রাখাইন রাজ্যের চলমান সংকট এবং জাতিসংঘের মানবিক করিডোর গঠনের আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ এক নাজুক ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। দেশের ভৌগোলিক অবস্থান, মানবিক দায়বদ্ধতা, নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ এবং কূটনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে ভারসাম্য খোঁজা জরুরি হয়ে উঠেছে। একদিকে যেমন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানবিক সংকট নিরসনে বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে, অন্যদিকে রয়েছে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব ও প্রতিরক্ষা-সংক্রান্ত উদ্বেগ।

রাখাইনে নতুন বাস্তবতা
২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বর্বর অভিযানের মুখে পালিয়ে আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, যার বেশির ভাগ কক্সবাজারে অবস্থান করছে। এদের একটি অংশকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হলেও সমাধান এখনও সুদূরপরাহত। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রশ্নে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বহু বছর ধরেই আলোচনা চলমান। এরই মধ্যে রাখাইন রাজ্যে রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তির ভারসাম্যে বড় রকমের পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে রাজ্যের প্রায় ৯০ শতাংশই বিদ্রোহী ‘আরাকান আর্মি’র নিয়ন্ত্রণে।
এই বাস্তবতা বাংলাদেশকে বিকল্প কূটনৈতিক চিন্তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের পাশাপাশি এখন নতুনভাবে অ-রাষ্ট্রীয় শক্তির সঙ্গেও যোগাযোগ ও সমঝোতার প্রশ্ন উঠেছে। ফলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের প্রেক্ষাপট নতুনভাবে চিন্তা করতে হচ্ছে।

জাতিসংঘের প্রস্তাব
সম্প্রতি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের অনুরোধে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে রাখাইনে একটি মানবিক করিডোর গঠনে সম্মত হয়েছে। যদিও পরে এ ব্যাপারে প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, এ ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। 
রাখাইনের আর্থসামাজিক পরিস্থিতি যেভাবে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে, তাতে মানবিক করিডোর প্রয়োজনীয় ও মানবিক দায়িত্ব হিসেবেই বিবেচিত হতে পারে। একই সঙ্গে করিডোর ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হওয়ার আশঙ্কাও অস্বীকার করা যায় না। যদি করিডোর ব্যবহার করে নতুন করে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে, তাহলে বাংলাদেশকে নতুন মানবিক ও নিরাপত্তা সংকটে পড়তে হতে পারে।

মানবতা ও নিরাপত্তার সমন্বয়
বাংলাদেশ একদিকে মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত, অপরদিকে নিজ দেশের জনগণের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্বও তার অগ্রাধিকার। এই দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে গিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক ও পেশাদারিত্বনির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া অত্যাবশ্যক হয়ে উঠেছে।
জাতীয় নিরাপত্তা কেবল সামরিক বা সীমান্ত বিষয় নয়; এটি এখন রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও জনমনের মনস্তাত্ত্বিক নিরাপত্তার সঙ্গেও জড়িত। কাজেই জাতিসংঘের অনুরোধে করিডোর গঠনের মতো কৌশলগত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কেবল আমলাতান্ত্রিক যুক্তি যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি, যেখানে সশস্ত্র বাহিনী, নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ, কূটনৈতিক মহল এবং রাজনৈতিক দলগুলোর অভিমত প্রতিফলিত হবে।

গণমানুষের প্রত্যাশা
গণঅভ্যুত্থান-উত্তর বাংলাদেশের জনমানসে নতুন প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। মানুষ এখন চায় রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশীদারিত্ব থাকুক; জবাবদিহি নিশ্চিত হোক এবং দেশের স্বার্থকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হোক। কেবল প্রশাসনিক স্তরে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, বিশেষত জাতীয় নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক নীতিমালার মতো সংবেদনশীল বিষয়ে জনগণের মধ্যে সন্দেহ ও শঙ্কা তৈরি করতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণমূলক সংস্কৃতির বিকাশ এবং নিরাপত্তা-বিষয়ক সিদ্ধান্তে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের চর্চা অতীব জরুরি।

অংশগ্রহণমূলক রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত
যে কোনো রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত তখনই টেকসই হয়, যখন তা একটি বহুমাত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতে গৃহীত হয়। রাখাইন ও রোহিঙ্গা প্রশ্নে বাংলাদেশের অবস্থান কেবল নৈতিক বা কূটনৈতিক নয়। এটি এখন একটি কৌশলগত জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু। ফলে করিডোর-বিষয়ক যে কোনো সিদ্ধান্ত যেন গণতান্ত্রিক চর্চা ও বিশেষজ্ঞ মতামতের আলোকে নেওয়া হয়– সেটিই প্রত্যাশা। বাংলাদেশ একটি দায়িত্বশীল, মানবিক ও প্রজ্ঞাবান জাতি হিসেবে নিজের অবস্থান আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরেছে। এই ভাবমূর্তি বজায় রাখতে হলে কেবল সদিচ্ছা নয়; প্রয়োজন পরিকল্পিত কৌশল, অংশগ্রহণমূলক নীতি এবং একটি সুসংহত নিরাপত্তা কাঠামো।

রাখাইন সংকট ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে ধৈর্য ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে এগিয়েছে। কিন্তু সময় এখন নতুন প্রেক্ষাপটে নতুন চিন্তা করার। জাতীয় নিরাপত্তা ও কৌশলগত স্বার্থ এখন কেবল অভ্যন্তরীণ নীতির বিষয় নয়, বরং তা আন্তর্জাতিক রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে পরিচালিত হতে হবে। আরাকান আর্মির উত্থান, চীন-ভারত-আসিয়ান প্রতিযোগিতা, বঙ্গোপসাগরীয় নিরাপত্তা জোট এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর চাপ– এসবই এখন বাংলাদেশের কূটনীতিকে আরও সতর্ক, সমন্বিত ও বাস্তববাদী হতে বাধ্য করছে।
মানবিক করিডোর যেমন একটি জরুরি ও সময়োপযোগী উদ্যোগ, তেমনি তা একটি দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা কৌশলের অংশ হিসেবেই দেখা দরকার। করিডোর দিয়ে যে মানবিক সহায়তা প্রবাহিত হবে, সেটি যেন সীমান্ত ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য হুমকি না হয়– তা নিশ্চিত করা জরুরি। পাশাপাশি করিডোরের কার্যকারিতা, পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থাপনা ও আন্তর্জাতিক সমন্বয়ের বিষয়গুলোও স্পষ্টভাবে পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত হতে হবে।

দায়িত্বশীল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ যদি জাতিসংঘের অনুরোধে মানবিক করিডোর খুলে দেয়, তাহলে তা অবশ্যই হতে হবে সুনির্দিষ্ট শর্ত, সময়সীমা ও নিরাপত্তার গ্যারান্টির ভিত্তিতে। আর সেই সিদ্ধান্ত হতে হবে জাতীয় সংলাপ ও পেশাদারিত্বের সম্মিলনে, যাতে দেশের জনগণ, প্রতিরক্ষা সংস্থা এবং রাজনৈতিক অংশীদাররা তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে আস্থা ও দায়িত্ববোধ নিয়ে সম্পৃক্ত হতে পারে।

আলাউদ্দীন মোহাম্মদ: যুগ্ম সদস্য সচিব, 
জাতীয় নাগরিক পার্টি

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক টন ত ক টন ত ক ভ রস ম য র জন ত ক অবস থ ন র খ ইন সমন ব

এছাড়াও পড়ুন:

নিত্যখাদ্যপণ্যে ভ্যাট, করনীতি সংস্কার যেখানে জরুরি

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে, যার ফলে দরিদ্র জনগণের জীবনযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক পরিবর্তনে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রয়োজনীয় সংস্কার পদক্ষেপ এখনো দৃশ্যমান নয়। বরং সরকার গত জানুয়ারিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যসহ শতাধিক পণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে।

বাংলাদেশের করব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরে কাঠামোগত সমস্যায় জর্জরিত। মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) একটি পরোক্ষ কর, যা পণ্য ও সেবার মাধ্যমে জনগণের কাছ থেকে আদায় করা হয়। এটি সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হলেও, বাস্তবে এর প্রভাব গরিব জনগণের ওপর বেশি পড়ছে।

গত জানুয়ারিতে যেসব পণ্যে ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে নিত্যখাদ্যপণ্য যেমন পাউরুটি, বিস্কুট এবং কেক; যেগুলো সাধারণত দরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষের খাদ্য হিসেবে পরিচিত। গত ১৬ মে ‘বিস্কুট, পাউরুটি, কেকের প্যাকেট ছোট হচ্ছে, কষ্টে শ্রমজীবী মানুষ’ শিরোনামে প্রথম আলোর একটি বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব নিত্যখাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে, অথবা প্যাকেটের আকার ছোট হয়ে গেছে।

ভ্যাট একটি ‘রিগ্রেসিভ’ করব্যবস্থার অংশ, যেখানে করের পরিমাণ সাধারণত ধনী-গরিব সব শ্রেণির জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। তবে এটি বৈষম্যমূলক। কারণ, ধনীরা সবচেয়ে বেশি সেবা পেয়ে থাকে, যেমন সড়কে সবচেয়ে বেশি গাড়ি ব্যবহার করে ধনীরাই। তাই ধনী ও গরিবের জন্য কর সমান হওয়াটাও ন্যায্য নয়। অথচ আমাদের করনীতিতে উচ্চবিত্তদের ছাড় দিয়ে দরিদ্রদের ওপর চাপ সৃষ্টির প্রবণতা দৃশ্যমান, যা রিগ্রেসিভ করনীতির থেকেও আরও বৈষম্যমূলক।

এই পণ্যগুলো শ্রমজীবী মানুষের জন্য সস্তা খাবার হিসেবে পরিচিত এবং ভ্যাট বৃদ্ধির কারণে তাঁরা তাঁদের দৈনন্দিন খাবারের জন্য অতিরিক্ত খরচ করতে বাধ্য হচ্ছেন। নিত্যখাদ্যপণ্যে ভ্যাট দরিদ্রদের জীবনে আর্থিক চাপ বাড়াচ্ছে। কারণ, তাঁদের আয়ের সিংহভাগ খরচ হয় খাবার কেনার জন্য। বেঁচে থাকার জন্য মৌলিক প্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর ভ্যাট সামাজিক ন্যায্যতার পরিপন্থী। মানুষের বেঁচে থাকা ও কর্মক্ষমতা সবই নির্ভর করে খাবারের ওপর।

সুপারশপগুলোতে সাধারণত মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্তরা কেনাকাটা করেন, অথচ সেখানে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই বৈষম্য সমাজে কেবল অস্থিরতাই সৃষ্টি করছে তা নয়; বরং এটি অর্থনৈতিক সমতা এবং সামাজিক ন্যায্যতার পরিপন্থী।

ভ্যাট একটি ‘রিগ্রেসিভ’ করব্যবস্থার অংশ, যেখানে করের পরিমাণ সাধারণত ধনী-গরিব সব শ্রেণির জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। তবে এটি বৈষম্যমূলক। কারণ, ধনীরা সবচেয়ে বেশি সেবা পেয়ে থাকে, যেমন সড়কে সবচেয়ে বেশি গাড়ি ব্যবহার করে ধনীরাই। তাই ধনী ও গরিবের জন্য কর সমান হওয়াটাও ন্যায্য নয়। অথচ আমাদের করনীতিতে উচ্চবিত্তদের ছাড় দিয়ে দরিদ্রদের ওপর চাপ সৃষ্টির প্রবণতা দৃশ্যমান, যা রিগ্রেসিভ করনীতির থেকেও আরও বৈষম্যমূলক।

‘প্রগ্রেসিভ’ ট্যাক্সেশন হলো এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে ধনীদের ওপর কর বেশি আরোপ করা হয় এবং দরিদ্রদের জন্য কর কমানো হয়। উন্নত দেশগুলোর করনীতিতে আমরা এই প্রগ্রেসিভ ধারণা দেখতে পাই। যেমন ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু দেশ এবং স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে উচ্চ আয়ের মানুষদের ওপর করের চাপ বেশি। ধনীদের কাছ থেকে নেওয়া কর সমাজের বৃহত্তর অংশের কল্যাণে ব্যয় করা হয়। এই ধরনের করনীতি সব নাগরিকের জীবনযাত্রার ন্যূনতম মান নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।

বাংলাদেশে এই প্রগ্রেসিভ ট্যাক্সেশন কাঠামোটি কার্যকর নয়। এখানে কর প্রশাসন এবং নীতিনির্ধারণে কাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। প্রগ্রেসিভ ট্যাক্সেশন বা ধনীদের ওপর বেশি কর আরোপের ধারণা সঠিকভাবে বাস্তবায়নের বিষয়টি প্রশাসনিক কাঠামোর দক্ষতার ওপর নির্ভরশীল। বর্তমানে আমাদের কর প্রশাসন যথেষ্ট দক্ষ ও কার্যকর নয়, ফলে তারা নির্দিষ্ট পণ্যের ওপর ভ্যাটের পরিমাণ কতটা নির্ধারণ করা উচিত, তা ঠিক করতে সক্ষম নয়। তারা সহজে আদায়যোগ্য পণ্যগুলোতে কোনো বিবেচনা ছাড়াই কর বসিয়ে দেয়। এর ফলে যেসব পণ্য দরিদ্র জনগণের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, যেমন খাদ্যপণ্য, সেখানে ভ্যাটের চাপ আরও বাড়ছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে করব্যবস্থার কার্যকারিতা ও দক্ষতা উন্নয়নের জন্য সংস্কারের প্রয়োজন। যদি প্রগ্রেসিভ করব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, তবে আমাদের দরিদ্র জনগণের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। আমাদের নীতিনির্ধারণের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা প্রয়োজন। করব্যবস্থায় সুসংগঠিত সংস্কার আনা প্রয়োজন, যেখানে একদিকে গরিবদের জন্য খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, অন্যদিকে প্রগ্রেসিভ করব্যবস্থা প্রাধান্য পাবে।

সরকারের উচিত করনীতি প্রগ্রেসিভ করার পদক্ষেপ নেওয়া, যাতে সমাজের সব শ্রেণি, বিশেষ করে গরিব জনগণ, এর সুস্পষ্ট ও কার্যকর সুবিধা পেতে পারে। এটি শুধু আমাদের দেশের দরিদ্র জনগণের জন্য নয়, বরং দেশে সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নতির জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে। 

হোসেন জিল্লুর রহমান চেয়ারম্যান, পিপিআরসি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এই বিশাল প্রকল্প কি বৃথাই যাবে
  • গণসংহতি আন্দোলন কার্যালয়ের পাশে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ, বিক্ষোভ মিছিল
  • ৭ নং ওয়ার্ডে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও সদস্য সংগ্রহ কর্মসুচির উদ্বোধন
  • রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য ছাড়া কী করে সংস্কার হয়
  • ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব জনপ্রত্যাশা নিয়ে কতটা সজাগ
  • ১১ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করবে পিকেএসএফ
  • নিত্যখাদ্যপণ্যে ভ্যাট, করনীতি সংস্কার যেখানে জরুরি
  • ইউক্রেনের শহর দখলে লক্ষাধিক রুশ সেনার সমাবেশ: কিয়েভ
  • আগামী নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক: শফিকুল আলম
  • বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন ওয়েবসাইট চালু করল বিডা