রাজশাহী কলেজে ক্লসে ঢুকে ছাত্রীদের উত্যক্তের অভিযোগে আটক ১
Published: 17th, May 2025 GMT
রাজশাহী কলেজের বাংলা বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ক্লাস চলাকালে ছাত্রীদের উত্যক্ত করার অভিযোগে এক বহিরাগতকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
আটক ওই যুবকের নাম শ্রী কৃষ্ণ কুমার ঘোষ। তার বাবার নাম শ্রী শঙ্খ কুমার ঘোষ।
শনিবার (১৭ মে) দুপুর ২টায় রাজশাহী কলেজের বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে রাজশাহী মেট্রোপলিটনের বোয়ালিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
আরো পড়ুন:
স্যারের চেম্বারে পড়া বুঝতে গিয়েছিলাম, দাবি সেই ছাত্রীর
চেম্বারে ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষক: স্থায়ী বহিষ্কার দাবিতে রাবিতে বিক্ষোভ
শিক্ষার্থীরা জানান, ক্লাসে শুরু থেকেই কৃষ্ণ কুমারের পোশাক দেখেএবং তার কাছে কোনো বইখাতা না থাকায় সন্দেহজনক মনে হয়। ক্লাসে ঢুকে তিনি মেয়েদের বিভিন্নভাবে পরিচয় জিজ্ঞেস করে। পরে নাম প্রেজেন্টর সময় কয়েকজন ছাত্রী ছেলে সহপাঠিদের কাছে তার পরিচয় জিজ্ঞেস করেন।
ক্লাসের ছাত্ররা তাকে চিনতে না পেরে তার রোল জিজ্ঞেস করেন। তিনি প্রথমবার ৮৪ পরে ১৮৪ রোল বলেন। কিন্তু ওই সময় ১৮৪ রোলধারী শিক্ষার্থী ক্লাসে উপস্থিত ছিলেন।
ক্লাস শেষে সবাই বাইরে গেলে কয়েকজন শিক্ষার্থী লক্ষ্য করেন, তিনি উপযাচক হয়ে ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলছেন। তবে ছাত্রীদের কাছে তার পরিচয় জিজ্ঞেস করলে তারা তাকে চেনেন না বলে জানান। এছাড়াও বিভাগের বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেননি।
একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদে কৃষ্ণ কুমার জানান, তিনি কলেজে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন সময় আসতেন। একেকদিন একেক বিভাগে ক্লাস করতেন। পরে বাংলা বিভাগের শিক্ষকদের সহায়তায় শিক্ষার্থীরা তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলা বিভাগের একজন শিক্ষার্থী বলেন, “তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ রয়েছে। আমার এক বান্ধবী মনোবিজ্ঞান বিভাগে পড়েন। তাকেও নাকি ওই যুবক একদিন ক্যাম্পাসে উত্ত্যক্ত করেছে।”
খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষের দুঃসম্পর্কের খালাতো ভাই। এছাড়াও তার ফোনের কললিস্ট যাচাই করে জানা যায়, জুলাই আন্দোলন চলাকালে রকি কুমার ঘোষের সঙ্গে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ করতেন।
মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ রকিবুল হাসান ইবনে রহমান বলেন, “আটক যুবক কৃষ্ণ কুমার কলেজে ঘুরতে এসেছিল। এছাড়াও সে নাকি রাজশাহী কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রকি কুমার ঘোষের দুঃসম্পর্কের আত্মীয়।”
তিনি বলেন, “কলেজ কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে ইভটিজিং এর মামলা দায়ের করেছে। তাকে আদালতে চালান করা হবে।”
ঢাকা/ফারজানা/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ জ ঞ স কর
এছাড়াও পড়ুন:
মাস্টারকার্ডের তিন ধরনের কার্ড নিয়ে এল মার্কেন্টাইল ব্যাংক
স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের পথে এগিয়ে যেতে ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘২০২৬ সালের মধ্যেই আমরা এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সামনে এখন এটিই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যবসায়ীদেরই এগিয়ে আসতে হবে।’
রাজধানীর র্যাডিসন হোটেলে আজ শনিবার মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মাস্টারকার্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন তিন ধরনের কার্ডসেবা চালু উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মার্কেন্টাইল ব্যাংক।
মার্কেন্টাইল ব্যাংকের গ্রাহকদের জন্য মাস্টারকার্ডের নতুন তিন ধরনের কার্ডসেবার বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি গ্রাহকদের নগদ লেনদেন সেবায় নিরুৎসাহিত করতে। এ জন্য গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের কার্ড ব্যবহারে আরও কীভাবে উৎসাহিত করা যায়, তা নিয়ে এনবিআরের সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে।’ তিনি বলেন, কার্ডে লেনদেন করলে প্রতিটি ধাপ যথাযথভাবে অনুসরণ করা যায়। এ ধরনের লেনদেনে স্বচ্ছতা এবং ব্যাংক–গ্রাহকের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা যায়।
ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. জাকির হোসেন চৌধুরী ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ারুল হক। এ ছাড়া বক্তব্য দেন মাস্টারকার্ডের এদেশীয় ব্যবস্থাপক বা কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাহিদ হোসেন, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) তাপস চন্দ্র পাল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির ভাইস চেয়্যারম্যান আকরাম হোসেন, নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ খান বেলাল, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল, পরিচালক মোশাররফ হোসেন, মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের পরিচালক জাকিয়া সুলতানাসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন খাতের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
অনুষ্ঠানে ডেপুটি গভর্নর জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘গত এক দশকে বাংলাদেশের আর্থিক কর্মকাণ্ড প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠেছে। তাই মার্কেন্টাইল ব্যাংকের এ ধরনের সেবা চালু করাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। ডিজিটাল লেনদেনে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি সাইবার নিরাপত্তা, তথ্য সুরক্ষা ও গ্রাহকের অধিকার রক্ষার দায়িত্বও সমানভাবে পালন করতে হবে ব্যাংকগুলোকে।’
মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউল হাসান বলেন, মানুষের লেনদেন এখন আগের চেয়ে অনেক দ্রুত ও নিরাপদ হয়েছে। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রবাসী আয়ের লেনদেনে মাস্টারকার্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ইতিমধ্যে মার্কেন্টাইল ব্যাংক দেড় হাজার মাস্টারকার্ড ইস্যু করেছে। আগামী জুলাইয়ের মধ্যে ৫ হাজার মাস্টারকার্ড ইস্যু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ক্রেডিট, ডেবিট ও প্রিপেইড মিলিয়ে মাস্টারকার্ডের তিন ধরনের নতুন কার্ডসেবা চালু করছে। এসব কার্ডে সংযুক্ত রয়েছে ‘কন্ট্যাক্টলেস প্রযুক্তি’, ‘ডুয়াল কারেন্সি বা দ্বৈত মুদ্রা’ সুবিধা ও ‘দ্বিস্তরবিশিষ্ট’ নিরাপত্তাব্যবস্থা। মার্কেন্টাইল ব্যাংকের গ্রাহকদের মধ্যে যাঁরা মাস্টারকার্ড ব্যবহার করবেন তাঁরা ভ্রমণ, লাইফস্টাইল ও রেস্তোরাঁয় খাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় পাবেন। এ ছাড়া মাস্টারকার্ড ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ৯ হাজারের বেশি পার্টনার মার্চেন্ট আউটলেটে পাওয়া যাবে বিশেষ ছাড়। এসব কার্ডে দেশ ও বিদেশের মাস্টারকার্ডের এটিএম থেকে নগদ টাকা তোলার সুবিধাও পাওয়া যাবে।
অনুষ্ঠানে মাস্টারকার্ডের এদেশীয় ব্যবস্থাপক সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন, দেশের প্রবাসী আয়ের প্রায় এক-চতুর্থাংশ এখন মাস্টারকার্ডের মাধ্যমে আসে। মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ডিজিটাল লেনদেনের ব্যবহার আরও বাড়াবে।