ঝিনাইদহে রাস্তায় একা পেয়ে প্রতিপক্ষকে গুলি
Published: 12th, May 2025 GMT
ঝিনাইদহের মহেশপুরের পল্লাটিপাড়া গ্রামে পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইব্রাহিম হোসেন নামের এক ব্যক্তি আহত হয়েছে। তার পায়ে দুটি গুলি লাগে বলে জানা যায়। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মহেশপুরের সীমান্তবর্তী বাঘাডাঙ্গা গ্রামে চোরাচালান নিয়ে তরিকুল ইসলাম এবং মতিয়ার রহমান ও রফি’র মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এই বিরোধে চলতি বছরের ২৫ মার্চ ভোরে তরিকুল ইসলাম প্রতিপক্ষ মতিয়ার রহমানের পায়ে গুলি করে।
এর জের ধরে রোববার সন্ধ্যার পর তরিকুল ইসলামের ভাই ইব্রাহিম হোসেনকে পল্লাটিপাড়া গ্রামে রাস্তায় একা পেয়ে তার ওপর গুলি চালায় মতিয়ার রহমানের ভাই রফিসহ অজ্ঞাতরা। পালানোর সময় দুটি গুলি ইব্রাহিম হোসেনের পায়ে লাগে। ঘটনাস্থলে একটি মোটরসাইকেল পাওয়া যায় যা রফির ব্যবহৃত।
মহেশপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, গুলির ঘটনা ঘটেছে। একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।
কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুন্না বিশ্বাস বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
স্বর্ণ চোরাচালান নিয়ে দ্বন্দের জেরে ২০২৪ সালের ১৭ জানুয়ারি নিজ বাড়ির সামনে দুই ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ রয়েছে তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এই মামলায় ১ নম্বর আসামি ছিলেন তিনি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আহত
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার
যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে।
এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”
ঢাকা/রিটন/এস