জামালপুরের বকশীগঞ্জে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৬ মে) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের বান্দের পাড় এলাকার একটি পাটক্ষেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ওই নারীর মুখমণ্ডল ও শরীরের বিভিন্ন অংশ আগুনে পোড়া ছিল।

এলাকাবাসী জানান, সকালে স্থানীয় কৃষকরা মাঠে কাজ করছিলেন। এসময় তারা নাকে দুর্গন্ধ পান। খোঁজাখুঁজির পরে পাটক্ষেতে অজ্ঞাতপরিচয় নারীর মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন।

বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক নারীর বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই নারীর মুখমণ্ডল এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ পোড়া ছিল। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, তাকে হত্যার পর মরদেহটি পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। যাতে পরিচয় শনাক্ত না করা যায়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।”

আরো পড়ুন:

আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবি

ঢাবিতে বহিরাগতদের নিয়ে ছাত্রদলের উপাচার্যবিরোধী আন্দোলন, ক্ষোভ

ওসি আরো বলেন, “মরদেহ শনাক্তে পিবিআইকে খবর দেওয়া হয়েছে। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।”

ঢাকা/শোভন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য মরদ হ র মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রথম ক্যাশলেস ক্যাম্পাস হিসেবে যাত্রা শুরু করল রাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) দেশের প্রথম ‘ক্যাশলেস ক্যাম্পাস’ হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিনেট ভবনে এ উদ্যোগ উদ্বোধন করেন রাবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ও মাস্টারকার্ড যৌথভাবে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

আরো পড়ুন:

উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে রাকসু নির্বাচনের প্রচার

রাকসু নির্বাচন বর্জনের বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থীর

ক্যাশলেস বাংলাদেশ প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীরা এখন থেকে ক্যাম্পাসজুড়ে দ্রুত, নিরাপদ ও সহজে ডিজিটাল লেনদেন করতে পারবেন। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসের ক্যাফেটেরিয়া, বইয়ের দোকান থেকে শুরু করে প্রশাসনিক দপ্তর পর্যন্ত সব জায়গায় পয়েন্ট-অব-সেল (পিওএস) মেশিন ও বাংলা কিউআর পেমেন্ট সেবা চালু করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য চালু করা হয়েছে একটি এক্সক্লুসিভ ডেবিট কার্ড, যা তাদের দৈনন্দিন আর্থিক কার্যক্রম আরো সহজ করবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওমর ফারুক খান বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের প্রথম ক্যাশলেস ক্যাম্পাসে রূপান্তরিত করতে মাস্টারকার্ডের সঙ্গে অংশীদার হতে পেরে আমরা গর্বিত। এ উদ্যোগ আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াবে এবং শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের জন্য নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন লেনদেন নিশ্চিত করবে।”

মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাশলেস ক্যাম্পাস উদ্যোগে ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমরা গর্বিত। বিশেষ করে স্টুডেন্ট ডেবিট কার্ড ও আধুনিক ডিজিটাল পেমেন্ট সমাধান শুধু ক্যাশলেস বাংলাদেশ বাস্তবায়নেই নয়, বরং তরুণ প্রজন্মকে ক্ষমতায়িত করে দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিকে আরো গতিশীল করবে।”

তিনি বলেন, “এ উদ্যোগ শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের জন্য উপকারী হবে এবং শিক্ষা খাতে ডিজিটাল রূপান্তরের অগ্রদূত হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেবে।”

অধ্যাপক মঈনুদ্দিন খান বলেন, “ক্যাশলেস সিস্টেম আমাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি দৈনন্দিন জীবনে অনেকভাবে কাজে আসবে। তবে এ ব্যবস্থার সঙ্গে কিছু ঝুঁকিও রয়েছে। যেমন- একজন ব্যক্তি আড়ং শপিংমলে কেনাকাটা করতে গিয়ে কার্ড ব্যবহার করেন। কিন্তু পিন নাম্বার দেওয়ার পর প্রতারণার মাধ্যমে তার অ্যাকাউন্ট থেকে সব টাকা তুলে নেওয়া হয়। এ ধরনের প্রতারণা রোধে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করা জরুরি। নচেৎ আমরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারি। তবে সুশাসন নিশ্চিত করে যদি ক্যাশলেস ব্যবস্থার যথাযথ ব্যবহার করা যায়, তাহলে এটি সমাজের জন্য বহুবিধ উপকার বয়ে আনবে।”

অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালকবৃন্দের মধ্যে রথীন কুমার পাল, মো. শরাফত উল্লাহ খান, রাফেজা আখতার কান্তাসহ ইসলামী ব্যাংক ও মাস্টারকার্ডের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ