ঝিনাইদহের মহেশপুরের পল্লাটিপাড়া গ্রামে পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইব্রাহিম হোসেন নামের এক ব্যক্তি আহত হয়েছে। তার পায়ে দুটি গুলি লাগে বলে জানা যায়। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।  

জানা যায়, মহেশপুরের সীমান্তবর্তী বাঘাডাঙ্গা গ্রামে চোরাচালান নিয়ে তরিকুল ইসলাম এবং মতিয়ার রহমান ও রফি’র মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এই বিরোধে চলতি বছরের ২৫ মার্চ ভোরে তরিকুল ইসলাম প্রতিপক্ষ মতিয়ার রহমানের পায়ে গুলি করে। 
এর জের ধরে রোববার সন্ধ্যার পর তরিকুল ইসলামের ভাই ইব্রাহিম হোসেনকে পল্লাটিপাড়া গ্রামে রাস্তায় একা পেয়ে তার ওপর গুলি চালায় মতিয়ার রহমানের ভাই রফিসহ অজ্ঞাতরা। পালানোর সময় দুটি গুলি ইব্রাহিম হোসেনের পায়ে লাগে। ঘটনাস্থলে একটি মোটরসাইকেল পাওয়া যায় যা রফির ব্যবহৃত।

মহেশপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, গুলির ঘটনা ঘটেছে। একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। 

কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুন্না বিশ্বাস বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।  

স্বর্ণ চোরাচালান নিয়ে দ্বন্দের জেরে ২০২৪ সালের ১৭ জানুয়ারি নিজ বাড়ির সামনে দুই ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ রয়েছে তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এই মামলায় ১ নম্বর আসামি ছিলেন তিনি। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আহত

এছাড়াও পড়ুন:

আভাস

জাহিদের প্রশ্ন:

‘ভালো ছিলে গত মাস?’

বললুম, নটবাবুর বিজয়মন্ত্রে 

মন্দ চাষবাস

থেমে গেছে জলের উৎস,

মন্বন্তরের আভাস

ভূমিকা: জাহিদ হায়দারদাউদ হায়দার—আমার খোকন ভাই চিন্তায় ছিলেন গোছানো, আড্ডায় অনেক রকম কথা বলাতে সুখী, আনন্দ-সংগ্রাহক এবং কারও কথা ভালো না লাগলে সরাসরি মুখের ওপর জবাব দিতে উৎসাহী। ফলে তাঁর বন্ধুসংখ্যা হয়ে যাচ্ছিল আঙুলে গোনা। বান্ধবীর সংখ্যা ও সঙ্গ ছিল ঈর্ষা করার মতো। শ্রমজীবী ও সচ্ছল মানুষেরা ছিলেন বন্ধু। মধ্যবিত্ত থেকে দূরে থাকতেন। ‘কবিতা ছাড়া জীবন নয়’, ‘কবিতার জন্য সবকিছু ত্যাগ করতে হবে’, তাঁর বলা দ্বিতীয় বাক্যটি জীবনের যাপন দিয়ে রক্ষা করে গেছেন।  ‘আভাস’ নামে লেখা এই কবিতা তিনি লিখেছিলেন ১১ ডিসেম্বর ২০২৪–এ। লিখেই বার্লিন থেকে আমাকে পাঠালেন। তখনো জানতাম না, এটি হবে তাঁর শেষ কবিতা। ১২ ডিসেম্বর সকালে খোকন ভাইয়ের জার্মানির বন্ধু মাইন চৌধুরী আর সুমনা রহমান ফোন করে তাঁকে যখন পাচ্ছিলেন না, তাঁরা পুলিশকে ফোন দিলেন। পুলিশ এসে তাঁর অ্যাপার্টমেন্টের দরজা ভেঙেও পেল না। তখন তারা খানিকটা রসিকতার সুরেই বলেছিল, ‘বুড়ো মানুষ, বান্ধবী নিয়ে হয়তো কোথাও গেছে। আপনাদের না জানিয়ে। দুই দিন অপেক্ষা করুন। ফিরে আসবে।’ কিন্তু না। তিনি আর ফিরে আসেননি। কবিতা লিখলেই আমাকে পাঠাতেন খোকন ভাই। এ কবিতাটিও পাঠিয়েছিলেন। তবে ছয় পঙ্​ক্তির এই কবিতায় যে তাঁর মৃত্যুর আভাস লেখা থাকবে, তা ছিল কল্পনারও বাইরে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ