তীব্র দাবদাহে শরীরে প্রচুর ঘাম হচ্ছে আর ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে প্রচুর লবণ বের হয়ে যাচ্ছে। ফলে আমাদের শরীর সহজেই পানিশূন্য হয়ে পড়ছে। এই সময় এমন কিছু খাবার ডায়েটে রাখতে হবে যেগুলো আমাদের সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পানিশূন্যতা পূরণ করবে। 

ডায়েট অ্যান্ড ওবেসিটি ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট ফারজানা রহমান কান্তা একটি পডকাস্টে বলেন, ‘‘অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীরে লবণের পরিমাণ কমে যায়। সোডিয়ামের পরিমাণ কমে গেলে অনেকের অরুচি দেখা দেয়। এই সময়ে বমি বমি ভাব হতে পারে বা বমি হতে পারে, ডায়রিয়া কিংবা আমাশয় দেখা দিতে পারে। এই সমস্যাগুলো যাতে মোকাবিলা করা যায় সেজন্য এই সময়ে ৬টি খাবার ডায়েটে অবশ্যই রাখবেন। যেমন—বিশুদ্ধ পানি, ডাব, লেবু- লেবুর শরবত, ফল- ফলের জুস, টকদই, শশা।  টক আমও এই সময় শরীরের জন্য খুব ভালো।’’

‘‘এই সময় বাইরের খাবার অবশ্যই এড়িয়ে যেতে হবে। অনেকে বাইরে বের হয়ে খোলা জায়গা থেকে জুস বা শরবত কিনে খেয়ে ফেলেন, এটা আপনার জন্য বিপদের কারণ হতে পারে। শরবত খেতে হলে মৌসুমী ফলের শরবত বাসায় বানিয়ে খান। এ ছাড়া অতিরিক্ত গরমের কারণে শরীরও গরম হয়ে যাবে। শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে চাইলে ফ্যাট জাতীয় খাবার গ্রহণ যতটা সম্ভব কমিয়ে দিতে হবে।’’— যোগ করেন ফারজানা রহমান কান্তা।

আরো পড়ুন:

‘ভিটামিন ডি’ এর ঘাটতি হলে শরীরে যা যা ঘটতে পারে

‘ইউরিন ইনফেকশন’ হলে কেন সতর্ক হবেন?

সতর্কতা: ফ্যাট জাতীয় খাবার বেশি গ্রহণ করলে শরীর ভেতর থেকে গরম হবে। বাইরের গরমের সঙ্গে শরীর ভালোভাবে মানিয়ে নিতে পারবে না। ফলে ইমব্যালেন্স তৈরি হবে। শরীর ভেতর থেকে গরম হলে হিটস্টোকের সম্ভবনা অনেক বেড়ে যায়। সুতরাং আপনি এমন খাবার ডায়েটে রাখুন যা আপনার শরীর ঠান্ডা রাখবে। 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এই সময়

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই, জনজীবন হাঁসফাঁস

খরতাপে পুড়ছে বগুড়া অঞ্চলের জনপদ। আজ শনিবার বেলা তিনটায় ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর। এটি জেলায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। আগের দিন শুক্রবার জেলায় সর্বোচ্চ ৩৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। অসহনীয় তাপপ্রবাহে মানুষের দৈনন্দিন জীবন বিপর্যস্ত ও দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বগুড়া কার্যালয় সূত্র জানায়, গত বছর জেলায় ৩০ এপ্রিল ৪১ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আর বগুড়ার ইতিহাসে ১৯৮৯ সালে ২১ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৪৪ ডিগ্রি তাপমাত্রার রেকর্ড ছিল।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে বলা হয় মাঝারি তাপ্রপ্রবাহ। আর ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির ওপরের তাপমাত্রাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ ধরা হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, বগুড়ায় বর্তমানে মাঝারি তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বগুড়া কার্যালয়ের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ আলম জানান, প্রতি মৌসুমে এপ্রিল ও মে মাসে তীব্র তাপপ্রবাহ আসে।

এদিকে তাপপ্রবাহের কারণে প্রচণ্ড গরমে জনজীবনে হাঁসফাঁস উঠছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে প্রাণিকূল। তপ্ত দুপুরে গরম হাওয়ায় ঘরের বাইরে বের হওয়াই দায় হয়ে পড়েছে। দুপুরের পর শহরের রাস্তাঘাট ছিল ফাঁকা। গরম থেকে স্বস্তি পেতে মানুষ ভিড় করছেন বেল, শরবত, তরমুজ, পানীয়, জুস ও  আইসক্রিমের দোকানে। গরমে কষ্ট বেড়েছে শ্রমজীবী মানুষের।

শহরের কবি নজরুল ইসলাম সড়কের শরবত ব্যবসায়ী বাদশা মিয়া জানান, প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ আর গরমের কারণে ফুটপাতে শরবতের দোকানে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। প্রতি গ্লাস লেবুর শরবত ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁঠালতলা ২ ননম্বর রেলগেট বাজারের তরমুজের দোকানি শহীদ বলেন, গরমের কারণে তরমুজের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। প্রতি কেজি তরমুজ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ বলেন, তাপপ্রবাহের কারণে হিটস্ট্রোকে মৃত্যুঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বেশি করে পানি পান ছাড়াও বয়স্ক ও শিশুদের প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বগুড়ায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই, জনজীবন হাঁসফাঁস