আজকের এল ক্লাসিকো বার্সেলোনা ও রিয়ালের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং কেন
Published: 11th, May 2025 GMT
কোন প্রতিযোগিতার ম্যাচ, ট্রফির সমীকরণ আছে কি না—এসব প্রসঙ্গ ছাড়াই রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা সমর্থকদের কাছে এল ক্লাসিকো সব সময়ই বিশেষ। তবে মর্যাদার লড়াই ছাপিয়েও আজকের এল ক্লাসিকোর গুরুত্ব অনেক। ২০২৪-২৫ মৌসুমে এরই মধ্যে তিনবার মুখোমুখি হয়েছে রিয়াল-বার্সা। আজ হচ্ছে শেষবার।
বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া আটটায় শুরু হতে যাওয়া ম্যাচটি লা লিগার। এই ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠার অনেক কারণ।
কেন এবারের ক্লাসিকো বড়এবারের লা লিগা শেষের পথে। দুই দলেরই এটি ৩৫তম ম্যাচ। গত ৩০ বছরের মধ্যে এটিই সবচেয়ে শেষের দিকের এল ক্লাসিকো, যেটির আগে শিরোপা নিষ্পত্তি হয়নি। এ মুহূর্তে ৩৪ ম্যাচে ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে বার্সেলোনা। সমান ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট ৭৫। সর্বশেষ ১৯৯৫ সালে রিয়াল-বার্সা লিগের ৩৫তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল, যখন শিরোপার মীমাংসা হয়নি।
সেবার অবশ্য বার্সেলোনা শিরোপা লড়াইয়ে ছিলও না। এল ক্লাসিকো জেতার পরও ৩৮ ম্যাচ শেষে বার্সেলোনা ছিল ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে ৪ নম্বরে। রিয়াল লিগ জিতেছিল ৫৫ পয়েন্টে। দ্বিতীয় হয়েছিল দেপোর্তিভো লা করুনা। এবার রিয়াল-বার্সা ৩৫তম ম্যাচে মুখোমুখি তো হচ্ছেই, শিরোপার লড়াইটাও করছে নিজেদের মধ্যেই।
শিরোপার সমীকরণ মেলানোর মুহূর্তে দুই দল এর চেয়ে কাছাকাছি সময়ে মুখোমুখি হয়েছে ২০০৯ ও ২০১২ সালে। দুবারই লিগের ৩৪তম ম্যাচে। প্রথমটিতে রিয়ালের মাঠে বার্সা জিতেছিল ৬-২ গোলে, পরেরটিতে বার্সার মাঠে রিয়াল জিতেছিল ২-১ গোলে।
উত্থান-পতনের লিগঅক্টোবরে প্রথম লেগের খেলায় মাদ্রিদকে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়ে ৬ পয়েন্টে এগিয়ে গিয়েছিল বার্সেলোনা। কিন্তু ডিসেম্বরে একের পর এক ম্যাচে পয়েন্ট খুইয়ে (৭ ম্যাচে ১ জয়) বার্সেলোনা আতলেতিকো মাদ্রিদের কাছে জায়গা হারায়।
এরপর জানুয়ারিতে বার্সার চেয়ে ৭ পয়েন্টে এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে তারা খেই হারিয়ে ফেললে মার্চের দিকে দুই দলের পয়েন্ট চলে আসে কাছাকাছি। তখন থেকেই লা লিগায় দুই ঘোড়ার লড়াইয়ে পরিণত।
এ মুহূর্তে লা লিগায় টানা ১৫ ম্যাচ অপরাজিত বার্সেলোনা (১৩ জয়, ২ ড্র)। এ ছাড়া একই সময়ে রিয়ালকে হারিয়েছে স্প্যানিশ সুপারকাপ (৫-২) এবং কোপা দেল রেতে (৩-২)।
আরও পড়ুনএল ক্লাসিকো: টানা তিন হারের পরও পরিসংখ্যান কিন্তু রিয়ালের পক্ষে১০ মে ২০২৫বার্সেলোনার কী পাওয়ার আছেহান্সি ফ্লিকের দল স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতেছে, কোপা দেল রে জিতেছে। চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলেছে সেমিফাইনাল। মৌসুমে এখন পর্যন্ত তিনটি এল ক্লাসিকোতেই জয়ও বড় সাফল্য। এখন শেষটি জিতলে চার এল ক্লাসিকোর সঙ্গে লিগ ট্রফি আসবে হাতের নাগালে।
রিয়ালের কী পাওয়ার আছেএখন পর্যন্ত রিয়াল এ মৌসুমে কিছুই জেতেনি। এমনকি চ্যাম্পিয়নস লিগের ১৫ বারের শিরোপাজয়ীরা এবার এই প্রতিযোগিতায় আটকে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। এখন পুরো মৌসুমে প্রাপ্তি হতে পারে শুধু লিগটাই। নইলে হাত শূন্য থাকবে। যা আবার কোচ কার্লো আনচেলত্তি শেষ মৌসুম হতে চলেছে।
আজও এভাবে বল দখলের চেষ্টায় থাকেবে বার্সা–রিয়াল।.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র এল ক ল স ক
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় ত্রাণ সরবরাহ স্থগিত করেছে ইসরায়েল
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ত্রাণ সরবরাহ আবারও স্থগিত করেছে ইসরায়েল। এর ফলে ত্রাণবাহী কোনো ট্রাক গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না। বিতরণ করা ত্রাণসামগ্রী হামাস সদস্যদের হাতে চলে যাচ্ছে, এমন অভিযোগে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে ইসরায়েলের গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ত্রাণসামগ্রী যাতে হামাসের হাতে না যায়, সে জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনী একটি পরিকল্পনা করবে। সেটি না হওয়া পর্যন্ত গাজায় কোনো ত্রাণ ঢুকতে দেবে না ইসরায়েল।
এর আগেও দীর্ঘদিন ধরে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ রেখেছিল ইসরায়েল। চার সপ্তাহ ধরে সেখানে ত্রাণ বিতরণ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল পরিচালিত বিতর্কিত সংস্থা গাজা ‘হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ (জিএইচএফ)। সংস্থাটির ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে ত্রাণ আনতে যাওয়ার পথে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৪৯ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজা সরকারের গণমাধ্যম দপ্তর গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রগুলোকে ‘মৃত্যুফাঁদ’ বানিয়ে চালানো হামলায় এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৬৬ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন অনাহারে থাকা ৩৯ ফিলিস্তিনি।
মিডল ইস্ট আইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী নেতা ও জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী বেন গভির গাজায় ত্রাণ বিতরণ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এর আগে ইসরায়েলের সরকার দাবি করে, গাজায় সরবরাহ করা পণ্য ও খাদ্যের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে হামাস।
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, গাজার প্রভাবশালী কিছু পরিবারের প্রতিনিধিত্বকারী একটি কমিটি গতকাল এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা জানিয়েছে, এ ধরনের দাবি ভিত্তিহীন। এটি গাজায় প্রবেশ করা মানবিক সহায়তাকে বাধাগ্রস্ত করার একটি অজুহাত মাত্র।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেছেন, গাজা এখন গণহত্যার ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। এমন অবস্থায় ইসরায়েলের সঙ্গে বিদ্যমান সহযোগিতা চুক্তি অবিলম্বে স্থগিত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।