কোন প্রতিযোগিতার ম্যাচ, ট্রফির সমীকরণ আছে কি না—এসব প্রসঙ্গ ছাড়াই রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা সমর্থকদের কাছে এল ক্লাসিকো সব সময়ই বিশেষ। তবে মর্যাদার লড়াই ছাপিয়েও আজকের এল ক্লাসিকোর গুরুত্ব অনেক। ২০২৪-২৫ মৌসুমে এরই মধ্যে তিনবার মুখোমুখি হয়েছে রিয়াল-বার্সা। আজ হচ্ছে শেষবার।

বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া আটটায় শুরু হতে যাওয়া ম্যাচটি লা লিগার। এই ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠার অনেক কারণ।

কেন এবারের ক্লাসিকো বড়

এবারের লা লিগা শেষের পথে। দুই দলেরই এটি ৩৫তম ম্যাচ। গত ৩০ বছরের মধ্যে এটিই সবচেয়ে শেষের দিকের এল ক্লাসিকো, যেটির আগে শিরোপা নিষ্পত্তি হয়নি। এ মুহূর্তে ৩৪ ম্যাচে ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে বার্সেলোনা। সমান ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট ৭৫। সর্বশেষ ১৯৯৫ সালে রিয়াল-বার্সা লিগের ৩৫তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল, যখন শিরোপার মীমাংসা হয়নি।

সেবার অবশ্য বার্সেলোনা শিরোপা লড়াইয়ে ছিলও না। এল ক্লাসিকো জেতার পরও ৩৮ ম্যাচ শেষে বার্সেলোনা ছিল ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে ৪ নম্বরে। রিয়াল লিগ জিতেছিল ৫৫ পয়েন্টে। দ্বিতীয় হয়েছিল দেপোর্তিভো লা করুনা। এবার রিয়াল-বার্সা ৩৫তম ম্যাচে মুখোমুখি তো হচ্ছেই, শিরোপার লড়াইটাও করছে নিজেদের মধ্যেই।

শিরোপার সমীকরণ মেলানোর মুহূর্তে দুই দল এর চেয়ে কাছাকাছি সময়ে মুখোমুখি হয়েছে ২০০৯ ও ২০১২ সালে। দুবারই লিগের ৩৪তম ম্যাচে। প্রথমটিতে রিয়ালের মাঠে বার্সা জিতেছিল ৬-২ গোলে, পরেরটিতে বার্সার মাঠে রিয়াল জিতেছিল ২-১ গোলে।

উত্থান-পতনের লিগ

অক্টোবরে প্রথম লেগের খেলায় মাদ্রিদকে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়ে ৬ পয়েন্টে এগিয়ে গিয়েছিল বার্সেলোনা। কিন্তু ডিসেম্বরে একের পর এক ম্যাচে পয়েন্ট খুইয়ে (৭ ম্যাচে ১ জয়) বার্সেলোনা আতলেতিকো মাদ্রিদের কাছে জায়গা হারায়।

এরপর জানুয়ারিতে বার্সার চেয়ে ৭ পয়েন্টে এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে তারা খেই হারিয়ে ফেললে মার্চের দিকে দুই দলের পয়েন্ট চলে আসে কাছাকাছি। তখন থেকেই লা লিগায় দুই ঘোড়ার লড়াইয়ে পরিণত।

এ মুহূর্তে লা লিগায় টানা ১৫ ম্যাচ অপরাজিত বার্সেলোনা (১৩ জয়, ২ ড্র)। এ ছাড়া একই সময়ে রিয়ালকে হারিয়েছে স্প্যানিশ সুপারকাপ (৫-২) এবং কোপা দেল রেতে (৩-২)।

আরও পড়ুনএল ক্লাসিকো: টানা তিন হারের পরও পরিসংখ্যান কিন্তু রিয়ালের পক্ষে১০ মে ২০২৫বার্সেলোনার কী পাওয়ার আছে

হান্সি ফ্লিকের দল স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতেছে, কোপা দেল রে জিতেছে। চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলেছে সেমিফাইনাল। মৌসুমে এখন পর্যন্ত তিনটি এল ক্লাসিকোতেই জয়ও বড় সাফল্য। এখন শেষটি জিতলে চার এল ক্লাসিকোর সঙ্গে লিগ ট্রফি আসবে হাতের নাগালে।

রিয়ালের কী পাওয়ার আছে

এখন পর্যন্ত রিয়াল এ মৌসুমে কিছুই জেতেনি। এমনকি চ্যাম্পিয়নস লিগের ১৫ বারের শিরোপাজয়ীরা এবার এই প্রতিযোগিতায় আটকে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। এখন পুরো মৌসুমে প্রাপ্তি হতে পারে শুধু লিগটাই। নইলে হাত শূন্য থাকবে। যা আবার কোচ কার্লো আনচেলত্তি শেষ মৌসুম হতে চলেছে।

আজও এভাবে বল দখলের চেষ্টায় থাকেবে বার্সা–রিয়াল।.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র এল ক ল স ক

এছাড়াও পড়ুন:

হতে চেয়েছিলেন সাংবাদিক, ‘দেবদাস’ বদলে দিল জীবন

তিনি হতে চেয়েছিলেন সাংবাদিক। সেই পথেই পা রেখেছিলেন। কিন্তু ২০০২ সালে এক সিনেমা বদলে দিয়েছিল তাঁর জীবনের পথচলা। সঞ্জয়লীলা বানসালির প্রেমকাহিনি ‘দেবদাস’-এ শাহরুখ খান, মাধুরী দীক্ষিত ও ঐশ্বরিয়া রাইয়ের চোখধাঁধানো উপস্থিতি, অভিনয় আর পরিচালকের সৃজনশীলতা এক অনবদ্য ছাপ ফেলেছিল জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের মনে। সে সময় তিনি এক স্বপ্ন দেখেছিলেন, একদিন হয়তো বলিউডের স্বপ্নময় দুনিয়ায় নিজেও নাম লেখাবেন। আজ ১১ আগস্ট, ৩৯ বছর বয়সে পৌঁছে জ্যাকুলিনের সেই স্বপ্ন অর্ধেক বাস্তবতা, অর্ধেক এখনো অধরা।

বলিউডে পথচলা শুরু ২০০৯ সালে, ‘আলাদিন’ ছবিতে ছিল অন্য রকম উপস্থিতি। পরে ‘হাউসফুল’ ফ্র্যাঞ্চাইজি, ‘মার্ডার ২ ’, ‘কিক’, ‘জুড়ুয়া ২ ’সহ ৪০টিরও বেশি ছবিতে কাজ করেছেন। ডেভিড ধাওয়ান, রোহিত শেঠি, মোহিত সুরি, সাজিদ খানের মতো পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন। তবে সঞ্জয় লীলা বানসালির সঙ্গে কাজ করার স্বপ্ন এখনো অধরা রয়ে গেছে। নিজেই জানিয়েছেন সেই অতৃপ্তির কথা।

এক সাক্ষাৎকারে জ্যাকুলিন জানিয়েছেন, ‘আমি দুচোখ ভরে সঞ্জয় লীলা বানসালির কাজ দেখেছিলাম, আর মনে মনে বলেছিলাম, এটাও কি সম্ভব! তাঁর ছবির দুনিয়া ছিল স্বপ্নের মতো সুন্দর। সত্যি বলতে, আমি সব সময় তাঁর সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছি। “দেবদাস” আমার সবচেয়ে বড় প্রেরণা ছিল।’

আরও পড়ুন২০০ কোটি রুপি প্রতারণা মামলায় বিপাকে জ্যাকুলিন০৪ জুলাই ২০২৫জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ