এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া হলো না আফসানার, মিনিবাসের চাপায় একই পরিবারের তিনজন নিহত
Published: 13th, May 2025 GMT
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় যাত্রীবাহী বাসের চাপায় এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল সোয়া নয়টার দিকে উপজেলার মীরবাগে রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন মীরবাগ মহেশা গ্রামের বাসিন্দা রুবিনা বেগম (৩২), তাঁর ছেলে রহমত (২) ও ভাতিজি আফসানা বেগম ওরফে স্নেহা (১৬)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল নয়টার দিকে মহেষা গ্রামের বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম তাঁর স্ত্রী রুবিনা বেগম, ছেলে রহমত ও ভাতিজি আফসানাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে কাউনিয়ার মোফাজ্জল হোসেন সরকারি উচ্চবিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। এ সময় কুড়িগ্রাম-রংপুর মহাসড়কের মীরবাগ জুম্মাপাড় নামের স্থানে পৌঁছালে একই দিক থেকে আসা একটি মিনিবাস পেছন থেকে ধাক্কা দিলে তাঁরা ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
নিহত আফসানা মীরবাগ বালিকা বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। তার পরিবার জানায়, পরীক্ষাকেন্দ্রে আফসানাকে পৌঁছে দেওয়ার পর আশরাফুল ইসলাম তাঁর ছেলে রহমতকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাবেন বলে পরিকল্পনা ছিল।
একই পরিবারের তিন সদস্য নিহতের ঘটনায় মহেশা গ্রামে শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে।
কাউনিয়া থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) শাহানুর আলম প্রথম আলোকে বলেন, পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার পথে ঘটনাস্থলে আশরাফুল ইসলামের মোটরসাইকেলের সামনে একটি মাইক্রোবাস ছিল। তিনি মোটরসাইকেল ব্রেক করলে তাঁরা সড়কে ছিটকে পড়েন। পরে একটি মিনিবাস তাঁদের পেছন দিক দিয়ে চাপা দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান। পুলিশ মিনিবাসটি শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন। এ ঘটনায় সড়ক আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ব র পর ক ষ ম রব গ আফস ন
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহ বোর্ডে পুনর্মূল্যায়নে মোট পাস ২১০, জিপিএ-৫ বৃদ্ধি ১৬৬
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা ফলাফল পুনর্মূল্যায়নে ফেল থেকে পাস করেছে ২১০ জন শিক্ষার্থী। এছাড়া জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ১৬৬ জন।
রবিবার (১০ আগস্ট) ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক সৈয়দ আক্তারুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা যায়, ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের জন্য বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে মোট ৪৬ হাজার ৬৬৪টি আবেদন জমা পড়েছিল। এসব আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাইয়ে ৩ হাজার ৮টি উত্তরপত্রে বিভিন্ন বিষয়ে নম্বর বৃদ্ধি পায়। এর মধ্যে ১ হাজার ৫৯০টি আবেদনে শিক্ষার্থীদের গ্রেড পয়েন্ট পরিবর্তিত হয়। বাকি আবেদনগুলোতে নম্বর বাড়লেও গ্রেড পয়েন্ট অপরিবর্তিত।
অধ্যাপক সৈয়দ আক্তারুজ্জামান জানান, ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের কারণে বোর্ডের সামগ্রিক পাশের হার দশমিক ২০ শতাংশ বেড়েছে।
প্রাথমিকভাবে যখন ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছিল তখন মোট পাস করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬১ হাজার ৪৫৬ জন। পুনর্মূল্যায়নের পর এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ হাজার ৬৬৬ জনে। পাশের হার শতকরা ৫৮.২২ শতাংশ থেকে বেড়ে এখন হয়েছে ৫৮.৪২ শতাংশ।
অন্যদিকে, জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা আগে ছিল ৬৬৭৮ জন। পুনর্মূল্যায়নের পর এই সংখ্যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮৪৪ জনে।
২০২৫ সালের এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছিল ১০ জুলাই। ১১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের জন্য আবেদনের শেষ তারিখ ছিল ১৭ জুলাই।
ফলাফলে এমন ত্রুটির বিষয়ে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, সাধারণত যেসব শিক্ষকরা পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করেন, তাদের কিছু ভুলের কারণে এমনটা হয়ে থাকে। প্রথম, দ্বিতীয় পরীক্ষক ও প্রধান পরীক্ষক নম্বরপত্র হিসাব নিকাশ করে চূড়ান্ত করে বোর্ডে পাঠায়।
ঢাকা/মাহমুদুল/মেহেদী