পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলী হস্তক্ষেপে দুই দেশই সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছে। পাল্টাপাল্টি হামলার পর আলোচনায় উঠে আসে দুই দেশের বাহিনী। এ পরিস্থিতিতে সামনে এসেছে ভারতীয় সিনেমার নায়িকারা। কারণ বলিউডের বেশ কজন তারকা অভিনেত্রী রয়েছেন, যারা সেনা পরিবার থেকে রুপালি জগতে এসেছেন। এমন পাঁচ নায়িকাকে নিয়ে এই প্রতিবেদন—
আনুশকা শর্মা
বলিউড অভিনেত্রী আনুশকা শর্মার বাবার নাম অজয় কুমার শর্মা। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্নেল পদে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯৯ সালে কারগিল যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। বাবার চাকরির সুবাদে ভারতের বিভিন্ন শহরে সময় কেটেছে এই অভিনেত্রীর। নিয়মানুবর্তিতা, সাহস— সবকিছু এই সূত্রে পেয়েছেন আনুশকা।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
বলিউডের সীমানা ছাড়িয়ে অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার খ্যাতি ছড়িয়েছে বিশ্বব্যাপী। হলিউডের সিনেমায় নিয়মিত অভিনয় করছেন। তার বাবার অশোক চোপড়া একজন চিকিৎসক। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্বাভাবিক কারণে দেশের বিভিন্ন শহরে বসবাস করেছেন প্রিয়াঙ্কা। বাবার চাকরি সূত্রে বিভিন্ন শহরে বসবাসের অভিজ্ঞতা প্রিয়াঙ্কাকে অনেক সমৃদ্ধ করেছে। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কাকে এ কথা বলতে শোনা গেছে।
রাকুল প্রীত সিং
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার অভিনেত্রী রাকুল প্রীত সিং। তবে বলিউডের অনেক সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী। তার বাবার নাম রাজেন্দ্রের সিং। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন। বাবার চাকরির সূত্রে আর্মি পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা করেছেন রাকুল। মানসিক শক্তি এবং আত্মবিশ্বাস— আর্মিদের পরিবেশে বেড়ে ওঠার কারণে পেয়েছেন রাকুল।
সুস্মিতা সেন
প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরী সুস্মিতা সেন। বলিউডে পা রেখে যশ-খ্যাতি কম অর্জন করেননি। তার বাবার নাম সুবের সেন। ভারতীয় বিমানবাহিনীতে উইং কমান্ডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। যার ফলে এয়ার ফোর্স স্কুলে পড়াশোনা করেন সুস্মিতা সেন। মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়ার পেছনে তার পরিবারের মানসিক শক্তি অনেক সহযোগিতা করেছিল বলে জানিয়েছিলেন সুস্মিতা সেন।
প্রীতি জিনতা
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা। তার বাবার নাম দুর্গানন্দ জিনতা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন। প্রীতির বয়স যখন ১৩ বছর, তখন গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান তার বাবা। আর্মিদের পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন প্রীতি। এটি তাকে স্বাধীন নারী হিসেবে বেড়ে উঠতে দারুণ সহযোগিতা করেছে।
তথ্যসূত্র: সিয়াসাত ডটকম
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বরিশালে পলিথিনে পেঁচানো হাত-পা বাঁধা নারী উদ্ধার
বরিশাল সদরের তালুকদারের হাট এলাকায় হাত-পা বাঁধা ও পলিথিনে পেঁচানো অবস্থায় মারিয়া বেগমকে (২৩) উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে স্বামীর প্রাক্তন স্ত্রীর স্বজনরা নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
রোববার ভোরে বরিশাল-ভোলা সড়কের পাশ থেকে স্থানীয়রা মারিয়াকে উদ্ধার করেন। পরে পুলিশ শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করে।
বন্দর থানার এসআই সিরাজুল ইসলাম জানান, মারিয়ার স্বামীর নাম মশিউর রহমান। শ্বশুর বাড়ি ভোলায়। বরিশাল নগরীর দপদপিয়া গ্যাসটারবাইন এলাকায় তার বাবার বাড়িতে থাকেন।
স্থানীয়রা জানান, তালুকদারহাট এলাকার ব্যবসায়ীরা সড়কের পাশে পলিথিনে পেঁচানো অবস্থায় মারিয়াকে দেখতে পান। পরে পুলিশে খবর দেন তারা।
হাসপাতালে মারিয়া সাংবাদিকদের জানান, ভোলার ব্যবসায়ী মশিউর রহমানের সঙ্গে এক বছর আগে তার বিয়ে হয়। স্বামীর কাছে ভোলা যেতে শনিবার বিকেলে বাসা থেকে বের হন। ঘাটে গিয়ে লঞ্চ ধরতে পারেননি। সড়ক পথে লাহারহাট স্টেশনে গিয়েও লঞ্চ ধরতে ব্যর্থ হন। এর পর বাসায় ফিরতে সন্ধ্যার পর ভ্যানে বরিশাল নগরীর উদ্দেশে রওনা হন।
চরকাউয়ার জিরো পয়েন্টে পৌঁছলে স্বামীর প্রাক্তন স্ত্রীর ভাইয়েরা মারিয়াকে অপহরণ করেন। একটি জঙ্গলে নিয়ে নির্যাতন করে হাতা-পা বেঁধে পলিথিনে পেঁচিয়ে ফেলে রেখে যান।
শেবাচিম হাসপাতালের দায়িত্বরত এক চিকিৎসক জানান, মারিয়ার পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুড়ে ফোসকা পড়েছে। এটি এসিড নাকি রাসায়নিক জাতীয় কোনো দ্রব্যে হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।