চাকরি হলে শৌচাগার বিনা মূল্যে ব্যবহারের সুযোগ
Published: 14th, May 2025 GMT
যেকোনো চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বেতন, কর্মঘণ্টা ও সুযোগ-সুবিধার কথা বলা হয়। সে অনুযায়ী চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেন। তবে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য ‘বিনা মূল্যে শৌচাগার ব্যবহার’ ও ‘বিনা মূল্যে লিফট ব্যবহার’–এর সুবিধা দেওয়ার কথা সাধারণত বলা হয় না। সম্প্রতি চীনের একটি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে এ সুবিধার কথা উল্লেখ করেছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ‘অতিরিক্ত কাজের সময় বিদ্যুৎ বিল মওকুফ’–সুবিধাকে কর্মচারীর প্রণোদনা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিজ্ঞাপনটি প্রথম প্রকাশ্যে আসে গত ২৯ এপ্রিল। ওই দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ওয়ার্কপ্লেস স্লাকারস’ নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে চাকরির বিজ্ঞাপন নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করা হয়। ওই অ্যাকাউন্টের প্রায় ৪৪ লাখ অনুসারী আছেন।
পোস্টটিতে নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের নাম কিংবা নির্দিষ্ট পদ উল্লেখ করা হয়নি। তবে কাজের কিছু মৌলিক তথ্য দেওয়া হয়েছিল। এতে বলা হয়, প্রার্থীকে ফরমাশ প্রক্রিয়াকরণের কাজ করতে হবে। এ জন্য প্রার্থীকে বিস্তারিত কাজে পারদর্শী, অভিজ্ঞ এবং স্প্রেডশিট ব্যবহারের জন্য এক্সেলে দক্ষ হতে হবে।
কর্মঘণ্টা প্রতিদিন আট ঘণ্টা। সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রথম পালা এবং বেলা ১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দ্বিতীয় পালা। দুই পালাতেই এক ঘণ্টার বিরতির কথা উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞাপনে। শিক্ষানবিশ সময়ে প্রতি মাসে বেতন ৪ হাজার ইউয়ান (৫৫০ ডলার)। মাসে চার দিন সাপ্তাহিক ছুটি এবং সরকারি ছুটির দিনে অফিস করলে দ্বিগুণ অর্থ।
তবে বিনা মূল্যে শৌচাগার ও লিফট ব্যবহারের সুযোগ এবং অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের সময় বিদ্যুৎ বিল মওকুফের বিষয়টি ব্যাপক সমালোচনা ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিজ্ঞাপনটি অনলাইনে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা উসকে দিয়েছে। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘চাকরির এই তথাকথিত সুবিধাগুলো কি কোনো মানদণ্ড হওয়ার কথা! এগুলোকে আবার প্রণোদনা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে কেন?’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী আরেকজন প্রশ্ন করেছেন, ‘এই কোম্পানি কি নিজেকে ঈশ্বর বা কোনো ধরনের ত্রাণকর্তা ভাবে?’ আরেকজন লিখেছেন, ‘আরও কয়েকটা চাকরির বিজ্ঞাপন ঘেঁটে দেখলেই এমন অদ্ভুত কোম্পানির দেখা মিলবে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চুয়েটে বড় পর্দায় শেখ হাসিনার মামলার রায় সম্প্রচার
বড় একটি টেবিলে রাখা হয়েছে একটি ল্যাপটপ, প্রজেক্টর ও সাউন্ডবক্স। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উৎসুক জনতা দাঁড়িয়ে আছে টেবিলের পাশে। সামনে থাকা একটি বড় পর্দায় আটকে আছে সবার দৃষ্টি। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় সরাসরি দেখানো হচ্ছে সেই বড় পর্দায়।
আজ সোমবার বেলা একটার দিকে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) গিয়ে দেখা যায় এ চিত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বর এলাকার ১ নম্বর ক্যানটিনের সামনে এভাবেই প্রজেক্টরের মাধ্যমে শেখ হাসিনার মামলার রায়ের সরাসরি সম্প্রচার দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়।
চুয়েটের কিছু শিক্ষার্থীর আয়োজনে বড় পর্দায় রায় দেখানোর এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বাধীনতা চত্বর এলাকায় বড় পর্দায় রায় দেখার সময় কথা হয় চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইফতেখার মাহমুদের সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারের পাশাপাশি পুরো দেশের মানুষ রায় কী হয়, তা দেখার অপেক্ষায়। চুয়েট শিক্ষার্থীরাও একইভাবে এই রায়ের অপেক্ষায় রয়েছেন।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় আজ ঘোষণা করা হচ্ছে। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার রায় ঘোষণা করছেন। এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। শেখ হাসিনার পাশাপাশি এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এর মধ্যে সাবেক আইজিপি মামুন ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী নামে পরিচিত) হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।