কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটের চাকা খুলে নিচে পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যদিও পরবর্তীকালে বিমানটি রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদে জরুরি অবতরণ করে।

এ ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) এবিএম রওশন কবীর এ তথ্য জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন:

সিলেট থেকে মদিনার পথে প্রথম হজ ফ্লাইট

বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল পরিদর্শন করলেন তিন উপদেষ্টা

তিনি জানান, এ বিষয়ে বিমানের চিফ অব সেফটি ক্যাপ্টেন এনাম তালুকদারকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিজি ৪৩৬ (ড্যাশ ৮-৪০০) বিমানটিতে শিশুসহ মোট ৭‌১ জন আরোহী ছিলেন। কক্সবাজার থেকে শুক্রবার বেলা ১টা ৩৫ মিনিটে উড্ডয়ন করে বিমানটি। আকাশে ওড়ার পরই বিমানটির পেছনের একটি চাকা খুলে নিচে পড়ে যায়। পাইলট ক্যাপ্টেন জামিল বিল্লাহর নেতৃত্বে দুপুর ২টা ২২ মিনিটে বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপদে অবতরণ করে। যাত্রী ও ক্রুরা সবাই সুস্থ ও নিরাপদ রয়েছেন।

এর আগে উড্ডয়নের পরপরই ক্যাপ্টেন জামিল ঢাকার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে (এটিসি) জানান, তিনি জরুরি অবতরণ করতে চাচ্ছেন। পাইলটের বার্তা পাওয়ার পরপরই ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর জরুরি অবতরণের প্রস্তুতি নেয়। প্রস্তুত রাখা হয়েছিল ফায়ার সার্ভিসও।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ম নট

এছাড়াও পড়ুন:

পুতিন কি আজও ট্রাম্পকে অপেক্ষায় রাখবেন?

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চলতি সপ্তাহে জানিয়েছিলেন, শুক্রবার পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের ‘প্রথম দুই মিনিটের’ মধ্যেই তিনি জানতে পারবেন যে রুশ প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ করার ব্যাপারে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন। তবে, আরো আগেই এ ব্যাপারে স্পষ্ট ইঙ্গিত আসতে পারে - যখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের বিমান অ্যাঙ্কোরেজে অবতরণ করবে।

সাত বছর আগে হেলসিঙ্কি শীর্ষ সম্মেলনে পুতিন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বৈঠকের জন্য এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে একটি অতিথিশালায় অপেক্ষা করিয়ে রেখেছিলেন। শীর্ষ সম্মেলন শুরু হওয়ার মাত্র ১০ মিনিট আগে পুতিন বিমানবন্দরে অবতরণ করেছিলেন।

পুতিনের এই ঘটনাকে ব্যাপকভাবে একটি পাওয়ার প্লে হিসেবে দেখা হয়েছিল। কারণ তিনি একবার সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলকে চার ঘন্টা অপেক্ষা করিয়ে রেখেছিলেন।

অবশ্য পুতিনের জন্য এখন অনেক কিছু বদলে গেছে। তিনি ট্রাম্পের সাথে মুখোমুখি আলোচনার মাধ্যমে বিশ্ব মঞ্চে তার অবস্থান পুনরুদ্ধার করতে চাইছেন। এই মুহূর্তে তার সময়ানুবর্তিতা ইঙ্গিত দেবে যে তিনি কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে প্রস্তুত কিনা। 

ক্রেমলিন অবশ্য জানিয়েছে, পুতিন আজ সময়মতো পৌঁছাবেন।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট সবসময় সময়মতো পৌঁছান।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পুতিন কি আজও ট্রাম্পকে অপেক্ষায় রাখবেন?