেগুলো আমাদের সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পানিশূন্যতা পূরণ করবে।
ডায়েট অ্যান্ড ওবেসিটি ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট ফারজানা রহমান কান্তা একটি পডকাস্টে বলেন, ‘‘অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীরে লবণের পরিমাণ কমে যায়। সোডিয়ামের পরিমাণ কমে গেলে অনেকের অরুচি দেখা দেয়। এই সময়ে বমি বমি ভাব হতে পারে বা বমি হতে পারে, ডায়রিয়া কিংবা আমাশয় দেখা দিতে পারে। এই সমস্যাগুলো যাতে মোকাবিলা করা যায় সেজন্য এই সময়ে ৬টি খাবার ডায়েটে অবশ্যই রাখবেন। যেমন—বিশুদ্ধ পানি, ডাব, লেবু- লেবুর শরবত, ফল- ফলের জুস, টকদই, শশা। টক আমও এই সময় শরীরের জন্য খুব ভালো।’’
‘‘এই সময় বাইরের খাবার অবশ্যই এড়িয়ে যেতে হবে। অনেকে বাইরে বের হয়ে খোলা জায়গা থেকে জুস বা শরবত কিনে খেয়ে ফেলেন, এটা আপনার জন্য বিপদের কারণ হতে পারে। শরবত খেতে হলে মৌসুমী ফলের শরবত বাসায় বানিয়ে খান। এ ছাড়া অতিরিক্ত গরমের কারণে শরীরও গরম হয়ে যাবে। শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে চাইলে ফ্যাট জাতীয় খাবার গ্রহণ যতটা সম্ভব কমিয়ে দিতে হবে।’’— যোগ করেন ফারজানা রহমান কান্তা।
আরো পড়ুন:
‘ভিটামিন ডি’ এর ঘাটতি হলে শরীরে যা যা ঘটতে পারে
‘ইউরিন ইনফেকশন’ হলে কেন সতর্ক হবেন?
সতর্কতা: ফ্যাট জাতীয় খাবার বেশি গ্রহণ করলে শরীর ভেতর থেকে গরম হবে। বাইরের গরমের সঙ্গে শরীর ভালোভাবে মানিয়ে নিতে পারবে না। ফলে ইমব্যালেন্স তৈরি হবে। শরীর ভেতর থেকে গরম হলে হিটস্টোকের সম্ভবনা অনেক বেড়ে যায়। সুতরাং আপনি এমন খাবার ডায়েটে রাখুন যা আপনার শরীর ঠান্ডা রাখবে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।
বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ