বিকেএমইএ’র সভাপতি হলেন মোহাম্মদ হাতেম, নির্বাহী সভাপতি শামীম
Published: 15th, May 2025 GMT
শতভাগ রপ্তানি মুখি নীট গার্মেন্টস মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ নীটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)’র পরিচালনা পর্ষদের ২০২৫-২৭ মেয়াদে অফিস বেয়ারার্স পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ হাতেম। নির্বাহী সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ফজলে শামীম এহসান। এছাড়া সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে অমল পোদ্দার, সহ-সভাপতি (অর্থ) পদে মোরশেদ সারোয়ার এবং পাঁচজন সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) নারায়ণগঞ্জে বিকেএমইএ’র প্রধান কার্যালয়ে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে নির্বাচন বোর্ড কর্তৃক পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দেন প্রার্থীরা। এতে দেখা যায়- সভাপতি, নির্বাহী সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি, সহ-সভাপতি (অর্থ) ও পাঁচ জন সহ-সভাপতি মিলিয়ে মোট নয়টি অফিস বেয়ারার পদের জন্য নয়টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। নির্বাচন বোর্ড তা যাচাই বাছাই করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে।
যেহেতু নয়টি পদের বিপরীতে নয়টিই মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে, সেহেতু আলাদা করে নির্বাচনের প্রয়োজন হয়নি। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সব পদের প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। পাাঁচজন সহ-সভাপতির মধ্যে রয়েছেন মো.
এছাড়া পূর্বেই পরিচালক পদে নির্বাচিত হয়েছেন ২৬ জন। তাদের মধ্যে রয়েছেন- মনসুর আহমেদ, আহসান খান চৌধুরী, বেলায়েত হোসেন, ইমরান কাদের তুর্য, খন্দকার সাইফুল ইসলাম, এম. ইসফাক আহসান, আহেমদ নূর ফয়সাল, মো. আব্দুল হান্নান, মোহাম্মদ জাকারিয়া ওয়াহিদ, মহসিন রাব্বানি, শাহরিয়ার সাইদ, মোহাম্মদ শামসুল আজম, আব্দুল বারেক, মো. জামাল উদ্দিন মিয়া, নন্দ দুলাল সাহা, রতন কুমার সাহা, মো. মনিরুজ্জামান, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মো. ইয়াসিন, রাজীব চৌধুরী, ফৌজুল ইমরান খান, মোহাম্মদ সেলিম, মিনহাজুল হক, মামুনুর রশিদ, রাকিব সোবহান মিয়া, সালাহ উদ্দিন আহমেদ।
এছাড়া চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে পরিচালক পদে রয়েছেন আহেমদ নূর ফয়সাল, মোহাম্মদ শামসুল আজম, ফৌজুল ইমরান খান, মোহাম্মদ সেলিম, আব্দুল বারেক, মো. ইয়াসিন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র ব চ ত হয় ছ ন ম হ ম মদ
এছাড়াও পড়ুন:
বিমানবন্দরে আগুনে রপ্তানি বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে: বিজিএমইএ
রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ (পণ্য রাখার স্থান) কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রপ্তানি বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মনে করে পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন (বিজিএমইএ)।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ইনামুল হক খান এ কথা বলেন। এসময় তার সঙ্গে বিজিএমইএ’ সহ-সভাপতি (অর্থ) মিজানুর রহমান, পরিচালক ফয়সাল সামাদ, পরিচালক মজুমদার আরিফুর রহমান, পরিচালক কাজী মিজানুর রহমান, পরিচালক রুমানা রশীদ, পরিচালক মোহাম্মদ সোহেল, সাবেক পরিচালক নজরুল ইসলাম, বিজিএমইএ’র জনসংযোগ ও প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদ কবির, এয়ারপোর্ট সেলের চেয়ারম্যান মো. নিশের খান উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
রামগতিতে আগুনে পুড়ল ১০ দোকান, অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি
পুরোপুরি নিভেছে বিমানবন্দরের আগুন
ইনামুল হক খান সাংবাদিকদের জানান, বিজিএমইএ ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে। সদস্যদের নির্ধারিত ফরমেটে ক্ষতি হওয়া পণ্যের তালিকা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে এবং তথ্য দ্রুত সংগ্রহের জন্য একটি অনলাইন ডেটা কালেকশন পোর্টাল খোলা হয়েছে।
তিনি জানান, বিজিএমইএ খুব দ্রুত সমস্ত সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের (বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এবং অন্যান্য সংস্থা) এর সঙ্গে একটি সমন্বয় সভা করবে।
বিজিএমইএ’র এই সিনিয়র সহ-সভাপতি বলেন, “ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্স ভবনে সংঘটিত ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। এর ফলে বিদেশি ক্রেতাদের আস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।”
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে প্রতিনিধিদল বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পোশাক উদ্যোক্তাদের উদ্বেগ প্রকাশ এবং পোশাক শিল্পের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখার ব্যাপারে সহযোগিতা কামনা করেন। এ সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান এবং মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বিজিএমইএ নেতাদের শিল্পের আমদানি করা কাঁচামাল ৭২ ঘণ্টার স্থলে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে খালাস করার নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আপাতত আমদানিকৃত কাঁচামালগুলো কার্গো ভিলেজের ৩ নম্বর ভবনে রাখা হবে।
বিজিএমইএ নেতারা জানান, পোশাক শিল্পে উচ্চমূল্যের পণ্য পরিবহন এবং জরুরি শিপমেন্টের ক্ষেত্রে আকাশপথ ব্যবহার করা হয়। অগ্নিকাণ্ডের ফলে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ পণ্যসামগ্রী পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ধ্বংস হওয়া মালামালের মধ্যে পোশাক তৈরির মূল্যবান কাঁচামাল, এক্সেসরিজ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো- অনেক স্যাম্পল (নমুনা) পণ্য ছিল। এই স্যাম্পলগুলো হারানো মানে ভবিষ্যৎ অনেক ব্যবসায়িক সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
বিজিএমইএ পোশাক শিল্পের এই বিপুল ক্ষতি মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের কাছে বেশ কিছু অনুরোধ করেন। এরমধ্যে - এই অগ্নিকাণ্ড দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা, সে বিষয়ে দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত শুরু করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের জন্য সার্বিক সহযোগিতা ও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা। পোশাক শিল্পের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখার স্বার্থে বন্দরের বর্তমান পরিস্থিতি নির্বিশেষে যেন অন্যান্য নিয়মিত শিপমেন্টগুলোও স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারে, তার জন্য সব প্রক্রিয়াকে সহজ ও দ্রুততর করা। রপ্তানি পণ্য খোলা জায়গায় না রেখে বিমানবন্দরের স্পর্শকাতর এলাকায় পণ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যাতে বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি না হয়।
বিজিএমইএ ঢাকা বিমান বন্দরে পোশাক শিল্পের আমদানিকৃত মালামাল ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে খালাস করার জন্য সদস্যদের নির্দেশনা দিয়েছে।
ঢাকা/নাজমুল/মাসুদ