দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পুলিশের বাধার মুখে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান কালে আজ বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। 

শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমাদের শিক্ষক ও ছাত্রদের ওপর যে হামলা চালানো হয়েছে, তার বিচার করতে হবে।’

জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড.

রইছ উদ্দীন বলেন, ‘সরকারের এ কর্মকাণ্ডে আমরা মর্মাহত। আমার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। শতাধিক শিক্ষার্থী আহত। হামলার ঘটনায় পুলিশের বিচার করতে হবে।’ 

এ সময় শিক্ষার্থী, ‘জেগেছে রে জেগেছে, জবিয়ানরা জেগেছে’, ‘আমার ভাই অনাহারে, যমুনা কি করে?, ‘এসেছি যমুনায়, যাব না খালি হাতে’, ‘আমার ভাই আহত কেন, জবাব চাই’ এসব স্লোগান দেন। 

বিকেল ৩টার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শারমিন, ব্যবসায় অনুষদের ডিন মঞ্জুর মোরশেদ শিক্ষার্থীদের সড়কে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন।

এর আগে সকাল ১১টায় তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে লংমার্চে শুরু করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী। লংমার্চ কর্মসূচিতে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ ঘটনায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হন।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

অ্যাথলেট ফুট কিন্তু শুধু পায়ের অসুখ নয়

অ্যাথলেট ফুট একধরনের ছত্রাকজনিত বা ফাঙ্গাল ইনফেকশন, যা মূলত পায়ের তলার চামড়া, দুই আঙুলের মাঝখানে, কোমরের ভাঁজে, মাথার তালুতে হয়। অত্যন্ত ছোঁয়াচে রোগটি আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে খুব দ্রুত অন্যের মধ্যে ছড়ায়। আক্রান্ত স্থানে অনেক সময় লাল রিংয়ের মতো র‍্যাশ হয় বলে একে রিংওয়ার্মও বলে। আর চিকিত্সাবিজ্ঞানে বলে টেনিয়া পেডিস।

কাদের হয়

অ্যাথলেট বা ক্রীড়াবিদেরা এই সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন বলেই এর নাম হয়েছে অ্যাথলেট ফুট। খেলোয়াড় ছাড়াও যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, স্থূলতায় ভুগছেন, তাঁদের মধ্যে অ্যাথলেট ফুট বেশি দেখা যায়।

কীভাবে হয়

আর্দ্রতা ও গরম পরিবেশে ছত্রাক দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

ঘামযুক্ত পা, ভেজা মোজা বা জুতা দীর্ঘক্ষণ পরলে ঝুঁকি বেশি।

পাবলিক শাওয়ার, সুইমিংপুল, জিমে খালি পায়ে হাঁটলে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।

পরিবারের অন্য কেউ আক্রান্ত থাকলে সহজে সংক্রমণ হতে পারে।

আরও পড়ুনগোড়ালি ব্যথা কমাতে যা করতে পারেন৩১ আগস্ট ২০২৩

লক্ষণ কী

পায়ের আঙুলের ফাঁকে লাল বা সাদা হয়ে ফেটে যায় ও ভেজা ভেজা থাকে। সব সময় জ্বালাপোড়া হয়। আক্রান্ত স্থানে ভীষণ চুলকানি থাকে। পায়ে হয় ভীষণ দুর্গন্ধ। কোমরে বা মাথায় এই সমস্যা হলে লাল র‍্যাশ হয়, অনেক সময় ফোসকা পড়ে যায়।

চিকিত্সা কী

চিকিত্সকের পরামর্শে অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম, লোশন, শ্যাম্পু বা পাউডার ব্যবহার করতে হবে। অনেক সময় ওষুধ খেতে হতে পারে। চিকিত্সা নিতে হয় এক থেকে তিন মাস পর্যন্ত।

প্রতিরোধের উপায়

পা সব সময় শুকনা ও পরিষ্কার রাখতে হবে।

ব্যক্তিগত জিনিসপত্র, যেমন জামা, তোয়ালে, চিরুনি, ব্রাশ অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করা যাবে না।

না ধোয়া কাপড়, অন্যের ব্যবহৃত জার্সি, জিম ম্যাট, স্পোর্টস সরঞ্জাম ব্যবহার করা যাবে না।

খেলাধুলার পর অবশ্যই গোসল করতে হবে এবং শুকনা তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলতে হবে।

সুইমিংপুল, জিম, লকার রুমের মতো জায়গায় খালি পায়ে হাঁটা যাবে না। এসব জায়গায় সব সময় স্লিপার বা স্যান্ডেল পরতে হবে।

প্রতিদিন মোজা ও অন্তর্বাস পরিবর্তন করতে হবে।

পরিবারের অন্য সদস্যদের ফাঙ্গাল ইনফেকশন আছে কি না, দেখতে হবে ও চিকিত্সা করতে হবে।

ডা. আফলাতুন আকতার জাহান, জুনিয়র কনসালটেন্ট, ইন্টার্নাল মেডিসিন বিভাগ, স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড, ঢাকা

আরও পড়ুনফাঙ্গাস বা ছত্রাকের আক্রমণ ঠেকাতে যা করতে হবে২২ নভেম্বর ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ