জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে আওয়ামী লীগ সরকার ও সংগঠনের দমন-পীড়ন, নির্বিচার গুলি, হত্যাকাণ্ড কারও অজানা নয়। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর ক্ষমতাচ্যুত নেতৃবৃন্দের শাস্তি নিশ্চিত করাসহ দলটিকে নিষিদ্ধ করবার দাবিও অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সব পক্ষ থেকেই ওঠে। তখন থেকেই প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টাসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন বলে আসছেন, দোষীদের শাস্তি দেবার পক্ষে তারা; দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করবার পক্ষে সরাসরি সায় নেই। ‘আওয়ামী লীগ কি নিষিদ্ধ হবে বা রাজনীতি করবে কিনা, নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা’– এই প্রশ্নের উত্তরে বিবিসির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ড.
তারপর প্রায় আড়াই মাস কেটে গেছে। সরকার গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর ধারাবাহিক আলোচনা চলছে; নানা বিষয়ে মতৈক্য ও অনৈক্যের সংবাদ আমরা পাচ্ছি। অপেক্ষা করছি, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের সমঝোতায় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষিত হবে। এরই মধ্যে, আইনি প্রক্রিয়া শেষ হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে সরকার। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদন দিয়েছে। এই ট্রাইব্যুনাল এখন অপরাধী রাজনৈতিক দল, এর অঙ্গসংগঠক বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবেন।
এদিকে, জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে ‘ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন’ (সত্য ও সমঝোতা) গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, ‘অনন্তকাল হানাহানি করে জাতির মুক্তি আসবে না। জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো ঘৃণ্য কাজ যারা করেছে, সংখ্যায় তারা খুব বেশি না। তাদের উপযুক্ত ও যথেষ্ট শাস্তির ব্যবস্থা অবশ্যই করতে হবে।’ (সমকাল, ১১ মে, ২৫)।
গণঅভ্যুত্থানের ৯ মাস পেরুনোর পর সরকার রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করছে; অন্যদিকে ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশনও তৈরি হচ্ছে। এই দুই কার্যক্রমের পারস্পরিক অবস্থান কিছু প্রশ্ন তৈরি করে বৈকি।
২.
৮ মে থেকে ১০ মে– আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করবার দাবিতে শুরুতে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে ও পরে শাহবাগে আন্দোলনের ডাক দেন গণঅভ্যুত্থানের ছাত্রনেতা ও এনসিপির আঞ্চলিক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। লক্ষণীয়, এনসিপি সাংগঠনিকভাবে এই আন্দোলন বা সমাবেশ আহ্বান করেনি। বিএনপি বা জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের কোনো নেতাকে এই আন্দোলনে দেখা যায়নি। গুরুত্বপূর্ণ বাম সংগঠনগুলোও অনুপস্থিত ছিল। অবশ্য বেশ কয়েকটি ইসলামী দলের তরুণ নেতাকর্মী সমাবেশে ছিলেন; তাদের কিছু কর্মকাণ্ড সামাজিক মাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে সমালোচিতও হয়েছে। বিশেষত ‘গোলাম আযমের বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’ স্লোগানে গণঅভ্যুত্থানজয়ী ছাত্রছাত্রীদের কেউ একমত হবেন বলে মনে হয় না।
শুধু তাই নয়, সমাবেশে গাওয়া জাতীয় সংগীত এক দলের আপত্তির মুখে মাঝপথে থামিয়ে দিতে বাধ্য হয় তরুণ-তরুণীরা। এসব ঘটনার ভিডিওচিত্র দেখে অনেকের মনে অস্বস্তি ও শঙ্কা জাগে। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে যাদের কণ্ঠে ছিল ‘ধনধান্য পুষ্পভরা আমাদের এই বসুন্ধরা’ কিংবা যাদের সাহসে কেঁপে উঠেছিল স্বৈরাচারের সিংহাসন; সেই তরুণ-তরুণীরা জাতীয় সংগীত গাইতে পারছে না!
যে তরুণ নেতৃবৃন্দ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গণঅভ্যুত্থান করেছে, তাদের অধিকাংশের অনুপস্থিতি নানা প্রশ্নের অবতারণা করে। কেনইবা সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশ যাবার পরপরই নারায়ণগঞ্জের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেপ্তার হবেন? শামীম ওসমানের মতো নেতা সদলবলে নিরাপদে পার পেয়ে যান, আইভীর মতো নেতা গ্রেপ্তার হন! এসবের সঙ্গে নিশ্চয়ই শাহবাগের সাম্প্রতিক আন্দোলনের সম্পর্ক নেই; কিন্তু আকস্মিকতায় মিল রয়েছে।
৩.
কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার রিকনসিলিয়েশন বা সমঝোতা প্রসঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমরা দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশনের আদলে একটি ট্রুথ অ্যান্ড জাস্টিস কমিশন করতে পারি! গত দেড় দশকে যেসব অপরাধ হয়েছে, তার ন্যায়বিচার হতে হবে। তারা যেন মনে বল পায়, ন্যায়বিচারে আস্থা রাখে, সেই পরিবেশ তৈরি করা দরকার। তাদের মব ট্রায়ালের কাছে ছেড়ে দেওয়া ভুল হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য হচ্ছে, বিগত শাসনামলে অপরাধের জন্য আওয়ামী লীগের কোনো অনুশোচনা নেই।’ (সমকাল, ৫ জানুয়ারি ২০২৫)।
অনুশোচনাহীন আওয়ামী লীগের প্রতি রিকনসিলিয়েশনের মনোভাব প্রবল বৈরী বিএনপি নেতৃবৃন্দের মধ্যেও স্পষ্ট। বিএনপি ২০২৩ সালের জুলাইতে তাদের দেওয়া ৩১ দফায় অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে ‘ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন কমিশন’ গঠন করবার কথা বলেছে। বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘মূল কথা হচ্ছে, রিকনসিলিয়েশনের মাধ্যমে রাষ্ট্রে স্থিতিশীলতা আনা। কত লাখ, কত হাজার মানুষের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায়? তা করতে গেলে রাষ্ট্রে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হতে পারে। ভালো হচ্ছে, রিকনসিলিয়েশনের মাধ্যমে সমাধানের দিকে যাওয়া। বিএনপি সেদিকে গেছে, যাতে রাষ্ট্রে শান্তি, স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা যায়’ (সমকাল, ৩ মে ২০২৫)।
রাষ্ট্রে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে হলে মুক্ত ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। সুশাসনের জন্য অপরাধের শাস্তি যেমন অনিবার্য; তেমনি হানাহানি ও হিংসা জিইয়ে রাখা চলে না। গত দেড় দশকে ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করলেই যেভাবে ‘বিএনপি-জামায়াত’ ট্যাগিং দেওয়া হতো, তেমনি বর্তমানে ‘মব ভায়োলেন্স’ নিয়ে সমালোচনা করলেই তাঁকে ফ্যাসিবাদের দোসর ট্যাগ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এসবই অগণতান্ত্রিক গোষ্ঠীবাজি আচরণ। রিকনসিলিয়েশন বা পুনর্মিলনের পথে বাধা পারস্পরিক অবিশ্বাস, জিঘাংসা। গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরিতে জিঘাংসা বাদ দিয়ে সকলের প্রতি ছাড় দেওয়ার মনোভাব যেমন থাকতে হবে, তেমনি অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করবার বিষয়ে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া চলবে না। আবার অপরাধীদের নিজেদের কৃতকর্ম সম্পর্কে অনুশোচনা ও ক্ষমা প্রার্থনার মানসিকতাও থাকতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধোত্তর ৫৪ বছরের রাজনীতিতে আমরা কোনো রাজনৈতিক দলকে কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা বা ক্ষমা প্রার্থনার ভূমিকায় দেখিনি। একাত্তরের ভূমিকার জন্য জামায়াত যেমন ক্ষমা চায়নি, তেমনি চব্বিশে নিজেদের কর্মকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগ ক্ষমা চায়নি বা অনুশোচনা প্রকাশ করেনি। বরং আওয়ামী লীগের দেশত্যাগী নেতৃবৃন্দের ফাঁস হওয়া কথোপকথনে পুরোনো দম্ভেরই প্রকাশ দেখেছি। এ অবস্থায় গণঅভ্যুত্থান-উত্তর বাংলাদেশে নতুন গণতান্ত্রিক যাত্রায় সব মত ও পথের অংশগ্রহণে অবাধ নির্বাচন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথ বন্ধুরই মনে হচ্ছে।
সমাজের বিপুলসংখ্যক মানুষকে বাদ রেখে রিকনসিলিয়েশনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবার নয়। আবার দম্ভ, পারস্পরিক অবিশ্বাস ও সংঘাত দূরত্বই কেবল তৈরি করে; স্থিতি ও শান্তি আনতে পারে না। সমঝোতা বা রিকনসিলিয়েশন কিংবা মিটমাট যা-ই বলি না কেন, তার জন্য সকলকে ছাড় দিয়ে দেশ ও দেশের মানুষের স্থিতি-শান্তি ও স্বস্তিকে সবার আগে স্থান দিতে হবে।
মাহবুব আজীজ: উপসম্পাদক, সমকাল; সাহিত্যিক
mahbubaziz01@gmail.com
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সমঝ ত চ ক ত গণঅভ য ত থ ন ন ষ দ ধ কর ন উপদ ষ ট সরক র র অপর ধ র এই দ শ র জন য ব এনপ সমক ল আওয় ম সমঝ ত করব র
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণ: এবি পার্টির ৩৬ দিনের কর্মসূচি
অনুপ্রেরণা, আত্মপর্যালোচনা ও প্রত্যয়দীপ্ত অঙ্গীকারে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ৩৬ দিন উদযাপনের ঘোষণা দিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।
শুক্রবার (২৭ জুন) রাজধানীর বিজয় নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা করেন দলের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।
তিনি বলেন, “রাষ্ট্র ক্ষমতা পরিবর্তনের মাধ্যম হচ্ছে নির্বাচন। কিন্তু ক্ষমতাসীনরা সবসময় নির্বাচন ছাড়া জোর করে তাদের ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চেয়েছে। পাকিস্তানি সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ৭০ এর নির্বাচন আদায় করা সম্ভব হয়েছিল কিন্তু তারা গণহত্যা চালিয়ে সে নির্বাচনের ফল বাস্তবায়ন করতে দেয়নি।ফলে অনিবার্য হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ। যা দেশের মানচিত্র, পতাকা ও ভূখণ্ড নতুন করে নির্ধারণ করেছিল।”
আরো পড়ুন:
ছাত্রশিবির ছাত্রলীগের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে: রাকিব
নাটোরে পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্রদল নেতা, সচিবকে শোকজ
“৯০ এর গণআন্দোলনের পর ৯১-এ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছিল যা সংবিধানে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করতে হয়েছে। নব্বইয়ে তিন জোটের রূপরেখা ঘোষণা করে রাষ্ট্র পরিচালনার অঙ্গীকার করা হয়েছিল।”
শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসন তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলসহ সব কিছু ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতন হয়নি মন্তব্য করে মঞ্জু বলেন, “হাজার হাজার মানুষের রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে সিংহাসন ছেড়ে পালাতে হয়েছে। সুতরাং শুধু একটা নির্বাচন করে ক্ষমতায় নতুন সরকার বসলেই গণঅভ্যুত্থানের অঙ্গীকার পূর্ণ হবে না, বরং একাত্তর, নব্বই ও চব্বিশের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সকলে ঐকমত্যে পৌঁছার মাধ্যমে একটা সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে নতুন মাত্রায় উপনীত করতে হবে।”
তিনি সবাইকে সেই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ঐকমত্যে পৌঁছার আহ্বান জানান। কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
সময়: ১ জুলাই ২০২৫, শনিবার, সকাল ১১ টা। স্থান: জাতীয় প্রেসক্লাব।
‘কোটা না মেধা: এক রক্তস্নাত অধিকারের সংগ্রাম' শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনী। ২ জুলাই ২০২৫ হতে ১৩ জুলাই। স্থান: বিজয়-৭১ চত্ত্বর।
স্মৃতিতে স্মরণে-১৪ জুলাই: প্রতিকী মিছিল
"আমি কে তুমি কে রাজাকার রাজাকার, কে বলেছে কে বলেছে স্বৈরাচার স্বৈরাচার; শেখ হাসিনা পালায় না, গুষ্টিশুদ্ধ পালায়’।
১৪ জুলাই ২০২৫, সোমবার, বিকাল ৪ টা। স্থান: বিজয় ৭১ চত্ত্বর।
ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ বাংলাদেশ মিশনে স্মারকলিপি।
১৫ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার।
রংপুরে শহীদ আবু সাঈদের কবরে দোয়া ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ এবং ফেনীতে ছাত্রলীগ ও পুলিশের যৌথ হামলার নৃশংসতা স্মরণে কালো পতাকা মিছিল।
১৬ জুলাই ২০২৫, বুধবার
দুস্থদের খাবার বিতরণ-রংপুর
কালো পতাকা মিছিল-ফেনী ও ঢাকা
‘ইন্টারনেট বন্ধ করে আন্দোলন ও গণহত্যা ব্ল্যাকআউট' স্মরণে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সংহতি জ্ঞাপন। ঢাকার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ক্যম্পাস গুলোতে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ।
১৭ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার।
কফিনবাহী প্রতীকী রোড মার্চ ও পথসভা: যাত্রাবাড়ী-ঢাবি-রামপুরা-মোহাম্মদপুর-উত্তরা
১৮ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার।
হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে নির্বিচারে মানুষ হত্যার বীভৎসতা স্মরণে মৌন মিছিল।
১৯ জুলাই ২০২৫, শনিবার।
প্রবাসীদের রেমিট্যান্স শাট ডাউন কর্মসূচি স্মরণে আলোচনা সভা।
লন্ডন, দুবাই, মালোয়েশিয়া শাখা সংগঠন এটা পালন করবে।
২০ জুলাই ২০২৫, রবিবার।
গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী আলেম-ওলামাদের প্রতীকী সম্মাননা প্রদান ও সংবর্ধনা।
২১ জুলাই ২০২৫, সোমবার। স্থান: বিজয় ৭১ চত্বর।
চট্টগ্রামে শহীদদের স্মরণে সমাবেশ ও মিছিল।
২২ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার। স্থান: চট্টগ্রাম
দায়িত্ব: চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা কমিটি।
গণহত্যকারী দল আওয়ামী লীগকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবিতে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা
ও মিশনে চিঠি প্রেরণ।
২৩ জুলাই ২০২৫, বুধবার-
গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী নারীদের প্রতীকী সম্মাননা প্রদান ও সম্বর্ধনা।
২৪ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, সকাল ১১টা। স্থান: জাতীয় প্রেস ক্লাব।
গণঅভ্যুত্থানে শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্তি ও অনুপ্রেরণা স্মরণে শ্রমিক সমাবেশ
২৫ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার। স্থান: গাজীপুর।
রায়েরবাজার গণকবরে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও দোয়া ২৬ জুলাই ২০২৫, শনিবার, সকাল ১১টা। স্থান: রায়েরবাজার।
গণঅভ্যুত্থানে নিবেদিত আইনজীবীদের সাথে মতবিনিময় ও সংবর্ধনা ২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার
গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সেবা দানকারী চিকিৎসকদের সংবর্ধনা
২৮ জুলাই ২০২৫, সোমবার।
আহত-পঙ্গুদের সাথে মতবিনিময় ও সংবর্ধনা।
৩০ জুলাই ২০২৫, বুধবার।
গণঅভ্যুত্থানে নিবেদিত শিল্পী, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম কর্মীদের সম্মানে চা-চক্র ৩১ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার।
কারারুদ্ধ নেতৃবৃন্দের সংবর্ধনা।
১ আগস্ট ২০২৫, শুক্রবার।
গণঅভ্যুত্থানে অবদান রাখা সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়
২ আগস্ট ২০২৫, শনিবার।
শহীদ মিনারে কর্মসূচি ঘোষণা দিবসকে স্মরণ করে প্রেস ব্রিফিং ও পদযাত্রা
৩ আগস্ট ২০২৫, রবিবার।
গণপ্রতিরোধ স্মরণে জাতীয় পতাকা মিছিল
৪ আগস্ট ২০২৫, সোমবার, বিকাল ৪ টা, বিজয়-৭১ চত্বর।
গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে সংহতি সমাবেশ, ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী ও শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় জেয়াফত।
৫ আগস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার, সকাল ১১ টা। স্থান: বিজয়-৭১ চত্ত্বর।
উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, আনোয়ার সাদাত টুটুল, ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলি, এবিএম খালিদ হাসান ও ছাত্রপক্ষের আহবায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল বাসেত মারজান, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শাহ আব্দুর রহমান, নারী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফারাহ নাজ সত্তার, কেন্দ্রীয় সহকারী দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট শরণ চৌধুরী, আব্দুল হালিম নান্নু, মশিউর রহমান মিলু, সহকারী প্রচার সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, রিপন মাহমুদ, সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান ব্যাপারী, সহকারী স্বেচ্ছা সেবা বিষয়ক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন রমিজ, কেফায়েত হোসেন তানভীর, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব আহমাদ বারকাজ নাসি প্রমুখ।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ